BN/Prabhupada 0958 - তুমি গাভীদের ভালবাস না। তোমরা ওদের কসাইখানায় পাঠাচ্ছ
750624 - Conversation - Los Angeles
ডাঃ অরঃ জপ করা কি অবশ্য প্রয়োজনীয় জানার জন্য...
প্রভুপাদঃ সেটি হচ্ছে ভগাবানের সাথে যুক্ত হওয়ার সবথেকে সহজ পন্থা। কারণ ভগবান এবং তার নাম, তারা পূর্ণ, তাই তোমার ভগবানের নাম জপ করার অর্থ হচ্ছে তার সাথে সরাসরিভাবে যুক্ত হওয়া।
ডাঃ ক্রসলিঃ ভক্তি মার্গে আপনার অধিনস্থ কাওকে ভালবাসার থেকে সেটা বেশি ভাল কেন?
প্রভুপাদঃ আপনি আপনার অধিনস্থ ব্যাক্তি কে ভালবাসেন, কিন্তু আপনি আপনার অধিনস্থ পশু কে ভালবাসেন না। আপনারা মানুষ ভালবাসেন কিন্তু আপনারা পশুদের কসাইখানায় পাঠান।সেটা আপনাদের ভালবাসা।
ডাঃঅলফঃ এবং সৈনিকদের যুদ্ধক্ষেত্রে...
প্রভুপাদঃ হু?
ডাঃ অলফঃ এবং সৈন্যদের যুদ্ধে নিহত হতে হয়।
প্রভুপাদঃ না, প্রথমে এদের বোঝার চেষ্টা করুন, তারপর সৈনিকদের কথা বলুন। আমাদের ভালবাসা সীমিত। কিন্তু আপনি যদি ভালবাসেন...ঠিক এই গাছটির মতো। সেখানে কয়েক হাজার পাতা এবং ফুল রয়েছে। আপনি যদি তাদের প্রত্যেককে জল দেন, তাহলে আপনার পুরো জীবন কেটে যাবে। এবং আপনি যদি বুদ্ধিমান হন, শুধু গাছের গোঁড়ায় জল দিন; সেটা সব জায়গায় যাবে। এবং যদি আপনি বুদ্ধিমান না হন, তাহলে প্রতিটা পাতায় পাতায় জল দিতে থাকুন... আপনার পুরো শরীরের খাবার দরকার। তার মানে এই নয় যে আপনাকে খাবার সরবরাহ করতে হবে কানে, চোখে, নখে, মলদ্বারে... না। আপনি পেটে খাবার দিন, তা বিতরণ করা হবে। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, ময়া ততম ইদাম সর্বম। যা আমরা ইতিমধ্যে পড়েছি। যদি আপনি শ্রীকৃষ্ণ কে ভালবাসেন, তাহলে আপনার ভালবাসা বিতরণ হয়ে যাবে। যদি আপনি শ্রীকৃষ্ণকে ভাল না বাসেন এবং যদি আপনি অন্য কাওকে ভালবাসেন, তাহলে কেও কান্না করবে যে "আপনি আমাকে ভালোবাসেন না।"
ডাঃ অলফঃ আমি কি একটি প্রশ্ন করতে পারি, শ্রীল প্রভুপাদ?
প্রভুপাদঃ প্রথমত, এটা বোঝার চেষ্টা করুন। ঠিক যেমন শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, ময়া ততম ইদাম সর্বমঃ " আমি আমার শক্তির দ্বারা সর্বব্যাপ্ত।" তো সর্বত্র, আপনি কিভাবে যেতে পারেন? আপনি শ্রীকৃষ্ণকে ভালবাসেন, এবং আপনার ভালবাসা সর্বত্র যাবে। আপনি সরকারকে কর প্রদান করুন এবং সেই কর অন্যান্য অনেক বিভাগে বিতরণ করা হয়। তাই এটা আমাদের কাজ নয় প্রতেকটি বিভাগে যাওয়া এবং কর প্রদান করা। সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হয়, এটি বিতরণ হয়ে যাবে। এটিই হচ্ছে বুদ্ধিমত্তা। এবং আপনি যদি বলেন যে " আমি কোষাগারে কি পরিশোধ করব? আমি কর প্রদান করবো এই বিভাগে, ওই বিভাগে, ওই বিভাগে, ওই বিভাগে," আপনি এভাবে যেতে পারেন, কিন্তু এটি কখনও যথেষ্ট হবে না, পূর্ণও হবে না। আপনারা মানবিকতাকে পছন্দ করতে পারেন,কিন্তু যেহেতু আপনারা শ্রীকৃষ্ণকে ভালবাসেন না, তাই আপনারা গাভী ভালবাসেন না;আপনারা তাদের কসাইখানায় পাঠান। সুতরাং আপনার ভালবাসা ত্রুটিপূর্ণ থাকবে। এটি কখনই সম্পূর্ণ হবে না। এবং যদি আপনি শ্রীকৃষ্ণকে ভালবাসেন, তাহলে আপনি একটি ছোট পিঁপড়েকেও ভালবাসবেন। আপনি একটি পিঁপড়েকেও মারতে আগ্রহী হবেন না। সেটাই প্রকৃত ভালবাসা।
ডাঃ অরঃ আমি আপনার সাথে সম্মত হয়েছি যে আমরা অত্যন্ত ভালবাসি এবং আমরা পশু হত্যা করি।
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। খুব বেশি ভালবাসা ভালবাসা নয়।
ডাঃ অরঃ কিন্তু এর উল্টো তা কি সত্যি, যে আমরা ভালো জপ করতে পারি এবং আমরা শ্রীকৃষ্ণকে ভালবাসতে পারি এমনকি যখন আমরা আমরা অন্য মানুষদের ভালবাসি না?
প্রভুপাদঃ আমরা জপ করছি না...আমরা কাজও করছি। এমন নয় যে আমরা শুধু বসে আছি এবং জপ করছি। কারণ আমরা জপ করছি, তাই আমরা সবাইকে ভালবাসছি। সেটাই বাস্তব। এই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপকারীরা, তারা কখনই পশুহত্যা করতে সম্মত হবে না, এমনকি একটি গাছও না, কারণ তারা জানে যে সবকিছুই হচ্ছে ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেন অযথা কাওকে হত্যা করা হবে? সেটাই ভালবাসা।
ডাঃ অরঃ ভালবাসা মানে কখনই হত্যা করা যাবে না?
প্রভুপাদঃ অনেক কিছু আছে। এটি হচ্ছে তাদের একটি। হ্যাঁ, এটি হচ্ছে সেগুলোর একটি... আপনি কি আপনার নিজের ছেলেকে হত্যা করেন? কেন? কারণ আপনি তাকে ভালবাসেন।
ডাঃ জুদাহঃ
আপনি কি এর অন্য দিকটি ব্যাখ্যা করবেন, সত্যটা যে, অবশ্যই, ভগবদগীতার পটভূমি একটি যুদ্ধক্ষেত্রে যেখানে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে নিযুক্ত করেছিলেন তার আত্মীয়দের সাথে যুদ্ধ করার জন্য কারণ এটা কি ক্ষত্রিয় হিসেবে তার কর্তব্য?
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। কারণ জড় জগতে, সামাজিক সাম্যাবস্থা বজায় রাখার জন্য, হত্যা করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ঠিক যেমন যুদ্ধ, সংঘাত। যখন শত্রু তোমার দেশে এসেছে, আপনি অলসভাবে বসে থাকতে পারেন না, আপনাকে অবশ্যই যুদ্ধ করবেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনি জাকে খুসিতাকে হত্যা করতে পারেন। সেটি একটি বিশেষ অবস্থা যখন অবশ্যই যুদ্ধ করতে হবে। তাই ক্ষত্রিয়দের প্রয়োজন সুরক্ষা প্রদান করার জন্য।