BN/Prabhupada 0989 - গুরুদেবের কৃপায় কৃষ্ণ প্রাপ্তি হয়। এটি ভগবদ-ভক্তি-যোগ



740724 - Lecture SB 01.02.20 - New York

প্রভুপাদঃ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে বোঝা কোন সাধারণ বিষয় নয়। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,

মনুষ্যাণাং সহস্রেষু
কশ্চিদ্‌ যততি সিদ্ধয়ে
যততামপি সিদ্ধানাং
কশ্চিন্মাং বেত্তি তত্ত্বতঃ
(গীতা ৭.৩)

সুতরাং এই সত্যটি জানা যায়... কৃষ্ণ অথবা কৃষ্ণের প্রতিনিধির মাধ্যমে। ভগবদ্গী‌তায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,

মদ-আশ্রয়ঃ।মদ-আশ্রয়ঃ মানে "আমার অধীনে…আমার অধীনে।" আসলে এর অর্থ...মদ-আশ্রয়ঃ অর্থ, যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শরণ গ্রহণ করেছে, বা যে কোনও সঙ্কোচ ছাড়াই কৃষ্ণের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাকে বলা হয় মদ-আশ্রয়ঃ, অথবা যিনি পুরোপুরি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তাই এটি যোগ, এটি ভক্তি যোগ, যা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ভগবদ ভক্তি-যোগতঃ... সুতরাং ভগবদ-ভক্তি-যোগ শেখা যায় যখন কেউ ভগবদ-ভক্তের পাদপদ্মে পূর্ণ আশ্রয় গ্রহণ করে। তাঁকে বলা হয় ভগবদ্ভ‌ক্ত। ভগবদ্ভ‌ক্ত স্বাধীন হতে পারেন না, তার গুরুর পরোয়া না করে। সেটা মূর্খতা। সেটা বদমাশি। সে কখনই পারবে না। আমরা প্রতিদিন গাইছি, যস্য প্রসাদাদ্‌ ভগবৎ-প্রসাদ। কিন্তু তোমরা দুর্ভাগ্যবশত তার অর্থ জান না। যস্য প্রসাদাদ্‌ - যদি গুরুদেব সন্তুষ্ট হন, তাহলে ভগবান সন্তুষ্ট হবেন। স্বাধীনভাবে তা নয়....যস্য, যস্য প্রসাদাদ্‌। দশ প্রকার অপরাধ রয়েছে, প্রথম অপরাধ হল গুরু অবজ্ঞা, গুরুর আদেশ অমান্য করা। এবং বিশেষত গুরুর কাজ হল কৃষ্ণভাবনা প্রচার করা। এবং যে সমস্ত ভক্ত ভগবানের দিব্য নাম প্রচার করার জন্য নিজেদের সর্বতোভাবে উৎসর্গ করেছেন কেও যদি তাদের নিন্দা করেন, সেটা সবথেকে বড় অপরাধ। কিন্তু আমরা দশবিধ নাম অপরাধ পড়ছি, গুর্বাষ্টক, এবং গুরুদের... তোমরা কি এর অর্থ জান, সেটা কি, শ্রী গুরু-চরণ-পদ্ম? সেই ভজনটা কি? এটি পড়।

ভক্তঃ শ্রী-গুরু-চরন-পদ্ম, কেবল ভক্তি-সদ্ম, বন্দো মুঞি সাবধান...

প্রভুপাদঃ সাবধান মতে, " অতি যত্ন সহকারে।" তোমরা এই ভজনটা গাও - তোমরা কি এর অর্থ জান? না। কে এর অর্থ বিশ্লেষণ করতে পারবে? হ্যাঁ তুমি বল।

ভক্তঃ শ্রী গুরু-চরণ-পদ্ম মানে "গুরুদেবের পাদপদ্ম" কেবল ভক্তি-সদ্ম, যে তিনিই সমস্ত ভক্তির আধার। বন্দো মুঞি সাবধান অর্থ আমরা তাকে অতি যত্ন সহকারে সেবা করি।

প্রভুপাদঃহ্যাঁ। পড়। অন্যান্য লাইন গুলো পড়।

ভক্তঃ যাঁহার প্রসাদে ভাই...

প্রভুপাদঃ যাঁহার প্রসাদে ভাই। তারপর?

ভক্তঃ এ ভব তরিয়া যাই।

প্রভুপাদঃ এ ভব তরিয়া যাই। যদি কেউ গুরুর কৃপা পায়, তবে এই অজ্ঞানতার পথ পার করা সহজ হবে। যাঁহার প্রসাদে ভাই, এ ভব তরিয়া যাই। তারপর, পরের লাইন?

ভক্তঃ কৃষ্ণ প্রাপ্তি হয় যাহা হইতে।

প্রভুপাদঃ এবং কৃষ্ণ প্রাপ্তি হয় যাহা হইতেঃ গুরুর কৃপায় কৃষ্ণ প্রাপ্তি হয়। এটাই হল... যস্য প্রসাদাদ্‌ ভগবৎ। সব জায়গায়। এটাই ভগবৎ-ভক্তি-যোগ। তাই যে এই স্তর প্রাপ্ত হয় নি, তার ভগবৎ-ভক্তি কি? সেটা বদমায়েশি। সেটা ভগবৎ-ভক্তি নয়...

এবং প্রসন্নমনসো
ভগবদ্ভক্তিযোগতঃ
(ভগবৎ ১.২.২০)