BN/Prabhupada 0994. - ভগবান এবং আমাদের মধ্যে পার্থক্য কি
730407 - Lecture SB 01.14.43 - New York
যখন আমরা কমিউনিস্ট দেশ, মস্কোতে গিয়েছিলাম, আমার মনে হয় সবাই কিছু চাইছিল, এবং এমনকি তারা তাদের পছন্দের খাবারও পায়নি। সরকারি নিয়মে যাই আবর্জনা জিনিস সরবরাহ করবে, তা তাদের মেনে নিতে হবে। এবং আসলে কোন ভাল খাদ্যসামগ্রী ছিল না, আমাদের জন্য। আমরা সেই জাতীয় হোটেলে থাকতাম, এবং শ্যামসুন্দরকে জিনিস পেতে অন্তত দুই ঘন্টা ব্যয় করতে হয়েছিল। সেটিও, খুব সুন্দর জিনিস নয়। অন্ন পাওয়া যেত না। একজন মাদ্রাজের ভদ্রলোক, তিনি আমাদের কিছু ভাত সরবরাহ করেছিলেন, ভাল কিছু আটা; অন্যথায় শুধুমাত্র দুধ এবং মাখন পাওয়া যায়, এবং মাংস, এটুকুই। না ফল, না সবজি, না ভাল অন্ন, এবং এই জিনিসগুলো পাওয়া যায় না। এই হল কলিযুগ। জিনিসপত্রের সরবরাহ কমে যাবে। প্রকৃতপক্ষে কৃষ্ণই সবকিছু সরবরাহ করছেন।
- নিত্যো নিত্যানাম্ চেতনাশ্চেতনানাম্
- একো যো বহুনাম্ বিদধাতি কামান্
সেটাই ভগবান এবং আমাদের মধ্যে পার্থক্য। আমরাও ব্যক্তি, ভগবানও একজন ব্যক্তি। নিত্যো নিত্যানাম্ চেতনাশ্চেতনানাম্। তিনিও জীব, আমরাও জীব। ভগবান এবং আমাদের মধ্যে পার্থক্য কি? সেই একঃ, সেই একজন জীব, নিত্য, একবচন। তাই বহুনাম্ বিদধাতি কামান্। তিনি এই সমস্ত বহুসংখ্যক জীবেদেরই জীবনের প্রয়োজনীয়তা সরবরাহ করেন, বহুনাম্। নিত্যো নিত্যানাম্ চেতনাশ্চেতনানাম্ যারা সংস্কৃত জানে, এই নিত্যঃ মানে একবচন ব্যক্তি, এবং নিত্যানাম্, সেটি বহুবচন। তারা দুজনেই ব্যক্তি, তারা দুজনেই জীবসত্ত্বা, কিন্তু কেন সেই একবচন সংখ্যাকে সর্বোচ্চ মনে করা হয়? কারণ তিনি সকল বহুদের খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করেন। তাই প্রকৃতপক্ষে কৃষ্ণের কাছে সমস্ত জীবকে সরবরাহ করার জন্য সবকিছু প্রস্তুত আছে। কেউ না খেয়ে থাকার জন্য নয়। না তা নয়। ঠিক কারাগারের মতো, যদিও বন্দীরা তাদের নিন্দা করে, তারপরও সরকার তাদের খাবারের যত্ন নেয়, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে, এমন নয় যে তাদের না খেয়ে থাকতে হবে। না। একইভাবে, যদিও এই জড়জগতে আমরা সবাই নিন্দিত, আমরা বন্দী, বন্দী। আমরা চলাফেরা করতে পারি না, আমরা এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যেতে পারি না। তারা অনেক চেষ্টা করছে। এখন তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন কথা বলে না। (হাসি) এটা সম্ভব নয়, কারণ আমরা বন্দী। বদ্ধ। তোমাকে এই গ্রহে থাকতে হবে। প্রত্যেককে তাদের গ্রহে থাকতে হবে। তোমার নিজের ইচ্ছা এবং স্বাধীনতার বাইরে কোন প্রশ্ন নেই, কারণ তোমার কোন স্বাধীনতা নেই। কিন্তু নারদ মুনির স্বাধীনতা আছে। নারদ মুনি এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যেতে পারেন। তিনি চিদাকাশ থেকে জড় আকাশের মধ্য দিয়ে আসেন, কারণ তিনি নিখুঁত ভক্ত। সেটাই হচ্ছে আদর্শ জীব। যেহেতু শ্রীকৃষ্ণের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে, একইরকমভাবে যখন আমরা নিখুঁত হব, কৃষ্ণভাবনাময়, আমরাও স্বাধীন হয়ে যাব। সেটাই আমাদের অবস্থান। কিন্তু বদ্ধ অবস্থায় এমন সম্ভব নয় যে, আমরা আমাদের ইচ্ছামতো চলতে পারি। পারি না।বদ্ধ। ব্রহ্মাণ্ড ভ্রমিতে কোন ভাগ্যবান, আমরা বদ্ধ। কিন্তু বদ্ধ অবস্থাতেও, যদি আমরা বৈদিক নিয়মাবলী পালন করি, আমরা সুখী হতে পারি। সুখী, এবং বিশেষত এই মনুষ্য জন্মেই, এটি সেই উদ্দেশ্যে বোঝানো হয়েছে যে, তুমি সুখে জীবনযাপন কর, কৃষ্ণচেতনার বিকাশের জন্য সময় বাঁচাও যেন পরবর্তী জন্মে তুমি আর এই জড় জগতে না থাক। তুমি চিন্ময় জগতে স্থানান্তরিত হতে পার। সেটাই মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য। কিন্তু এই বদমাশরা তারা জানে না। তারা মনে করে যে আমরা উন্নত সভ্যতা, কারণ বিড়াল এবং কুকুরেরা তারা মেঝেতে শুয়ে থাকে এবং ঘুমায়, আমাদের ১০৪ তলা অট্টালিকা আছে, এবং আমরা সেখানে শুয়ে থাকব। এটাই ওদের উন্নতি। কিন্তু ওরা বুঝতে পারে না যে ঘুমানো, ঘুমিয়ে ভোগ করা, কুকুর এবং ১০৪ তলায় শুয়ে থাকা মানুষটির জন্য একই, গল্প। (হাসি) একইভাবে, কুকুর এবং মানুষ বা দেবতাদের কাছে যৌন জীবন, আনন্দ একই। এখানে কোন পার্থক্য নেই.