BN/Prabhupada 0995. - কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন ক্ষত্রিয় বা বৈশ্যের ব্যবসার জন্য নয়



730407 - Lecture SB 01.14.43 - New York

প্রভুপাদঃ তুমি যদি সোনার পাত্র বা লোহার পাত্রে দুধ পান কর তবে স্বাদ একই। তুমি সোনার পাত্রের মধ্যে দুধের স্বাদ, বা অন্য কিছুর স্বাদ পরিবর্তন করতে পারবে না। কিন্তু এই মূর্খ ব্যক্তিরা ভাবছে যে, "যখন আমাদের জড় সুখ লোহার পাত্রের পরিবর্তে সোনার পাত্রে রাখা হয় তখন তা খুব উপভোগ্য হবে।" মূঢ়। তাদের মূঢ় বলা হয়। (হাসি) তারা জানে না যে আমাদের আসল কাজ হল কিভাবে এই জড় শরীর থেকে বেরিয়ে আসা যায়। সেটা হল, জন্ম-মৃত্যু-জড়া-ব্যাধি- দুঃখ (BG 13.9)- একজনকে তার সামনে রাখা উচিত, যে "আমার জীবনের প্রকৃত দুঃখ এই চারটি জিনিস, জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধি জন্ম নেওয়া, মারা যাওয়া, বৃদ্ধ হওয়া এবং রোগাক্রান্ত হওয়া। এটা আমার সমস্যা। " কিন্তু তারা তা জানে না। তারা এখন পেট্রোলিয়াম সমস্যায় ব্যস্ত। হ্যাঁ. এই পেট্রোলিয়াম সমস্যা তারা তৈরি করেছে , এই ঘোড়াবিহীন টিনের গাড়ি। (হাসি) হ্যাঁ. তারা ভাবছে, "ঘোড়ার চেয়ে ভালো। এখন আমি এই টিনের গাড়িটি পেয়েছি।" পুরনো হওয়ার সাথে সাথে এর কোন মূল্য নেই। তোমরা রাস্তায় ফেলে দাও, বিশেষ করে তোমাদের দেশে। কেউ এর যত্ন নেয় না। এবং, কিন্তু একজন ব্যক্তির অবশ্যই এই পরিবহন থাকতে হবে। এবং এটি অবশ্যই পেট্রোলে চালানো উচিত, এবং শ্রম দিতে হবে, এত কঠোর পরিশ্রম, মরুভূমির মধ্যে যেতে হবে, ড্রিল করতে হবে, এবং তারপর তেল বার করতে হবে, তারপর এটি ট্যাঙ্কে করে আনতে হবে। আর একে বলা হয় উগ্র-কর্ম। সেটা ভগবদ্গী‌তায় উল্লেখ করা আছে, যে এই বদমাশ, অসুরেরা, তারা উগ্র-কর্ম তৈরি করেছে কেবল সমগ্র মানুষের কষ্টের জন্য। ব্যস। ক্ষয়ায় জগত হিতঃ, এবং ধংসকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসছে। এখন এগুলোই চলছে, এবং বড় যুদ্ধ হতে পারে, তার মানে ধ্বংস। শুধু একটু আরাম সৃষ্টির জন্য। আগেও তারা চলছিল। পরিবহন ছিল। কিন্তু তারা আগের পদ্ধতিতে থাকতে পছন্দ করে না, কারণ তাদের অন্য কোন ব্যস্ততা নেই। আরও ভাল ব্যস্ততা, যেটা তারা জানে না। এখানে আরও ভাল ব্যস্ততা: রাধা-কৃষ্ণের সামনে আসা, এবং ভগবানের মহিমা কীর্তন করা এবং ভগবানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বোঝা। এটি আমাদের প্রকৃত কাজ, কিন্তু কেউ প্রকৃত কাজে আগ্রহী নয়। তারা অপ্রয়োজনীয় ব্যস্ততায় আগ্রহী: সারা দিন অফিসে কাজ, তারপর এখানে আস, ক্লাবে যাও, ফুটবল ক্লাবে যাও, টেনিস ক্লাবে যাও। এভাবে তারা উদ্ভাবন করেছে কিভাবে এই মূল্যবান মনুষ্য জীবন নষ্ট করা যায়। তারা উদ্ভাবন করেছে। এই জীবনকে কিভাবে এটাকে বন্ধ করার জন্য কাজে লাগানো উচিত সে সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই, আমি বলতে চাইছি, মুখ্য সমস্যা, জন্ম-মৃত্যু-জড়া। তারা জানে না। এই শ্রীমদ্ভা‌গবত সারা বিশ্বকে প্রকৃত জীবন দান করছে, বাস্তব, জীবন মানে কি। সুতরাং এগুলি শিষ্টাচার। বিশেষ করে ব্রাহ্মণ, বৃদ্ধ, শিশু, মহিলা এবং গাভির যত্ন নেওয়া। এটাই সভ্যতা। এই জীবদের যত্ন নেওয়া উচিত। এখন এই দুষ্কৃতীরা তারা গাভী হত্যা করছে এবং মহিলাদের পতিতা করছে, এবং গর্ভে থাকা শিশুদেরও হত্যা করছে। এবং ব্রাহ্মণ শ্রদ্ধার কোন প্রশ্ন নেই, এবং ব্রাহ্মণ সংস্কৃতিও নেই। তাহলে তোমরা কীভাবে সুখী হবে? হুম? আর যদি সমাজে ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি না থাকে, তাহলে সেই সমাজ পশু সমাজের চেয়ে নিকৃষ্ট। তাই আমরা আমাদের প্রার্থনা জ্ঞাপন করি,

নমো ব্রহ্মণ্য- দেবায়
গোব্রাহ্মণহিতায় চ
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায়
গোবিন্দায় নমো নমঃ

প্রথমে সম্মান দেওয়া হয়েছে, গোব্রাহ্মণহিতায় চ, জগদ্ধিতায়। তুমি যদি প্রকৃতপক্ষে সমগ্র বিশ্বের কল্যাণের জন্য কিছু করতে চাও, তাহলে এই দুটো জিনিসের অবশ্যই যত্ন করতে হবে, গো-ব্রাহ্মণ-হিতায় চ, গাভীদের এবং ব্রাহ্মণদের। তাদের প্রথমে সুরক্ষা দিতে হবে। তারপর জগদ্ধিতায়, তখন সমগ্র বিশ্বের প্রকৃত কল্যাণ হবে। তারা জানে না। কৃষি-গো-রক্ষা- বাণিজ্যম, গো-রক্ষা, বাণিজ্যম, বৈশ্য-কর্ম স্বভাব-যম। এটি বণিক শ্রেণীর মানুষদের কর্তব্য: কৃষি উন্নয়ন করা, গাভীদের সুরক্ষা দেওয়া, কৃষি-গো-রক্ষা- বাণিজ্যম। এবং যদি তুমি অতিরিক্ত খাবার পেয়ে থাক, তাহলে তুমি বাণিজ্য করতে পার, বাণিজ্যম্‌। এটাই ব্যবসা। ব্রাহ্মণ মস্তিষ্কের কাজ করতে হবে। তিনি পরামর্শ দেবেন। ঠিক যেমন আমরা, কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন, আমরা... আমরা ক্ষত্রিয়দের ব্যবসা বা বৈশ্যের ব্যবসার জন্য নই, ভক্তরা, কিন্তু যদি প্রয়োজন হয় তারা নিতে পারে। কিন্তু প্রকৃত কাজ হল, ব্রাহ্মণের কাজ হল বেদ জানা, ব্রাহ্মণ, পরব্রহ্ম, প্রকৃত সত্য। তাকে অবশ্যই জানতে হবে, এবং তাকে জ্ঞান বিতরণ করতে হবে। এটাই ব্রাহ্মণ। কীর্তয়ন্তো। সততম্‌ কীর্তয়ন্তো মাম্‌ যতন্তশ্চ দৃঢ়ব্রতাঃ এটি ব্রাহ্মণের কাজ। সুতরাং, আমরা এই কাজ নিয়েছি যা প্রচার করে যে ভগবান আছেন। ভগবানের সাথে আমাদের এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই তুমি যদি সেভাবে আচরণ কর, তখন তুমি সুখী হবে। এটিই আমাদের কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন। এই মূর্খরা, তারা ভুলে গেছে, অথবা তারা ভগবানকে জানার প্রয়োজন বোধ করে না, এবং সেটাই ভোগান্তির কারণ। গতকাল সেই সাংবাদ প্রতিবেদক জিজ্ঞাসা করেছিল...কি প্রশ্ন ছিল?

ভক্ত: "এটি কি তেল সংকট সমাধানে সাহায্য করবে?"

প্রভুপাদ: হ্যাঁ। তাহলে আমি কি উত্তর দিলাম?

ভক্ত: "হ্যাঁ। কেন নয়?"

প্রভুপাদ: হু?

ভক্ত: "কেন না?"

প্রভুপাদ: তোমার মনে নেই?

ভক্ত: হ্যাঁ। আপনি বলেছিলেন সমাধান ইতিমধ্যেই আছে, কৃষ্ণ চেতনা।

প্রভুপাদ: হ্যাঁ। আসলে, এটাই বাস্তবতা! কিন্তু তারা তা গ্রহণ করবে না। তারা এটা নেবে না। এখন, সমস্যা কি? এটা মোটেও কঠিন নয়। পেট্রোল আছে, এবং এটি ব্যবহার করা হয়, এটি আমাদের ব্যবহারের জন্য রয়েছে, কিন্তু সমস্যা হলো আরবীয়রা, তারা ভাবছে এটা আমার ...