BN/Prabhupada 0084 - শুধু একজন কৃষ্ণ ভক্ত হও: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0084 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1972 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 7: Line 7:
[[Category:BN-Quotes - in India]]
[[Category:BN-Quotes - in India]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- TO CHANGE TO YOUR OWN LANGUAGE BELOW SEE THE PARAMETERS OR VIDEO -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|French|FR/Prabhupada 0083 - Chantez Hare Krishna et tout viendra|0083|FR/Prabhupada 0085 - Cultiver le savoir signifie cultiver le savoir spirituel|0085}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0083 - হরে কৃষ্ণ জপ করুন তাহলে সবকিছু আসবে|0083|BN/Prabhupada 0085 - জ্ঞান সংস্কৃতির অর্থ আধ্যাত্মিক জ্ঞান|0085}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
তাই আমাদের প্রস্তাব হল কৃষ্ণ থেকে জ্ঞান গ্রহণ ক্রুন, নিখুঁত ব্যক্তি, ভগবান সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব। আমরা শাস্ত্র গ্রহণ করি, যার অর্থ  অব্যর্থ। কোন ভুল নেই। ঠিক যেমন আমি গো-শালার কাছাকাছি হাঁটছিলাম। গোবরের গাদা ছিল। তাই আমি আমার অনুগামীদের ব্যাখ্যা করেছিলাম যে, যদি পশু, আমি বলতে চাইছি, মানুষের পায়খানা যদি গাদা করা থাকে, কেউ এখানে আসবে না, কেউ আসবে না। কিন্তু গোবর, সেখানে গোবর প্রচুর পরিমাণে আছে, এখনও, আমরা আনন্দ খুঁজে বেরাই এটির মাধ্যমে । এবং বেদে বলা হয়, "গোবর বিশুদ্ধ।" এটিকে শাস্ত্র বলা হয়। যদি আপনি তর্ক করেন যে, "এটি কীভাবে সম্ভব? এটি একটি পশুর পায়খানা"কিন্তু বেদ, তারা ... কারণ জ্ঞান নিখুঁত, এমনকি যুক্তি দিয়ে আমরা প্রমাণ করতে পারব না, কিভাবে পশুর পায়খানা বিশুদ্ধ হতে পারে , কিন্তু এটা শুদ্ধ, তাই বৈদিক জ্ঞান শুদ্ধ। এবং যদি আমরা বেদ থেকে জ্ঞান গ্রহণ করি, তবে আমরা তদন্ত বা গবেষণা করার জন্য এত সময় বাঁচাতে পারব। আমরা গবেষণা খুব পছন্দ করি। সবকিছু বেদে আছে। কেন তুমি তোমার সময় নষ্ট করছ? তাই এই বৈদিক জ্ঞান। বৈদিক জ্ঞান মানে যা পরম প্রভু দ্বারা বলা হয়। এটা বৈদিক জ্ঞান। অপৌরুষেয়। আমার মত সাধারণ মানুষের দ্বারা এটা কথিত নয়। তাই আমরা যদি বেদিক জ্ঞান গ্রহণ করি, যদি আমরা গ্রহণ করি, এটি সত্য হিসাবে,  কৃষ্ণ বলছেন, বা তার প্রতিনিধি  .. কারন তার প্রতিনিধি এমন কোন কথা বলবে না, যা কৃষ্ণ বলেন নি। তাই তিনি প্রতিনিধি । কৃষ্ণ ভাবনামৃতের  ব্যক্তিরা কৃষ্ণের প্রতিনিধি। কারণ একজন কৃষ্ণ ভাবনামৃত ব্যক্তি কিছু অর্থহীন কথা বলবে  না, কৃষ্ণের ভাষণের বাইরে , সেটার পার্থক্য আলাদা। অন্যান্য নোংরা, কুৎসিত, তারা কৃষ্ণ ছাড়াও কথা বলবে। কৃষ্ণ বলেছেন মন্মনা ভব মদ ভক্ত মদ যাজি মাং নমস্কুরু (ভ.গী.১৮.৬৫) কিন্তু চক্রান্তকারীরা বলবে, "না, এটা কৃষ্ণ নয় এটা অন্য কেউ।" কোথা থেকে এটা পেলেন ? কৃষ্ণ সরাসরি বলেছেন, কৃষ্ণ বলেছেন মন্মনা ভব মদ ভক্ত মদ যাজি মাং নমস্কুরু ([[Vanisource:BG 18.65|ভ.গী.১৮.৬৫]]) তাহলে কেন তুমি বিচলিত হও? কেন আপনি অন্য কিছু বলছেন: "এটা কৃষ্ণের মধ্যে কিছু?" আপনি পাবেন ... আমি নাম বলতে চাই না। অনেক রাস্কেল পণ্ডিত আছে। তারা যেমন ব্যাখ্যা করে। অতএব ভগবত-গীতা ভারতের জ্ঞানের একটি বই, তাই অনেক মানুষ বিপথে চালিত হয়। বড় ... এই কুৎসিত পণ্ডিতদের, তথাকথিত পণ্ডিতদের কারণে কারণ তারা কেবল ভুল ব্যাখ্যা করে। তাই আমরা ভগবৎ-গীতা উপস্থাপন করছি কৃষ্ণ বলেছেন সর্ব ধর্মান পরিতেজ্য মাম একং স্মরং ব্রজ ([[Vanisource:BG 18.66|ভ.গী.১৮.৬৬]]) আমরা বলি, আমরা এই ধর্মাবলম্বী প্রচার করছি: "কৃষ্ণ সচেতন হও। শুধু কৃষ্ণের ভক্ত হয়ে আপনার সম্মান নিবেদন করুন ... " আপনাকে সবাইকে সম্মান দিতে হবে। আপনি সর্বোচ্চ নয়। আপনি কিছু সেবা পেতে হলে কাউকে তোষামোদ করতে হবে। এটি একটি ... এমনকি যদি আপনি সুন্দর অবস্থান পান, আপনাকে তোষামোদ করতে হবে। এমনকি যদি আপনি একজন রাষ্ট্রপতি হন, দেশের রাষ্ট্রপতি হন, আপনি আপনার দেশবাসীকে তোষামদ করে বলেন: "দয়া করে আমাকে ভোট দিন। দয়া করে, আমি আপনাকে অনেক সুবিধা দেব। সুতরাং আপনি তোষামদ করতে হবে এটি একটি সত্য। আপনি খুব বড় মানুষ হতে পারে কিন্তু আপনাকে কাউকে তোষামদ করতে হবে। আপনাকে একজন গুরু গ্রহণ করতে হবে। কেন পরম গুরু কৃষ্ণকে গ্রহণ করব না ? অসুবিধা কোথায়? "না। আমি কৃষ্ণ ব্যতীত হাজার হাজার গুরু গ্রহণ করব।" এটি আমাদের দর্শন। "আমি কৃষ্ণ ছাড়া হাজার হাজার শিক্ষক গ্রহণ করবো। এটা আমার সংকল্প।" তাহলে কিভাবে আপনি সুখী হতে পারেন? খুশি কৃষ্ণকে গ্রহণ করেই অর্জন করা যায়। ভোক্তারং যজ্ঞ তপসাং সর্ব লোক মহেশ্বরম সুহৃদম সর্ব ভুতানাম জ্ঞাতামাং শান্তি মৃচ্ছতি ([[Vanisource:BG 5.29|ভ.গী..২৯]]) এটাই শান্তির পদ্ধতি , কৃষ্ণ বলেছেন যে তুমি এটা গ্রহণ করো যে আমি ভোক্তা তুমি ভোক্তা নও। আপনি ভোক্তা না, আপনি রাষ্ট্রপতি হতে পারেন অথবা আপনি সচিব হতে পারেন; আপনি হতে পারেন যাই হোক না কেন হতে পারেন, কিন্তু আপনি ভোক্তা নয়, ভোক্তা হচ্ছেন কৃষ্ণ। এটি একজনের জানা উচিত। শুধু আপনার মত ... আমি আসছি ,আসছি, শুধু অন্ধ্র ত্রাণ কমিটির একটি চিঠির উত্তর দিয়েছি। কৃষ্ণ সন্তুষ্ট না হলে ,এই ত্রাণ কমিটি কি করবে? শুধু কিছু তহবিল উত্থাপন দ্বারা? না, এটা সম্ভব নয়। এখন বৃষ্টি হচ্ছে এখন আপনি সুবিধা পাবেন। কিন্তু বৃষ্টি নির্ভর করে কৃষ্ণের উপর, তহবিল উত্থাপনের উপর নয়।
আমাদের কথা হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ থেকে জ্ঞান গ্রহণ করতে হবে তিনিই সবচেয়ে আদর্শ ব্যক্তি আমরা শাস্ত্রের কথা গ্রহণ করি, তা হচ্ছে অভ্রান্ত। এতে কোন ভুল নেই ঠিক যেমন, আমি যখন গোশালার পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম ওখানে স্তূপ স্তূপ গোবর ছিল তখন আমি আমার শিষ্যদের বোঝাচ্ছিলাম যদি অন্য প্রাণীর, অর্থাৎ মানুষের মল ওখানে স্তূপ করা থাকে, তাহলে ওখানে কেউই যাবে না। কেউ যাবে না। কিন্তু গোবর, কত কত স্তূপ করে রাখা গোবর তারপরও ওসবের মধ্য দিয়ে যাতে আমরা ভালই অনুভব করছিলাম এবং বেদে বলা হয়েছে, "গোবর হচ্ছে শুদ্ধ" এর নাম শাস্ত্র। যদি তুমি তর্ক কর, "তা কিভাবে সম্ভব? এ তো প্রাণীর মল।" কিন্তু বেদে বলা হচ্ছে... কারণ সেই জ্ঞান অভ্রান্ত এমনকি আমরা যুক্তি দিয়েও দেখাতে পারব না প্রাণীর মল কিভাবে শুদ্ধ হয় কিন্তু তা পবিত্র। তাই বৈদিক জ্ঞান অভ্রান্ত তাই আমরা যদি বেদ থেকে জ্ঞান গ্রহণ করি তাহলে আমাদের গবেষণা করার অনেক সময় বেঁচে যাবে। আমরা খুব গবেষণা করতে পছন্দ করি। সবকিছুই বেদে বলা আছে শুধু শুধু কেন সময় নষ্ট করবেন?  
 
এই হচ্ছে বৈদিক জ্ঞান বৈদিক জ্ঞান মানে তা পরমেশ্বর ভগবান দ্বারা প্রদত্ত সেটি হচ্ছে বৈদিক জ্ঞান। অপৌরুষেয় তা আমার মতো কোন সাধারণ মানুষের দ্বারা বলা জ্ঞান নয় যদি আমরা বৈদিক জ্ঞান গ্রহণ করি, ভগবান কৃষ্ণ যা বলেছেন তা যথাযথ ভাবে নিই, অথবা তাঁর প্রতিনিধির থেকে... কারণ তাঁর প্রতিনিধি এমন কিছু বলবেন না যা শ্রীকৃষ্ণ বলেন নি তাই তিনি প্রতিনিধি কৃষ্ণভাবনাময় ব্যক্তিরাই তাঁর প্রতিনিধি কারণ একজন কৃষ্ণভাবনাময় ব্যক্তি কোন আজেবাজে কথা বলবেন না শ্রীকৃষ্ণের কথার বাইরে কিছু বলবেন না। সেটাই হচ্ছে পার্থক্য অন্যান্য বদমাশ , বাজে লোকেরা কৃষ্ণের কথার বাইরে নিজেদের মনগড়া কথা বলবে কৃষ্ণ বলেছেন, মন্মনা ভব মদ্ভক্ত মদ্‌যাজী মাম্‌ নমস্কুরু ([[Vanisource:BG 18.65 (1972)|গীতা ১৮/৬৫]]) কিন্তু বদমাশ পণ্ডিতেরা বলবে, "না, না, ওটা কৃষ্ণ নয়, অন্য কারোর কাছে"। এসব বাজে কথা কোথায় পেল? শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন, মন্মনা ভব মদ্ভক্ত মদ্‌যাজী মাম্‌ নমস্কুরু ([[Vanisource:BG 18.65 (1972)|গীতা ১৮/৬৫]]) তাহলে তুমি কেন সেটি বিকৃত করছ? কেন তুমি বলছ অন্য কিছুর কাছে? "এটি কৃষ্ণের ভেতরে থাকা অন্য কিছুর কথা বলা হচ্ছে।" এসব তোমরা জানবে ... আমি নাম বলতে চাই না এই ধরণের বহু বদমাশ পণ্ডিত আছে। তারা এইভাবে ব্যাখ্যা করে এই কারণে, যদিও ভগবদ্গীতা ভারতের জ্ঞানগ্রন্থ তারপরও বহু বহু লোক ভ্রান্ত পরিচালিত হচ্ছে... এইসব বদমাশ পণ্ডিত, তথাকথিত পণ্ডিতদের কারণে কারণ ওরা কেবল ভুল ব্যাখ্যা করে।  
 
তাই আমরা ভগবদগীতা যথাযথ উপস্থাপন করছি কৃষ্ণ বলেছেন, সর্বধর্মান্‌ পরিত্যাজ্য মামেকম্‌ শরণম্‌ ব্রজ ([[Vanisource:BG 18.66 (1972)|গীতা ১৮/৬৬]]) আমরা এই কথা প্রচার করছি যে, "কৃষ্ণ ভাবনাময় হন কেবল কৃষ্ণের ভক্ত হন। তাঁকে আপনার সম্মান প্রদান করুন..." সকলকে সম্মান করতে হবে। তুমি পরমেশ্বর নও কাজ পেতে গেলে তোমাকে অন্য কারোর তোষামোদ করতে হয় এমনকি ভাল পদ পেলেও তোমাকে তোষামোদ করতে হয় এমনকি দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে গেলেও তোমাকে দেশের লোকেদের তোষামোদ করতে হবে, "দয়া করে আমাকে ভোট দিন দয়া করুন, আমি আপনাদের অনেক সুযোগসুবিধা করে দেব" এইভাবে তোমাকে তোষামোদ করতে হবে। এটাই বাস্তব তুমি অনেক বড় কেউ হতে পার। কিন্তু তোমাকে কারোর না কারো তোষামোদ করতে হবে তোমাকে কোন না কোন প্রভু গ্রহণ করতে হবে। তাহলে কেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে প্রভু বলে গ্রহণ করছ না? কি সমস্যা এতে? "না আমি কৃষ্ণ বাদে হাজার হাজার প্রভু গ্রহণ করব"। এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা "আমি কৃষ্ণ বাদে হাজারটা শিক্ষক গ্রহণ করব। এটাই আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা"তাহলে আমরা কি করে সুখী হব? কেবল মাত্র কৃষ্ণকে গ্রহণ করার দ্বারাই সুখী হওয়া যাবে।
 
:ভোক্তারম্‌ যজ্ঞ তপসাম্‌
 
:সর্বলোকমহেশ্বরম্‌
 
:সুহৃদম্‌ সর্বভূতানাম্‌
 
:জ্ঞাত্বা মাম্‌ শান্তিমৃচ্ছতি
 
:([[Vanisource:BG 5.29 (1972)|গীতা /২৯]])  
 
এই হচ্ছে শান্তির উপায়। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "আমি ভোক্তা, তুমি ভোক্তা নও।" তুমি ভোক্তা নও। তুমি প্রেসিডেন্ট হতে পার, সেক্রেটারি হতে পার; তুমি যা খুশিই হতে পার কিন্তু তুমি ভোক্তা নও। কৃষ্ণ হচ্ছেন ভোক্তা। এটা জানতে হবে। ঠিক যেমন... আমি এখানে এসেছি, আমি একটা চিঠি পেয়েছি অন্ধ্র রিলিফ্‌ কমিটি থেকে যদি কৃষ্ণ সন্তুষ্ট না হন, তাহলে রিলিফ্‌ কমিটি দিয়ে কি হবে? কেবল কিছু টাকা সংগ্রহ করে কি হবে? না তা সম্ভব না। এখন বৃষ্টি হচ্ছে। এখন লাভ হবে। কিন্তু এই বৃষ্টিও শ্রীকৃষ্ণের কৃপার ওপর নির্ভর করে, তা আপনাদের তহবিল গঠনের ওপর নির্ভর করার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে না।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 10:37, 2 December 2021



Lecture on BG 2.22 -- Hyderabad, November 26, 1972

আমাদের কথা হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ থেকে জ্ঞান গ্রহণ করতে হবে তিনিই সবচেয়ে আদর্শ ব্যক্তি আমরা শাস্ত্রের কথা গ্রহণ করি, তা হচ্ছে অভ্রান্ত। এতে কোন ভুল নেই ঠিক যেমন, আমি যখন গোশালার পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম ওখানে স্তূপ স্তূপ গোবর ছিল তখন আমি আমার শিষ্যদের বোঝাচ্ছিলাম যদি অন্য প্রাণীর, অর্থাৎ মানুষের মল ওখানে স্তূপ করা থাকে, তাহলে ওখানে কেউই যাবে না। কেউ যাবে না। কিন্তু গোবর, কত কত স্তূপ করে রাখা গোবর তারপরও ওসবের মধ্য দিয়ে যাতে আমরা ভালই অনুভব করছিলাম এবং বেদে বলা হয়েছে, "গোবর হচ্ছে শুদ্ধ" এর নাম শাস্ত্র। যদি তুমি তর্ক কর, "তা কিভাবে সম্ভব? এ তো প্রাণীর মল।" কিন্তু বেদে বলা হচ্ছে... কারণ সেই জ্ঞান অভ্রান্ত এমনকি আমরা যুক্তি দিয়েও দেখাতে পারব না প্রাণীর মল কিভাবে শুদ্ধ হয় কিন্তু তা পবিত্র। তাই বৈদিক জ্ঞান অভ্রান্ত তাই আমরা যদি বেদ থেকে জ্ঞান গ্রহণ করি তাহলে আমাদের গবেষণা করার অনেক সময় বেঁচে যাবে। আমরা খুব গবেষণা করতে পছন্দ করি। সবকিছুই বেদে বলা আছে শুধু শুধু কেন সময় নষ্ট করবেন?

এই হচ্ছে বৈদিক জ্ঞান বৈদিক জ্ঞান মানে তা পরমেশ্বর ভগবান দ্বারা প্রদত্ত সেটি হচ্ছে বৈদিক জ্ঞান। অপৌরুষেয় তা আমার মতো কোন সাধারণ মানুষের দ্বারা বলা জ্ঞান নয় যদি আমরা বৈদিক জ্ঞান গ্রহণ করি, ভগবান কৃষ্ণ যা বলেছেন তা যথাযথ ভাবে নিই, অথবা তাঁর প্রতিনিধির থেকে... কারণ তাঁর প্রতিনিধি এমন কিছু বলবেন না যা শ্রীকৃষ্ণ বলেন নি তাই তিনি প্রতিনিধি কৃষ্ণভাবনাময় ব্যক্তিরাই তাঁর প্রতিনিধি কারণ একজন কৃষ্ণভাবনাময় ব্যক্তি কোন আজেবাজে কথা বলবেন না শ্রীকৃষ্ণের কথার বাইরে কিছু বলবেন না। সেটাই হচ্ছে পার্থক্য অন্যান্য বদমাশ , বাজে লোকেরা কৃষ্ণের কথার বাইরে নিজেদের মনগড়া কথা বলবে কৃষ্ণ বলেছেন, মন্মনা ভব মদ্ভক্ত মদ্‌যাজী মাম্‌ নমস্কুরু (গীতা ১৮/৬৫) কিন্তু বদমাশ পণ্ডিতেরা বলবে, "না, না, ওটা কৃষ্ণ নয়, অন্য কারোর কাছে"। এসব বাজে কথা কোথায় পেল? শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন, মন্মনা ভব মদ্ভক্ত মদ্‌যাজী মাম্‌ নমস্কুরু (গীতা ১৮/৬৫) তাহলে তুমি কেন সেটি বিকৃত করছ? কেন তুমি বলছ অন্য কিছুর কাছে? "এটি কৃষ্ণের ভেতরে থাকা অন্য কিছুর কথা বলা হচ্ছে।" এসব তোমরা জানবে ... আমি নাম বলতে চাই না এই ধরণের বহু বদমাশ পণ্ডিত আছে। তারা এইভাবে ব্যাখ্যা করে এই কারণে, যদিও ভগবদ্গীতা ভারতের জ্ঞানগ্রন্থ তারপরও বহু বহু লোক ভ্রান্ত পরিচালিত হচ্ছে... এইসব বদমাশ পণ্ডিত, তথাকথিত পণ্ডিতদের কারণে কারণ ওরা কেবল ভুল ব্যাখ্যা করে।

তাই আমরা ভগবদগীতা যথাযথ উপস্থাপন করছি কৃষ্ণ বলেছেন, সর্বধর্মান্‌ পরিত্যাজ্য মামেকম্‌ শরণম্‌ ব্রজ (গীতা ১৮/৬৬) আমরা এই কথা প্রচার করছি যে, "কৃষ্ণ ভাবনাময় হন কেবল কৃষ্ণের ভক্ত হন। তাঁকে আপনার সম্মান প্রদান করুন..." সকলকে সম্মান করতে হবে। তুমি পরমেশ্বর নও কাজ পেতে গেলে তোমাকে অন্য কারোর তোষামোদ করতে হয় এমনকি ভাল পদ পেলেও তোমাকে তোষামোদ করতে হয় এমনকি দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে গেলেও তোমাকে দেশের লোকেদের তোষামোদ করতে হবে, "দয়া করে আমাকে ভোট দিন দয়া করুন, আমি আপনাদের অনেক সুযোগসুবিধা করে দেব" এইভাবে তোমাকে তোষামোদ করতে হবে। এটাই বাস্তব তুমি অনেক বড় কেউ হতে পার। কিন্তু তোমাকে কারোর না কারো তোষামোদ করতে হবে তোমাকে কোন না কোন প্রভু গ্রহণ করতে হবে। তাহলে কেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে প্রভু বলে গ্রহণ করছ না? কি সমস্যা এতে? "না আমি কৃষ্ণ বাদে হাজার হাজার প্রভু গ্রহণ করব"। এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা "আমি কৃষ্ণ বাদে হাজারটা শিক্ষক গ্রহণ করব। এটাই আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা"। তাহলে আমরা কি করে সুখী হব? কেবল মাত্র কৃষ্ণকে গ্রহণ করার দ্বারাই সুখী হওয়া যাবে।

ভোক্তারম্‌ যজ্ঞ তপসাম্‌
সর্বলোকমহেশ্বরম্‌
সুহৃদম্‌ সর্বভূতানাম্‌
জ্ঞাত্বা মাম্‌ শান্তিমৃচ্ছতি
(গীতা ৫/২৯)

এই হচ্ছে শান্তির উপায়। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "আমি ভোক্তা, তুমি ভোক্তা নও।" তুমি ভোক্তা নও। তুমি প্রেসিডেন্ট হতে পার, সেক্রেটারি হতে পার; তুমি যা খুশিই হতে পার কিন্তু তুমি ভোক্তা নও। কৃষ্ণ হচ্ছেন ভোক্তা। এটা জানতে হবে। ঠিক যেমন... আমি এখানে এসেছি, আমি একটা চিঠি পেয়েছি অন্ধ্র রিলিফ্‌ কমিটি থেকে যদি কৃষ্ণ সন্তুষ্ট না হন, তাহলে রিলিফ্‌ কমিটি দিয়ে কি হবে? কেবল কিছু টাকা সংগ্রহ করে কি হবে? না তা সম্ভব না। এখন বৃষ্টি হচ্ছে। এখন লাভ হবে। কিন্তু এই বৃষ্টিও শ্রীকৃষ্ণের কৃপার ওপর নির্ভর করে, তা আপনাদের তহবিল গঠনের ওপর নির্ভর করার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে না।