BN/Prabhupada 0050 - তারা জানে না যে পরবর্তী জীবনটি কি
Lecture on BG 16.5 -- Calcutta, February 23, 1972
প্রকৃতি, কৃষ্ণের আদেশ অনুযায়ী, আমাদেরকে সুযোগ দিচ্ছে। জন্ম ও মৃত্যুর চক্র হতে আমাদের বেরবার সুযোগ দিচ্ছে। জন্ম-মৃত্যু-জড়া-ব্যাধি দুঃখ-দোসানুদশনম (ভা।গী ১৩।৯) জন্ম-মৃত্যু-জড়া-ব্যাধি ,জীবনের এই চারটি সমস্যা গুলি দেখে বুদ্ধিমান হওয়া উচিত: এটি পুরো বৈদিক প্রক্রিয়া-কিভাবে এই এই চারটি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের সুযোগ দেওয়া হয়, তুমি এটা করো, তুমি ওটা করো, একটি নিয়ন্ত্রিত জীবন। যাতে শেষ পর্যন্ত তিনি বেরিয়ে আসতে পারেন।
অতএব ভগবান বলেছেন, দৈবী সম্পদ বিমুকশায়া (ভা.গী ১৬।৫) যদি আপনি দৈবী সম্পদ বিকাশ করেন, এই গুনগুলি , যা আগে বর্ণিত হয়েছে। অহিংসা ,সত্ত্ব,সংশুদ্ধি, অহিংসা, অনেক কিছু - তারপর আপনি বেরিয়ে আসবেন, বিমুকশায়া। দুর্ভাগ্যবশত, আধুনিক সভ্যতা, তারা জানে না বিমুকশায়া কি। তারা এত অন্ধ, তারা জানে না তাদের অবস্থা সমন্ধে, যাকে বলে বিমুকশায়া। তারা জানে না. তারা পরবর্তী জীবন কি জানে না। কোন শিক্ষাগত ব্যবস্থা নেই। আমি সারা বিশ্বে ভ্রমণ করছি। আত্মার দেহন্তর সম্পর্কে শিক্ষা প্রদানের জন্য কোন একটি সংস্থা নেই, কিভাবে একটি ভাল জীবন পেতে পারেন কিন্তু তারা বিশ্বাস করে না। তাদের কোন জ্ঞান নেই। এটা অসূরী সম্পদ।
যেটা এখানে বর্ণনা করা হবে: প্রবৃতিং চ নিবৃিতিং চ জানা না বিদুর অসুরা। প্রবৃতিং, প্রবৃতিং মানে আকর্ষণ বা সংযুক্তি। কি ধরনের কার্যক্রম আমাদের সংযুক্ত করা উচিত, এবং কি ধরনের কার্যক্রম আমাদের আলাদা করা উচিত, যারা অসুর তারা জানে না। প্রবৃতিং চ নিবৃিতিং চ। প্রবৃতিং চ নিবৃিতিং চ জানা না বিদুর অসুরা। না সৌচাং নাপি চাচড়ো না সত্যম তেসু বিদ্যতে (ভা. গী. ১৬.৭) এরাই অসুর। তারা জানেন না কিভাবে কোন দিকে তাদের জীবন নির্দেশ করা উচিত। এর নাম প্রবৃত্তি , এবং কি ধরনের জীবন তাদের আলাদা করা উচিত, ছেড়ে দাও, নিবৃতি। প্রবিত্তিস তু জিবত্মানা। এটা অন্য একটি। ভুনাম। নৃবৃতিস তু মহাফলম। সমগ্র শাস্ত্র।
পুরো বৈদিক দিক হল প্রবৃত্তি-নিবৃতি। তারা ধীরে ধীরে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ঠিক যেমন লোকেব্যাবয়মিসা মদ্যা সেবা নিত্যা সুজানটঃ (১১।৫।১১)| একটি জীবন্ত সত্ত্বার জন্য প্রাকৃতিক প্রবণতা আছে , ব্যাবয়া ,যৌন জীবন। এবং মদ্য সেবা, নেশা ; আমিষ সেবা, এবং মাংস আহার। একটি প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি আছে। কিন্তু অসুর, তারা এটা থামাতে চেষ্টা করবে না। তারা এটি বৃদ্ধি করতে চান। এটা অসুর জীবন। আমার কিছু রোগ আছে। যদি আমি এটাকে সাড়াতে চাই , তাহলে ডাক্তার আমাকে কিছু প্রেসক্রিপশন দেয়, যে কিছু না নিতে। যেমন ডায়াবেটিস রুগী , ভুলে যায় চিনি খাবার কথা, স্টার্চ নেবার কথা। নিবৃত্তি ,
যেমন শাস্ত্র আমাদের নির্দেশ দেয়। তোমাকে এটি গ্রহণ করতে হবে এবং তোমাকে এটি ত্যাগ করতে হবে। শুধু আমাদের সমাজের মত, আমরা তুলে নিয়েছি সবচেয়ে অপরিহার্য নিবৃত্তি এবং প্রবৃত্তি। প্রবৃত্তি... আমরা আমাদের ছাত্রদেরকে শিক্ষা দিই, অবৈধ সংগ ত্যাগ ,মাংসাহার ত্যাগ, দ্যুতক্রিড়া ত্যাগ করতে। আমিশা সেবা নিত্য সুজান্তো। কিন্তু শাস্ত্র বলছে যদি তুমি ত্যাগ কর, নৃবৃতিস তু মহাফলম , তারপর আপনার জীবন সফল। কিন্তু আমরা প্রস্তুত নই। যদি আপনি প্রবৃত্তিটি গ্রহণ করতে প্রস্তুত না হন এবং নিবৃত্তি গ্রহণ না করেন তাহলে একজনকে অবশ্যই জানা উচিত যে তিনি আসুর। কৃষ্ণ এখানে বলেছেন , প্রবৃত্তিং চ নিবৃত্তিং চ জানা না বিদুর আসুর (ভা.গী ১৬।৭)।
তারা জানে না.. ওটাকি, তারা বলে এমন কি বড় বড় স্বামীরা বলেন যে এখানে কিসের ভুল। তোমরা যা কিছু খাও ,কোনও ব্যাপার না , তুমি যা কিছু করতে পারো। শুধু আমাকে ফিস দাও এবং আমি তোমাদের কিছু স্পেশাল মন্ত্র দেব, এই ভাবে সব কিছু চলছে।