BN/Prabhupada 0038 - জ্ঞান বেদ থেকে উৎপন্ন হয়: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0038 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0037 - जो कृष्ण को जानता है, वह गुरू है|0037|HI/Prabhupada 0039 - आधुनिक नेता कठपुतली के समान है|0039}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0037 - যিনি কৃষ্ণকে জানেন, তিনি গুরু|0037|BN/Prabhupada 0039 - আধুনিক নেতা কেবল একটি পুতুলের মত|0039}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<div class="center">
<div class="center">
Line 19: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|I6imIalHn10|জ্ঞান বেদ থেকে প্রাপ্ত হয়<br />- Prabhupāda 0038}}
{{youtube_right|r-c-dD5Daw4|জ্ঞান বেদ থেকে উৎপন্ন হয়<br />- Prabhupāda 0038}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 31: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
কৃষ্ণ আছেন । আমরা কৃষ্ণএর ছবি পেয়েছি, কৃষ্ণের মন্দির, কৃষ্ণ এর অনেককিছু । তারা কল্পনাপ্রসূত নয়, তারা কল্পনা না । মায়াবাদী দার্শনিক মনে করে, যে "আপনি আপনার মন কল্পনা করতে পারেন ।" না । ঈশ্বরের কল্পনা করা যায় না । এটা আরেকটি মূর্খতা । কিভাবে আপনি ঈশ্বরের কল্পনা করতে পারেন? তারপর ঈশ্বর আপনার কল্পনার বিষয় হয়ে যান । তিনি কোন পদার্থ নয় । এটা ঈশ্বর নয় । যা কল্পনা করা হয়, তা ঈশ্বর না ।
শ্রীকৃষ্ণ রয়েছেন। আমাদের কাছে শ্রীকৃষ্ণের আলেখ্য আছে, শ্রীকৃষ্ণের ছবি আছে, শ্রীকৃষ্ণের মন্দির আছে, শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কিত এতকিছু রয়েছে। এসব কল্পনাপ্রসূত নয়, এগুলো কোন কল্পনা নয়, যেমনটা মায়াবাদী দার্শনিকেরা বোঝায়, যে "আপনি আপনার মনে মনে কল্পনা করতে পারেন।" না। ভগবানকে কল্পনা করা যায় না। সেটি আরেকটি মূর্খতা। কিভাবে আপনি ভগবানকে কল্পনা করতে পারেন? তাহলে ভগবান আপনার কল্পনার বিষয়বস্তু হয়ে যাবে। তিনি কোন জড় পদার্থ নন। তা ভগবান নয়। যা কল্পনা করা হয়, তা ভগবান নয়। ভগবান আপনার সামনেই উপস্থিত, শ্রীকৃষ্ণ। তিনি এই ধরাধামে আসেন। তদাত্মানং সৃজাম্যহম, সম্ভবামি যুগে যুগে। সুতরাং যারা ভগবানকে দেখেছেন, আপনি তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
 
:তদ বিদ্ধি প্রণিপাতেন
:পরিপ্রশ্নেন সেবয়া
:উপদেক্ষ্যন্তি তে জ্ঞানং
:জ্ঞানিনস্তত্ত্বদর্শিনঃ
:([[Vanisource:BG 4.34 (1972)|ভগবদ্গীতা ৪.৩৪]])


ঈশ্বর আপনার সামনে উপস্থিত, কৃষ্ণ । তিনি এখানে এই পৃথিবীতে আসেন । তাদৎমনম শীযআহম, সমভামি যুগ যুগ ([[Vanisource:BG 4.8|ভ গী ৪।৮]]) সুতরাং যারা ঈশ্বরকে দেখেছেন, তাদের কাছ থেকে আপনি তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন ।
তত্ত্ব-দর্শিনঃ। যতক্ষণ আপনি না দেখেছেন, কিভাবে আপনি অন্যকে সত্যের তথ্য দিতে পারেন? তাই ভগবানকে দেখা সম্ভব, শুধুমাত্র ইতিহাসেই নয়। ইতিহাসে, যখন শ্রীকৃষ্ণ এই গ্রহে উপস্থিত ছিলেন।  কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ইতিহাস, যেখানে এই ভগবদ্গীতা বলা হয়েছিল এটি একটি ঐতিহাসিক তথ্য। তাই আমরা ইতিহাসের মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দেখতে পারি আবার শাস্ত্রের মাধ্যমেও তাঁকে দেখতে পারি। শাস্ত্রচক্ষুসা। যেমন ঠিক এই মুহূর্তে শ্রীকৃষ্ণ শারীরিকভাবে উপস্থিত নেই। কিন্তু আমরা শাস্ত্রের মাধ্যমে বুঝতে পারি শ্রীকৃষ্ণ কি ?
:তাদ্ বৃদ্ধী প্রণিপাতেন
:পরিপ্রস্নেন ্সেবয়া
:উপদেক্ষানতিতে জ্ঞানম
:তত্তব-দরশিন
:([[Vanisource:BG 4.34|ভ গী ৪|৩৪]])


তত্ব-দশীন । যতক্ষণ না আপনি দেখেছেন, কিভাবে আপনি অন্যদের সত্যের তথ্য দিতে পারেন? তাই ঈশ্বরকে দেখা সম্ভব,শুধুমাত্র ইতিহাসেই নয় । ইতিহাসে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ইতিহাস, যখন কৃষ্ণ এই গ্রহে উপস্থিত ছিলেন । যেখানে এই ভগবত-গীতা কথিত হয়েছিল । এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য । তাই আমরা ইতিহাস ও শাস্ত্রের মাধ্যমে ভগবানের শ্রীকৃষ্ণকে দেখতে পারি । শাস্ত্র - চক্ষুসা । বর্তমান মুহূর্তের মত, কৃষ্ণ শারীরিকভাবে উপস্থিত নেই । কিন্তু আমরা শাস্ত্রের মাধ্যমে বুঝতে পারি কৃষ্ণ কি ? তাই শাস্ত্র - চক্ষুসা । শাস্ত্র ... আপনি সরাসরি বা শাস্ত্রের মাধ্যমে পরিপূনতা পেতে পারেন । শাস্ত্রের মাধ্যমে পরিপূনতা প্রত্যক্ষ পরিপূনতার চেয়ে ভাল । অতএব আমাদের জ্ঞান, যারা বেদিক নীতি অনুসরণ করছে, তাদের জ্ঞান বেদ থেকে পাওয়া যায় । তারা কোন জ্ঞান উৎপাদন করে না । যদি একটি বিষয় বেদ প্রমাণ দ্বারা বোঝা হয়, সেটি প্রকৃত বিষয় । তাই কৃষ্ণকে  বেদ এর  মাধ্যমে বোঝা যায় । বেদাসঃ চ  সরভইর অহম ইভা বেদাহ  ([[Vanisource:BG 15.15|ভ গী ১৫.১৫]])। এগুলি ভগবত-গীতাতে বর্ণিত হয়েছে। আপনি কৃষ্ণকে কল্পনা করতে পারবেন । যদি কিছু পাগল বলে যে, "আমি কল্পনা করছি" সেটি পাগলামি। আমাদের  বেদের মাধ্যমে কৃষ্ণকে দেখতে হবে । বেদাসঃ চ  সরভইর অহম ইভা বেদাহ  ([[Vanisource:BG 15.15|ভ গী ১৫.১৫]]) । এটা বেদ অধ্যয়ন করার উদ্দেশ্য। অতএব এটাকে বেদান্ত বলা হয় । কৃষ্ণ সম্নদ্ধিয়  জ্ঞানই বেদান্ত ।
তাই শাস্ত্রচক্ষুসা। শাস্ত্র... হয় আপনি প্রত্যক্ষ অনুভূতি নিন অথবা শাস্ত্রের মাধ্যমেই নিন। শাস্ত্রের মাধ্যমে গ্রহণ করা অনুভূতি, প্রত্যক্ষ অনুভূতির চেয়ে ভাল। অতএব আমাদের জ্ঞান, যা বৈদিক নীতিসমূহ অনুসরণ করছে, তাদের জ্ঞান বেদ থেকে নেওয়া হয়েছে। তারা কোন মনগড়া জ্ঞান বানায় করে না। যদি একটি বিষয় বেদের প্রমাণ দ্বারা বোঝা যায়, তবে সেটি একটি বাস্তব সত্য। তাই শ্রীকৃষ্ণকে বেদের মাধ্যমে বুঝতে হয়। বেদৈশ্চ সর্বৈরহমেব বেদ্য ([[Vanisource:BG 15.15 (1972)|ভগবদ্গীতা ১৫.১৫]])। ভগবদ্গীতাতে সে কথাই বর্ণিত হয়েছে। আপনি শ্রীকৃষ্ণকে কল্পনা করতে পারেন না। যদি কোন বদমাশ বলে যে, "আমি কল্পনা করছি" সেটি তার মূর্খামি। আপনাকে বেদের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণকে দেখতে হবে। বেদৈশ্চ সর্বৈরহমেব বেদ্য ([[Vanisource:BG 15.15 (1972)|ভগবদ্গীতা ১৫.১৫]])। এই হচ্ছে বেদ অধ্যয়ন করার উদ্দেশ্য। অতএব একে বেদান্ত বলা হয়। শ্রীকৃষ্ণের সন্মন্ধে জ্ঞানই হল বেদান্ত।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 10:10, 2 June 2021



Lecture on BG 7.1 -- Hong Kong, January 25, 1975

শ্রীকৃষ্ণ রয়েছেন। আমাদের কাছে শ্রীকৃষ্ণের আলেখ্য আছে, শ্রীকৃষ্ণের ছবি আছে, শ্রীকৃষ্ণের মন্দির আছে, শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কিত এতকিছু রয়েছে। এসব কল্পনাপ্রসূত নয়, এগুলো কোন কল্পনা নয়, যেমনটা মায়াবাদী দার্শনিকেরা বোঝায়, যে "আপনি আপনার মনে মনে কল্পনা করতে পারেন।" না। ভগবানকে কল্পনা করা যায় না। সেটি আরেকটি মূর্খতা। কিভাবে আপনি ভগবানকে কল্পনা করতে পারেন? তাহলে ভগবান আপনার কল্পনার বিষয়বস্তু হয়ে যাবে। তিনি কোন জড় পদার্থ নন। তা ভগবান নয়। যা কল্পনা করা হয়, তা ভগবান নয়। ভগবান আপনার সামনেই উপস্থিত, শ্রীকৃষ্ণ। তিনি এই ধরাধামে আসেন। তদাত্মানং সৃজাম্যহম, সম্ভবামি যুগে যুগে। সুতরাং যারা ভগবানকে দেখেছেন, আপনি তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

তদ বিদ্ধি প্রণিপাতেন
পরিপ্রশ্নেন সেবয়া
উপদেক্ষ্যন্তি তে জ্ঞানং
জ্ঞানিনস্তত্ত্বদর্শিনঃ
(ভগবদ্গীতা ৪.৩৪)

তত্ত্ব-দর্শিনঃ। যতক্ষণ আপনি না দেখেছেন, কিভাবে আপনি অন্যকে সত্যের তথ্য দিতে পারেন? তাই ভগবানকে দেখা সম্ভব, শুধুমাত্র ইতিহাসেই নয়। ইতিহাসে, যখন শ্রীকৃষ্ণ এই গ্রহে উপস্থিত ছিলেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ইতিহাস, যেখানে এই ভগবদ্গীতা বলা হয়েছিল । এটি একটি ঐতিহাসিক তথ্য। তাই আমরা ইতিহাসের মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দেখতে পারি আবার শাস্ত্রের মাধ্যমেও তাঁকে দেখতে পারি। শাস্ত্রচক্ষুসা। যেমন ঠিক এই মুহূর্তে শ্রীকৃষ্ণ শারীরিকভাবে উপস্থিত নেই। কিন্তু আমরা শাস্ত্রের মাধ্যমে বুঝতে পারি শ্রীকৃষ্ণ কি ?

তাই শাস্ত্রচক্ষুসা। শাস্ত্র... হয় আপনি প্রত্যক্ষ অনুভূতি নিন অথবা শাস্ত্রের মাধ্যমেই নিন। শাস্ত্রের মাধ্যমে গ্রহণ করা অনুভূতি, প্রত্যক্ষ অনুভূতির চেয়ে ভাল। অতএব আমাদের জ্ঞান, যা বৈদিক নীতিসমূহ অনুসরণ করছে, তাদের জ্ঞান বেদ থেকে নেওয়া হয়েছে। তারা কোন মনগড়া জ্ঞান বানায় করে না। যদি একটি বিষয় বেদের প্রমাণ দ্বারা বোঝা যায়, তবে সেটি একটি বাস্তব সত্য। তাই শ্রীকৃষ্ণকে বেদের মাধ্যমে বুঝতে হয়। বেদৈশ্চ সর্বৈরহমেব বেদ্য (ভগবদ্গীতা ১৫.১৫)। ভগবদ্গীতাতে সে কথাই বর্ণিত হয়েছে। আপনি শ্রীকৃষ্ণকে কল্পনা করতে পারেন না। যদি কোন বদমাশ বলে যে, "আমি কল্পনা করছি" সেটি তার মূর্খামি। আপনাকে বেদের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণকে দেখতে হবে। বেদৈশ্চ সর্বৈরহমেব বেদ্য (ভগবদ্গীতা ১৫.১৫)। এই হচ্ছে বেদ অধ্যয়ন করার উদ্দেশ্য। অতএব একে বেদান্ত বলা হয়। শ্রীকৃষ্ণের সন্মন্ধে জ্ঞানই হল বেদান্ত।