BN/Prabhupada 0060 - জড় বস্তু থেকে জীবন আসতে পারে না: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0060 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - C...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0059 - अपने वास्तविक कर्तव्य को मत भूलो|0059|HI/Prabhupada 0061 - यह शरीर त्वचा, हड्डी, रक्त का एक थैला है|0061}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0059 - আপনার প্রকৃত করণীয় ভুলে যাবেন না|0059|BN/Prabhupada 0061 - এই দেহটি একটি চামড়া, হাড় ও রক্তের থলে মাত্র|0061}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|--SPnZPqU6g|মধ্যম থেকে জীবন আসা সম্ভব নয়<br />- Prabhupāda 0060}}
{{youtube_right|--SPnZPqU6g|জড় বস্তু থেকে জীবন আসতে পারে না<br />- Prabhupāda 0060}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
প্রভুপাদ: আমরা বলি, যখন জীবন, জীবন্ত সত্তা, সেমিনারে আছে এবং এটি মহিলার গর্ভ মধ্যে করা হয়, তারপর শরীরের বিকাশ করা হয়। শুরুতে জীবন। এটাই বাস্তব। এবং এই জীবন সর্বোচ্চ জীবনের অংশ এবং মোড়ক। সুতরাং শুরুতে ঈশ্বর। জন্মাদ অস্য যথা:([[Vanisource:SB 1.1.1|শ্রী. ভা. ..১]])। অথাতো ব্রহ্মা জিজ্ঞাসা। সুতরাং আমদের এই রহস্যময় বিশ্বের এই তত্ত্ব স্থাপন করতে হবে ... আর এ ছাড়া, কেন তারা বিষয় থেকে জীবন তৈরি করতে পারে না? তাদের বিবৃতি মূল্য কি? যে তারা করতে সক্ষম হয় নি। কোথায় প্রমাণ যে বিষয় থেকে জীবন আসে? তুমি এটা কর।
শ্রীল প্রভুপাদঃ আমরা বলি যে, জীবন অর্থাৎ জীবসত্তা বীর্যে থাকে এবং তা যখন স্ত্রীলোকের গর্ভে প্রবেশ করে, তখন দেহ বিকাশ হতে থাকে। শুরুটা হয় জীবনের মাধ্যমে। সেটিই বাস্তব। আর এই জীবসত্তাটি পরম সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অতএব সূচনাটি হচ্ছেন ভগবান। জন্মাদ্যস্য যতঃ ([[Vanisource:SB 1.1.1|ভাগবত //১]]) সুতরাং আমাদেরকে ভ্রান্তভাবে পরিচালিত বিশ্বে এই তত্ত্বটি স্থাপন করতে হবে এর পাশাপাশি এই কথাটিও আসছে যে তারা কেন জড় বস্তু থেকে জীবন সৃষ্টি করতে পারছে না? যে কাজ তারা করতে পারে নি, তাহলে তাদের কথার কি মূল্য রয়েছে? এর প্রমাণ কোথায় যে জড় থেকে জীবনের সৃষ্টি হচ্ছে? এটি করে দেখাও।


শ্বরূপা দামোদারা: প্রমাণ তদন্তের অধীনে হয়
স্বরূপ দামোদরঃ প্রমাণ সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।


প্রভুপাদ: এহ? এটা অর্থহীন। এটা অর্থহীন। এই প্রমাণ, জীবন থেকে, জীবন আসছে, প্রমাণ আছে, অনেক প্রমাণ। একটি মানুষ, পশু, গাছ-সবকিছু জীবন থেকে আসছে। এখন পর্যন্ত, কেও দেখেনি যে একজন মানুষ পাথর থেকে জন্ম নেয়। কেউ দেখেনি। কখনও কখনও এটিকে ভরসচিকা-তন্ডুল-ন্যায় বলা হয়। তুমি এটা জান? ভরসচিকা-তন্ডুল-ন্যায়। ভরসচিকা মানে বৃশ্চিক, এবং তন্ডুল মানে চাল। কখনও কখনও আমরা চালের কিছু গাদা দেখতে, বৃশ্চিকরা আসছে। কিন্তু সেই চাল সেই বৃশ্চিক বৃন্তকে জন্ম দেয় না। তুমি তোমার দেশে দেখনি? আমরা এটা দেখেছি। ধান থেকে, ধানের গাদা, এক বিছিন্ন, ক্ষুদ্র বৃশ্চিক, আসছে। সত্য হলো বৃশ্চিকের পিতা আর মাতা, তারা তাদের ডিমগুলিকে চালের ভিতরে রাখে, এবং ঢেকে রাখে, সেই বৃশ্চিক বেরিয়ে আসে, এটা নয় যে চাল থেকে বৃশ্চিক বেরিয়ে আসে. অতএব এটাকে ভরসচিকা-তণ্ডুল-ন্যায় বলা হয়। ভরসচিকা মানে বৃশ্চিক, এবং তণ্ডুল মানে চাল।
শ্রীল প্রভুপাদঃ আহ! সেটি একটি বাজে কথা। একদম বাজে কথা। জীবন থেকে জীবনের সৃষ্টি হচ্ছে, এর ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে। মানুষ, পশু, গাছপালা - এই সব কিছুই জীবন থেকে সৃষ্টি। এখনও পর্যন্ত কেউ দেখেনি যে একটি পাথর থেকে একজন মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। কেউই দেখে নি। কখনও কখনও একে বলা হয় বৃশ্চিক-তণ্ডুল ন্যায়। তোমরা এটি জানো? বৃশ্চিক-তণ্ডুল ন্যায়। বৃশ্চিক মানে শুঁয়োপোকা আর তণ্ডুল মানে চাল। কখনও কখনও দেখা যায় যে একটি চালের স্তুপ থেকে শুঁয়োপোকা বেরিয়ে আসছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে চাল থেকে সেই শুঁয়োপোকার জন্ম হয়েছে। তোমাদের দেশে তোমরা এটি দেখো নি? আমরা দেখেছি। চাউলের স্তুপ থেকে একটি ছোট্ট শুঁয়োপোকা বেরিয়ে আসছে। আসল কথাটি হচ্ছে, সেই শুঁয়োপোকার পিতা-মাতা ঐ চাউলের স্তুপে ডিমগুলো রেখে তাতে উতসেচন করেছে এবং তাঁর ফলে শুঁয়োপোকা বেরিয়ে এসেছে। এমন না যে চাউল থেকে শুঁয়োপোকা জন্মিয়েছে। তাই একে বলা হয় বৃশ্চিক-তণ্ডুল ন্যায়। বৃশ্চিক মানে শুঁয়োপোকা এবং তণ্ডুল মানে চাউল। সুতরাং "জড় থেকে জীবনের উদ্ভব হয়" - এটি একটা বৃশ্চিক-তণ্ডুল ন্যায়। জীবন কখনই জড় থেকে আসতে পারে না। এর পাশাপাশি ... ঠিক যেমন যখন জীবন থাকে, দেহটি বৃদ্ধি পায়, দেহের পরিবর্তন হয় অথবা বৃদ্ধি পায়, যেমনটাই তুমি বল। কিন্তু যদি একটি শিশু মারা যায় হয় অথবা মৃত শিশু বেরিয়ে আসে, তাহলে দেহটি আর বাড়ে না। মানে হচ্ছে জীবনের ওপর ভিত্তি করেই জড় বস্তুটি বৃদ্ধি পায়।
 
সুতরাং "জীবন পদার্থ থেকে আসছে" - এটাকে ভরসচিকা-তণ্ডুল-ন্যায় বলা হয়। জীবন পদার্থ থেকে আসতে পারে না। এর পাশাপাশি... যেমন যখন জীবন আছে, জীবন্ত সত্তা, শরীরের বৃদ্ধি, শরীরের পরিবর্তন বা বেড়ে ওঠে, যেমন আপনি বলেছিলেন। কিন্তু যদি শিশুটি মারা যায় বা মৃত্যু অবস্থায় বাইরে আসে, তাহলে দেহটি বৃদ্ধি পায় না| তারপর পদার্থ জীবনের উপর ক্রমবর্ধমান হয়।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:15, 4 June 2021



Room Conversation with Svarupa Damodara -- February 28, 1975, Atlanta

শ্রীল প্রভুপাদঃ আমরা বলি যে, জীবন অর্থাৎ জীবসত্তা বীর্যে থাকে এবং তা যখন স্ত্রীলোকের গর্ভে প্রবেশ করে, তখন দেহ বিকাশ হতে থাকে। শুরুটা হয় জীবনের মাধ্যমে। সেটিই বাস্তব। আর এই জীবসত্তাটি পরম সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অতএব সূচনাটি হচ্ছেন ভগবান। জন্মাদ্যস্য যতঃ (ভাগবত ১/১/১) সুতরাং আমাদেরকে ভ্রান্তভাবে পরিচালিত বিশ্বে এই তত্ত্বটি স্থাপন করতে হবে এর পাশাপাশি এই কথাটিও আসছে যে তারা কেন জড় বস্তু থেকে জীবন সৃষ্টি করতে পারছে না? যে কাজ তারা করতে পারে নি, তাহলে তাদের কথার কি মূল্য রয়েছে? এর প্রমাণ কোথায় যে জড় থেকে জীবনের সৃষ্টি হচ্ছে? এটি করে দেখাও।

স্বরূপ দামোদরঃ প্রমাণ সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

শ্রীল প্রভুপাদঃ আহ! সেটি একটি বাজে কথা। একদম বাজে কথা। জীবন থেকে জীবনের সৃষ্টি হচ্ছে, এর ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে। মানুষ, পশু, গাছপালা - এই সব কিছুই জীবন থেকে সৃষ্টি। এখনও পর্যন্ত কেউ দেখেনি যে একটি পাথর থেকে একজন মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। কেউই দেখে নি। কখনও কখনও একে বলা হয় বৃশ্চিক-তণ্ডুল ন্যায়। তোমরা এটি জানো? বৃশ্চিক-তণ্ডুল ন্যায়। বৃশ্চিক মানে শুঁয়োপোকা আর তণ্ডুল মানে চাল। কখনও কখনও দেখা যায় যে একটি চালের স্তুপ থেকে শুঁয়োপোকা বেরিয়ে আসছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে চাল থেকে সেই শুঁয়োপোকার জন্ম হয়েছে। তোমাদের দেশে তোমরা এটি দেখো নি? আমরা দেখেছি। চাউলের স্তুপ থেকে একটি ছোট্ট শুঁয়োপোকা বেরিয়ে আসছে। আসল কথাটি হচ্ছে, সেই শুঁয়োপোকার পিতা-মাতা ঐ চাউলের স্তুপে ডিমগুলো রেখে তাতে উতসেচন করেছে এবং তাঁর ফলে শুঁয়োপোকা বেরিয়ে এসেছে। এমন না যে চাউল থেকে শুঁয়োপোকা জন্মিয়েছে। তাই একে বলা হয় বৃশ্চিক-তণ্ডুল ন্যায়। বৃশ্চিক মানে শুঁয়োপোকা এবং তণ্ডুল মানে চাউল। সুতরাং "জড় থেকে জীবনের উদ্ভব হয়" - এটি একটা বৃশ্চিক-তণ্ডুল ন্যায়। জীবন কখনই জড় থেকে আসতে পারে না। এর পাশাপাশি ... ঠিক যেমন যখন জীবন থাকে, দেহটি বৃদ্ধি পায়, দেহের পরিবর্তন হয় অথবা বৃদ্ধি পায়, যেমনটাই তুমি বল। কিন্তু যদি একটি শিশু মারা যায় হয় অথবা মৃত শিশু বেরিয়ে আসে, তাহলে দেহটি আর বাড়ে না। মানে হচ্ছে জীবনের ওপর ভিত্তি করেই জড় বস্তুটি বৃদ্ধি পায়।