BN/Prabhupada 0113 - জিভকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0113 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1976 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 7: Line 7:
[[Category:BN-Quotes - in India, Vrndavana]]
[[Category:BN-Quotes - in India, Vrndavana]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- TO CHANGE TO YOUR OWN LANGUAGE BELOW SEE THE PARAMETERS OR VIDEO -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|French|FR/Prabhupada 0112 - On juge un arbre à ses fruits|0112|FR/Prabhupada 0114 - Un gentleman dont le nom est Krishna contrôle tous les êtres|0114}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0112 - একটি জিনিস ফলাফল দ্বারা বিচার করা হয়|0112|BN/Prabhupada 0114 - একজন ভদ্রলোক যার নাম কৃষ্ণ, তিনি সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করছেন|0114}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
তাই রঘুনাথ দাস গোস্বামী খুব কঠোরভাবে অনুসরণ করেছিলেন, চৈতন্য মহাপ্রভুও খুব কঠোরভাবে অনুসরণ করেছিলেন। এবং রুপ-সনাতন গোস্বামী খুব কঠোরভাবে অনুসরণ করেছিলেন। এটা না যে কারন একজন শর্ট কাট কাপড় দিয়ে বৃন্দাবনে বসবাস করছেন এবং সেইজন্য তিনি রূপ গোস্বামীর মত পরিণত হয়েছেন ... রূপ গোস্বামী সম্পূর্ণরূপে জড়িত ছিল। নানা-শাস্ত্র-বিচারনৈক-নিপুনৌ সদ্ধর্ম-সংস্থাপকৌ-লোকানাম হিতো-কারিনৌ। তারা বৃন্দাবনে ছিল, কিন্তু তারা সবসময় চিন্তা করতেন কিভাবে মানুষদের ভাল করা যায়, এই জড় জগতে। যেমন প্রহ্লাদ মহারাজ। শুচি ততো বিমুক্তা চেতস। সাধু এর চিন্তাধারা হচ্ছে বিভ্রান্তিকর জাগতিক ব্যক্তিদের চিন্তা করা। তারা সবসময় চিন্তা করে, পরিকল্পনা করে, কিভাবে তাদের মুক্ত করা যায় , তারা কষ্ট পাচ্ছে। এই হচ্ছে সাধু। লোকানাম হিতো কারিনো। সাধু, এই না যে "আমি এইভাবে আমার পোষাক পরিবর্তন করেছি, এবং অনুভূতির মানুষ আমাকে রুটি দেবে, আর আমি খাবো ও ঘুমাব। " এটা সাধু নয়। সাধু ... ভগবান, কৃষ্ণ বলেছেন কে সাধু। অপি চেৎ সু দুরাচারো ভজতে মাম অনন্য-ভাক সাধুর এব স মন্তব্য ([[Vanisource:BG 9.30|ভ.গী..৩০]]) এই হয় সাধু। যে তার জীবনকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করেছেন, তিনি সাধু। এমনকি তিনি কিছু খারাপ অভ্যাস পেয়েছেন ... খারাপ অভ্যাস, একজন সাধুর খারাপ অভ্যাস থাকতে পারে না, কারণ যদি সে একজন সাধু হয়, যদি শুরুতে তিনি কিছু খারাপ অভ্যাস থাকে, সেটি সংশোধন হবে। শশ্বত ভবতি ধর্মাত্মা, ক্ষিপ্রম ভবতি ধর্মাত্মা শশ্বত শান্তি নিগচ্ছতি। যদি সে প্রকৃতপক্ষে সাধু হয়, তার খারাপ অভ্যাসগুলো খুব তাড়াতাড়ি সংশোধন হয়ে যায়। খুব তাড়াতাড়ি, এই রকম নয় যে তার খারাপ অভ্যাসগুলি থাকবে এবং সেও সাধু। এটা হতে পারে না, সে সাধু নয়। হয়তো তার অতীত অভ্যাসের কারণে, সে হয়তো কিছু ভুল করেছে। এটা ক্ষমা করা যেতে পারে। কিন্তু যদি সে, সাধু নামে এবং মুক্ত মানুষ হয়ে যায়, সে সব নোংরা কাজ করে চলেছে, তবে সে ধোঁকাবাজ। সে সাধু নয়। অপি চেৎ সু দুরাচারো। চেৎ, যদি, যদি, হঠাৎ, এটা সম্ভব। কিন্তু যদি সে কৃষ্ণ ভাবনামৃতে অনড় থাকে, তবে ক্ষিপ্রম ভবতি ধর্মাত্মা শশ্বত শান্তি নিগচ্ছতি। প্রারম্ভে কিছু ভুল হতে পারে, কিন্তু আমদের দেখতে হবে "আমার ভুল এখন সঠিক কিনা?" এটা সতর্কতা হওয়া উচিত। মনকে বিশ্বাস করা উচিত নয়। এখানে এইটা নির্দেশ। মনকে বিশ্বাস করা উচিত নয়। আমার গুরু মহারাজ এ কথা বলেছিলেন "আপনি ঘুম থেকে উঠার পর, আপনি আপনার জুতা গ্রহণ করুন এবং আপনার মনকে শত বার মারুন। এটি আপনার প্রথম কাজ। এবং বিছানায় যাওয়ার সময়, আপনি একটি ঝাঁটা নিয়ে যান এবং আপনার মনকে শত বার মারুন। তারপর আপনি আপনার মন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অন্যথায় এটি খুবই কঠিন। তাই এই হল ... জুতা এবং ঝাঁটা দিয়ে মারা আরেকটি তপস্যা। আমাদের মত পুরুষদের জন্য, যাদের মনের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, আমাদের এই তপস্যা অনুশীলন করা উচিত, জুতা এবং ঝাঁটা দিয়ে মনকে মারা। তারপর এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এবং স্বামী মানে যার মনের উপর নিয়ন্ত্রণ আছে। বাচো বেগম, ক্রোধো বেগম, উদার বেগম, উপস্থ বেগম, মনসো বেগম, ক্রোধো বেগম, এতান বেগান যো বিষহেত ধীর পৃথিবীং স শিষ্যাত ([[Vanisource:NOI 1|উ.দে. ১]]) এটা রূপ গোস্বামীর নির্দেশ। যখন আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, বাচো বেগম... এটা ক্রন্দন বেগম।(হাসি) তারা নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না অতএব তারা শিশু। সন্তানকে ক্ষমা করা যেতে পারে, কিন্তু যদি একজন ব্যক্তি আধ্যাত্মিক জীবনে থাকেন তবে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না, তারপর হতাশ হবেন। তারপর তিনি আশাহীন। এটা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। বাচো বেগম, ক্রোধ বেগম, উদার বেগম, উপস্থ বেগম। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে উদার বেগম এবং জীহ্বা বেগম। জীহ্বা বেগম, এটা খুব নিয়ন্ত্রিত। ভক্তি বিনোদ ঠাকুর বলেছেন " সকল ইন্দ্রিয় আছে কিন্তু তাদের মধ্যে এই জীহ্বা হচ্ছে খুব ভয়ানক।" তার মধ্যে জীহ্বা অতি লোভময় সুদুরমতি তাকে জেতা কঠিন সংসারে। এটা খুব, খুব কঠিন জীহ্বাকে নিয়ন্ত্রন করা।
রঘুনাথ দাস গোস্বামী অত্যন্ত কঠোরভাবে অনুসরণ করেছিলেন, চৈতন্য মহাপ্রভুও কঠোরভাবে অনুসরণ করেছিলেন। এবং শ্রীরূপ সনাতন গোস্বামীও অত্যন্ত কঠোরভাবে অনুসরণ করেছেন। এমন নয় যে কেউ বৃন্দাবনে অল্প জামা গায় দিচ্ছে বলেই সে রূপ গোস্বামীর মতো হয়ে যাবে রূপ গোস্বামী সম্পূর্ণভাবে যুক্ত ছিলেন নানাশাস্ত্র বিচারণৈক নিপুণৌ সদ্ধর্মসংস্থাপকৌ লোকানাম্‌ হিতকারিণৌ তাঁরা বৃন্দাবনে ছিলেন, কিন্তু সর্বদা চিন্তা করতেন কিভাবে লোকের মঙ্গল করা যায়, এই জগতের কল্যাণ করা যায় ঠিক প্রহ্লাদ মহারাজের মতো। শোচে ততো বিমুখ চেতসা ([[Vanisource:SB 7.9.43|SB 7.9.43]]) সাধুর চিন্তা হচ্ছে ভগবদবিমুখ ভ্রান্ত জনসাধারণের কথা ভাবা তাঁরা সর্বদা ভাবছেন, চিন্তা করছেন কিভাবে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করে তাদের মঙ্গল করা যায় এই হচ্ছে সাধুর স্বভাব। লোকানাম্‌ হিতকারিণৌ সাধু , এমন নয় যে "আমি আমার পোশাক এইরকম ভাবে বদলেছি এবং মানুষের করুণা নিয়ে রুটি কাপড়ের ব্যবস্থা করে নিয়েছি, এখন খাব আর ঘুমাব"। তা সাধুর কাজ নয় সাধু ... ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন সাধু কে। অপি চেৎ সুদূরাচারো ভজতে মামনন্যভাক্‌ সাধুরেব স মন্তব্য ([[Vanisource:BG 9.30 (1972)|গীতা /৩০]]) এই হচ্ছে সাধু। যিনি তাঁর জীবনকে পূর্ণরূপে ভগবানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন তিনিই সাধু। এমনকি তাঁর কোন বাজে অভ্যাস থাকলেও... বাজে অভ্যাস, সাধুর বাজে অভ্যাস থাকতে পারে না। কারণ যদি কেউ সাধু হন শুরুতে হয়ত তাঁর কিছু বাজে অভ্যাস থাকতে পারে, কিন্তু তা পরিষ্কার হয়ে যাবে ক্ষিপ্রং ভবতি ধর্মাত্মা শশ্বৎ শান্তিম্‌ নিগচ্ছতি ([[Vanisource:BG 9.31 (1972)|ভগবদ গীতা 9.31]])। যদি তিনি প্রকৃতই সাধু হন, তাহলে শীঘ্রই তাঁর সব বাজে অভ্যাস দূর হয়ে যাবে অতি শীঘ্র। এমন না যে কেউ তার বাজে অভ্যাস ইচ্ছে করে ধরে রাখবে আর সাধুও হবে। তা হবে না। সেটি সাধুসুলভ নয়। হয়ত তার পূর্ব অভ্যাসবশত সে কিছু ভুল কাজ করে ফেলেছে। সেটি ক্ষমা করা যেতে পারে। কিন্তু সাধুর নাম করে, মুক্ত হয়ে গেছে মনে করে যদি বাজে কাজ করা চালিয়ে যায়, আজেবাজে কর্ম করে, তবে সে একটা প্রতারক। সে সাধু নয়। অপি চেৎ সুদূরাচারো। চেৎ, যদি, ঘটনাক্রমে, তা হতেও পারে। কিন্তু সে যদি কৃষ্ণভাবনামৃতের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে ক্ষিপ্রং ভবতি ধর্মাত্মা শশ্বৎ শান্তিম্‌ নিগচ্ছতি শুরুতে ভুল ত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের দেখতে হবে যে "সেই ভুলগুলি কি আমরা শুধরে নিতে পেরেছি?" সেইরকম ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। মনকে কখনও বিশ্বাস করতে নেই সেই কথাই এখানে উপদেশ করা হচ্ছে। মনকে কখনও বিশ্বাস করবে না আমার গুরুমহারাজ সেই কথা বলতেন "ঘুম থেকে উঠে জুতো দিয়ে মনকে একশ ঘা মারা উচিত এই হচ্ছে তোমার প্রথম কাজ। এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঝাড়ু নিয়ে তোমার মনকে একশ বার ঝাটা মারা উচিত তাহলে তুমি তোমার মনকে সংযত করতে পারবে, নয়ত তা অত্যন্ত কঠিন"।
 
এই জুতো আর ঝাঁটাপেটা করাটাও একটা তপস্যা আমাদের মতো মানুষদের জন্য মনের ওপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই আমাদের এই তপস্যা অভ্যাস করা উচিত। জুতো ও ঝাঁটা দিয়ে মনকে প্রহার করা উচিত তবেই তা নিয়ন্ত্রণ হতে পারে এবং স্বামী মানে যার মনের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ আছে বাচো বেগম্‌ ক্রোধ বেগম্‌ উদর বেগম্‌ উপস্থ বেগম্‌ মনস বেগম্‌ জিহ্বা বেগম্‌ এতান্‌ বেগান যো বিষহেত ধীরঃ পৃথিবীম্‌ অপি মাম্‌ শিষ্যাৎ ([[Vanisource:NOI 1|উপদেশামৃত ১]]) এই হচ্ছে শ্রীল রূপ গোস্বামীর উপদেশ। যখন আমরা বাচোবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব এই হচ্ছে ক্রন্দন বেগম্‌ (হাসি) ওরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না । তাই তারা শিশু শিশুকে ক্ষমা করা যেতে পারে, কিন্তু যে ব্যক্তি পারমার্থিক জীবনে আছে সে যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে তার কোন আশা নেই কোন আশা নেই তার। একে নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে বাচো বেগম্‌ ক্রোধ বেগম্‌ উদর বেগম্‌ উপস্থ বেগম্‌ মনস বেগম্‌ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উদর বেগম্‌ এবং জিহ্বা বেগম্‌ জিহ্বা বেগম্‌ । একে নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে ভক্তিবিনোদ ঠাকুর বলেছেন, "তাহার মধ্যে জিহ্বা অতি লোভময় সুদুর্মতি" "তাহার মধ্যে জিহ্বা অতি লোভময় সুদুর্মতি তাঁকে জেতা কঠিন সংসারে অত্যন্ত কঠিন, জিহবাকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 02:09, 3 December 2021



Lecture on SB 5.6.2 -- Vrndavana, November 24, 1976

রঘুনাথ দাস গোস্বামী অত্যন্ত কঠোরভাবে অনুসরণ করেছিলেন, চৈতন্য মহাপ্রভুও কঠোরভাবে অনুসরণ করেছিলেন। এবং শ্রীরূপ সনাতন গোস্বামীও অত্যন্ত কঠোরভাবে অনুসরণ করেছেন। এমন নয় যে কেউ বৃন্দাবনে অল্প জামা গায় দিচ্ছে বলেই সে রূপ গোস্বামীর মতো হয়ে যাবে রূপ গোস্বামী সম্পূর্ণভাবে যুক্ত ছিলেন নানাশাস্ত্র বিচারণৈক নিপুণৌ সদ্ধর্মসংস্থাপকৌ লোকানাম্‌ হিতকারিণৌ তাঁরা বৃন্দাবনে ছিলেন, কিন্তু সর্বদা চিন্তা করতেন কিভাবে লোকের মঙ্গল করা যায়, এই জগতের কল্যাণ করা যায় ঠিক প্রহ্লাদ মহারাজের মতো। শোচে ততো বিমুখ চেতসা (SB 7.9.43) সাধুর চিন্তা হচ্ছে ভগবদবিমুখ ভ্রান্ত জনসাধারণের কথা ভাবা তাঁরা সর্বদা ভাবছেন, চিন্তা করছেন কিভাবে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করে তাদের মঙ্গল করা যায় এই হচ্ছে সাধুর স্বভাব। লোকানাম্‌ হিতকারিণৌ সাধু , এমন নয় যে "আমি আমার পোশাক এইরকম ভাবে বদলেছি এবং মানুষের করুণা নিয়ে রুটি কাপড়ের ব্যবস্থা করে নিয়েছি, এখন খাব আর ঘুমাব"। তা সাধুর কাজ নয় সাধু ... ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন সাধু কে। অপি চেৎ সুদূরাচারো ভজতে মামনন্যভাক্‌ সাধুরেব স মন্তব্য (গীতা ৯/৩০) এই হচ্ছে সাধু। যিনি তাঁর জীবনকে পূর্ণরূপে ভগবানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন তিনিই সাধু। এমনকি তাঁর কোন বাজে অভ্যাস থাকলেও... বাজে অভ্যাস, সাধুর বাজে অভ্যাস থাকতে পারে না। কারণ যদি কেউ সাধু হন শুরুতে হয়ত তাঁর কিছু বাজে অভ্যাস থাকতে পারে, কিন্তু তা পরিষ্কার হয়ে যাবে ক্ষিপ্রং ভবতি ধর্মাত্মা শশ্বৎ শান্তিম্‌ নিগচ্ছতি (ভগবদ গীতা 9.31)। যদি তিনি প্রকৃতই সাধু হন, তাহলে শীঘ্রই তাঁর সব বাজে অভ্যাস দূর হয়ে যাবে অতি শীঘ্র। এমন না যে কেউ তার বাজে অভ্যাস ইচ্ছে করে ধরে রাখবে আর সাধুও হবে। তা হবে না। সেটি সাধুসুলভ নয়। হয়ত তার পূর্ব অভ্যাসবশত সে কিছু ভুল কাজ করে ফেলেছে। সেটি ক্ষমা করা যেতে পারে। কিন্তু সাধুর নাম করে, মুক্ত হয়ে গেছে মনে করে যদি বাজে কাজ করা চালিয়ে যায়, আজেবাজে কর্ম করে, তবে সে একটা প্রতারক। সে সাধু নয়। অপি চেৎ সুদূরাচারো। চেৎ, যদি, ঘটনাক্রমে, তা হতেও পারে। কিন্তু সে যদি কৃষ্ণভাবনামৃতের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে ক্ষিপ্রং ভবতি ধর্মাত্মা শশ্বৎ শান্তিম্‌ নিগচ্ছতি শুরুতে ভুল ত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের দেখতে হবে যে "সেই ভুলগুলি কি আমরা শুধরে নিতে পেরেছি?" সেইরকম ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। মনকে কখনও বিশ্বাস করতে নেই সেই কথাই এখানে উপদেশ করা হচ্ছে। মনকে কখনও বিশ্বাস করবে না আমার গুরুমহারাজ সেই কথা বলতেন "ঘুম থেকে উঠে জুতো দিয়ে মনকে একশ ঘা মারা উচিত এই হচ্ছে তোমার প্রথম কাজ। এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঝাড়ু নিয়ে তোমার মনকে একশ বার ঝাটা মারা উচিত তাহলে তুমি তোমার মনকে সংযত করতে পারবে, নয়ত তা অত্যন্ত কঠিন"।

এই জুতো আর ঝাঁটাপেটা করাটাও একটা তপস্যা আমাদের মতো মানুষদের জন্য মনের ওপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই আমাদের এই তপস্যা অভ্যাস করা উচিত। জুতো ও ঝাঁটা দিয়ে মনকে প্রহার করা উচিত তবেই তা নিয়ন্ত্রণ হতে পারে এবং স্বামী মানে যার মনের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ আছে বাচো বেগম্‌ ক্রোধ বেগম্‌ উদর বেগম্‌ উপস্থ বেগম্‌ মনস বেগম্‌ জিহ্বা বেগম্‌ এতান্‌ বেগান যো বিষহেত ধীরঃ পৃথিবীম্‌ অপি মাম্‌ শিষ্যাৎ (উপদেশামৃত ১) এই হচ্ছে শ্রীল রূপ গোস্বামীর উপদেশ। যখন আমরা বাচোবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব এই হচ্ছে ক্রন্দন বেগম্‌ (হাসি) ওরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না । তাই তারা শিশু শিশুকে ক্ষমা করা যেতে পারে, কিন্তু যে ব্যক্তি পারমার্থিক জীবনে আছে সে যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে তার কোন আশা নেই কোন আশা নেই তার। একে নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে বাচো বেগম্‌ ক্রোধ বেগম্‌ উদর বেগম্‌ উপস্থ বেগম্‌ মনস বেগম্‌ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উদর বেগম্‌ এবং জিহ্বা বেগম্‌ জিহ্বা বেগম্‌ । একে নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে ভক্তিবিনোদ ঠাকুর বলেছেন, "তাহার মধ্যে জিহ্বা অতি লোভময় সুদুর্মতি" "তাহার মধ্যে জিহ্বা অতি লোভময় সুদুর্মতি তাঁকে জেতা কঠিন সংসারে অত্যন্ত কঠিন, জিহবাকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন