BN/Prabhupada 0232 - ভগবানকে হিংসা করে এমন দুষ্মনও আছে। তাদের রাক্ষস বলা হয়

Revision as of 05:12, 3 May 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Hindi Pages with Videos Category:Prabhupada 0232 - in all Languages Category:HI-Quotes - 1973 Category:HI-Quotes - Lec...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.4-5 -- London, August 5, 1973

প্রদ্যুন্ম "যে আমার শিক্ষক সেই মহান আত্মাদের মূল্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকার চাইতে, এই দুনিয়ায় ভিক্ষে করে জীবন যাপন করা ভাল। এমন কি তারা লোভী হলেও, তবুও তারা বরিষ্ট। যদি তারা মারা যায়, তাহলে আমাদের ডাকাতির রক্ত দিয়ে রঙিন হবে। " প্রভুপাদঃ তাই সমস্যা প্রথমে অর্জুনের জন্য ছিল, ভাই, পরিবারের পুরুষদের মারবে কিভাবে।" আর এখন, যখন তার বন্ধু হিসেবে শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে শুনতে হচ্ছে, "তুমি কেন এত দুর্বল হয়ে পড়ছো? দুর্বল হবে না। এটা অনুভূতি। এই ধরনের সমবেদনাই অনুভূতি। উত্তিষ্ট। এটা ভাল হবে যে তুমি উঠ এবং যুদ্ধ করো। কিন্তু, তিনি পারেন ... যদি আমি কিছু করতে না চাই তবে আমি অনেক তর্ক উপস্থাপন করতে পারি। তুমি কি দেখতে পাচ্ছ? তাই পরবর্তী তে গুরু উপস্থাপিত করা হচ্ছে। "ঠিক আছে, শ্রীকৃষ্ণ, আপনি আমার ভাইদের কথা বলছেন, আমি স্বীকার করি যে এটা আমার দুর্বলতা। কিন্তু আপনি আমাকে কীভাবে আমার গুরুকে মারতে উপদেশ দিতে পারেন? দোনাচার্য আমার গুরু এবং ভীষ্মদেব আমার গুরু। আপনি কি চান আমি আমার গুরুকে হত্যা করি? গুরুন হি হত্বা। এবং তারা সাধারন গুরু নয়। এই নয় যে তারা সাধারন মানুষ, মহানুভাবান। ভীষ্ম হচ্ছেন মহান ভক্ত এবং একইভাবে দোনাচার্যও একজন মহান ব্যাক্তিত্ত্ব। মহানুভাবান। তাই কথং ভীষ্মং অহং শঙ্খে দ্রোনাম চ মধুসুদন (ভ.গী ২.৪) "তারা হচ্ছেন মহান ব্যাক্তিত্ত্ব। তারা শুধু আমার গুরুই নয় কিন্তু তারা হচ্ছেন মহান ব্যাক্তিত্ত্ব। এবং কৃষ্ণ সন্মোন্ধন করছেন "মধুসুদন।" মধুসুদন মানে... মধু ছিলেন কৃষ্ণের শ্ত্রু, একজন আসুর। তিনি তাকে মেরে ফেলেন। "আপনি মধুসূদন, আপনি আপনার শত্রুদের হত্যাকারী। আপনি কি আমাকে কোন প্রমাণ দিতে পারেন যে আপনি আপনার গুরুকে হত্যা করেছেন? তাহলে তুমি আমাকে কেন বলছ? "এটি একটি পাগলপন। ইশুভি প্রতিয্যতস্বামী পূজাহরব অরিসূদন। আবার অরিসূদন অরি মানে শত্রু। মধুসূদন, বিশেষ করে "মধু দানবের হত্যাকারী।" এবং পরবর্তি হচ্ছে অরিসূদন। অরি মানে দুষ্মন। কৃষ্ণ অনেক শ্ত্রুকে হত্যা করেছেন, অরি, যারা শত্রু রূপে তার সংগে যুদ্ধ করতে চায়। তাইজন্য তার নাম অরিসূদন। তারা কৃষ্ণের শত্রু, আমাদের কথা আর কি বলব? এই জড় জগৎকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, আপনার শত্রু থাকবেই। মৎসরতা। মৎসরতা মানে হিংসা, ঈর্ষা। এই জড় বিশ্ব এইরকমই। তাই এখানে ভগবানের প্রতি ঈর্ষাপরায়ন দুষ্মনও আছে। তাদের রাক্ষস বলা হয়। সাধারণ ঈর্ষা বা শত্রুতা, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ভগবানের প্রতিও। শুধু গত রাতে, সন্ধ্যায়, কেউ আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল। তিনি তর্ক করছিলেন "কেন কৃষ্ণকে ভগবান হিসাবে গ্রহণ করা উচিত?" এটা উনার তর্ক ছিল। তাই কৃষ্ণের দুষ্মন আছে। তাই কৃষ্ণ, কেবল তিনিই নয় ... কিন্তু এই জড় জগতের সবাই শ্রীকৃষ্ণের শত্রু। প্রত্যেকেই। কারন তারা কৃষ্ণের প্রতিযোগী হতে চায়। কৃষ্ণ বলেছেন ভোক্তারাং। "আমি হচ্ছি সর্ব্বোচ্চ ভোক্তা।" সর্ব-লোক-মহেশ্বরমঃ (ভ.গী.৫.২৯) "আমি হচ্ছি পরম মালিক।" এবং বেদেও বলে হয়েছে, ঈশাবাস্য ঈদম সর্বম (ঈ.প.১) "সবকিছু ভগবানের সম্পত্তি।" সর্বং খলিদং ব্রহ্ম। এটা বৈদিক নির্দেশ। যতো বা ইমানি ভূতানি জায়ন্তে। "যার থেকে সবকিছু আসছে।" জন্মাদাস্য যতোঃ (শ্রী.ভা.১.১.১) এটা বৈদিক সংস্করন। কিন্তু তারপরও, কারন আমরা দুষ্মন, "না, কেন কৃষ্ণ মালিক? আমি মালিক। কেন শ্রীকৃষ্ণ ভগবান। আমি ভগবান, এখানে আরেকজন ভগবান আছে।"