BN/Prabhupada 0316 - অনুকরন করার চেষ্টা করো না, এটা খুব ভয়ানক: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0316 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1977 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0315 - हम बहुत जिद्दी हैं, हम बार बार कृष्ण को भूलने की कोशिश कर रहे हैं|0315|HI/Prabhupada 0317 - हम कृष्ण को अात्समर्पण नहीं कर रहे हैं, यही रोग है|0317}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0315 - আমরা খুব জিদ্দি, আমরা বার বার কৃষ্ণকে ভোলার চেষ্টা করি|0315|BN/Prabhupada 0317 - আমরা কৃষ্ণকে আত্মসর্মপন করছি না, এটাই রোগ|0317}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
প্রভুপাদঃ এখনি আমরা প্রথম শ্রেণীর ভক্ত হতে পারি না। আমরা হরিদাস ঠাকুরকে অনুকরণ করতে পারি না। এটি সম্ভব নয়। কিন্তু অন্তত সংখ্যাপূর্বক-নাম-গান-নতিভিঃ (ষড়-গোস্বামী অষ্টক)। আমাদের অভ্যাস করতে হবে। কিছু সংখ্যা শক্তি আমাদের বজায় রাখতেই হবে। এবং আমরা এটা করছি।তাই... তথাকথিত কিছু ভক্ত, আমার সমালোচনা করে বলে যে কেবল ষোলো মালাই যথেষ্ট। না, ষোলো মালা কেন? তুমি তিনশো মালা করো। কিন্তু কমপক্ষে কমপক্ষে ষোলো মালা। কারণ আমরা খুব বেশি সময় দিতে পারি না। আমাদের সবসময় ব্যস্ত হওয়া উচিত। কিন্তু এক জায়গায় বসে এক ভাবে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা, এটি কোন বদ্ধ আত্মার পক্ষে এটি সম্ভব নয় - যতক্ষন না সে মুক্ত হচ্ছে। সুতরাং অনুকরণ করার চেষ্টা করবেন না। আমার গুরু মহারাজ কঠোর ভাবে মানা করতেন, যে রূপ গোস্বামী, হরিদাস ঠাকুর ইত্যাদি মহাত্মাদের অনুকরন না করতে। তিনি বলতেন, রূপ গোস্বামী কে মোঘা বাঞ্ছা। কারণ রূপ গোস্বামী কেবল মাত্র একটুকরো কাপড় পড়তেন। ত্যক্তা তুণম অসেষ-মন্ডল পতি শ্রেণীম সদা তুচ্চবৎ ভুত্যা দিন গনেশকৌ করুণয়া কৌপিন কন্ঠ... সুতরাং রূপ গোস্বামী কে এবং তাঁর পোশাক কে নকল করে কোনো লাভ নেই। আর তারপর সুযোগ পেলে বিড়ি পান করবে। (হাসি) এইসব আজেবাজে কথা বন্ধ করো। এটা করে কোনো লাভ হবে না। নকল করে। অনুসরণ করো, অনুকরণ কোরো না। অনুকরণ করা বিপদজনক। অনুসরণ।সাধু-মার্গনুগমনম। এটাই ভক্তি। আমাদের উচিত বড় বড় ভক্ত,সাধুদের পদাঙ্ক অনুসরণ করা। আমরা পারবো না, তবু আমাদের অনুসরণ করা উচিত। অনুকরণ করা উচিত নয়। এটা খুব বিপদজনক। আমাদের কিছু ভক্ত, তারা এখান থেকে চলে গেছে, কারণ "এখানে কোনো ভজন নেই। (হাসি) এবং আমার কাছে আশীর্বাদ চাইত যাতে তারা অন্য গুরুর সন্ধান পায়। তো তারা এইরকম আশীর্বাদ আমার কাছে চাইত অন্য গুরুর সন্ধান পাওয়ার জন্য। কিন্তু এইরকম শঠতা ভালো না। তাই সবচেয়ে ভালো হয় যে মহাজন যেন গত স পন্থা ([[Vanisource:CC Madhya 17.186|চৈ.চ. মধ্য ১৭.১৮৬]])। এখানে মহাজন হলেন। প্রহ্লাদ মহারাজ হলেন মহাজনদের মধ্যে একজন। দ্বাদশ মহাজনদের মধ্যে, প্রহ্লাদ মহারাজ হলেন একজন। স্বয়ভু নারদ সম্ভূ কপিল মনু প্রহ্লাদ। ([[Vanisource:SB 6.3.20-21|শ্রী.ভা. ৬.৩.২০]])। প্রহ্লাদ মহারাজের নামও আছে। জনক ভীষ্ম বলির বৈয়াসকির বয়ম ([[Vanisource:SB 6.3.19|শ্রী.ভা. ৬.৩.১৯]])। সুতরাং প্রহ্লাদ মহারাজ একজন মহাজন। তাই চেষ্টা করুন প্রহ্লাদ মহারাজ কে অনুসরণ করার। অনুসরণ। সাধু-মার্গানুগমনম। তাহলে প্রহ্লাদ মহারাজ কী করেছিলেন? তিনি তার বাবার দ্বারা অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন, তারপর তিনি কী করেছিলেন? তিনি কেবল কৃষ্ণের কথা চিন্তা করতেন, "আমি কী করব? আমার পিতা আমার বিরোধিতা করছে। যেটা হচ্ছে মন্মনা ভব মদ্ভক্ত। এবং শেষে, পিতা মারা গেলে, তিনি দন্ডবৎ হয়ে ভগবান কে প্রনাম করলেন। সুতরাং এই চারটি কথা একজন শুদ্ধ ভক্তের প্রতি পদে মেনে চলা উচিত। সর্বপদি-বির্নিমুক্তম ([[Vanisource:CC Madhya 19.170|চৈ. চ. মধ্য ১৯.১৭০]])। প্রহ্লাদ মহারাজ কখনো মনে করেন নি যে, "আমি হিরন্যকশিপুর সন্তান।" কখনো মনে করেন নি। তিনি সর্বদা চিন্তা করতেন, "আমি নারদ মুনির সেবক।" তিনি বলেছেন যে, যখন তিনি তাঁর কাছে আশীর্বাদ চেয়েছিলেন, তখন তিনি নৃসিংহ দেব কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, দয়া করে আমাকে আপনার সেবক নারদ মুনির সেবায় নিযুক্ত রাখুন, যার দ্বারা আমি এই নির্দেশ পেয়েছি। তিনি কখনো  বলতেন না, "আমার বাবার সেবায় আমাকে নিযুক্ত করুন। কখনও না। কারণ তিনি নির্দেশ পেয়েছেন, তিনি সবসময় ... চক্ষুদান দিল যেই জন্মে জন্মে পিতা সেই। তিনিই হলেন সেই পিতা। অন্য কোনো পিতা নয়। চক্ষুদান দিল যেই জন্মে জন্মে পিতা সেই। পরের পঙক্তিটি কী?
প্রভুপাদঃ এখনি আমরা প্রথম শ্রেণীর ভক্ত হতে পারি না। আমরা হরিদাস ঠাকুরকে অনুকরণ করতে পারি না। এটি সম্ভব নয়। কিন্তু অন্তত সংখ্যাপূর্বক-নাম-গান-নতিভিঃ (ষড়-গোস্বামী অষ্টক)। আমাদের অভ্যাস করতে হবে। কিছু সংখ্যা শক্তি আমাদের বজায় রাখতেই হবে। এবং আমরা এটা করছি।তাই... তথাকথিত কিছু ভক্ত, আমার সমালোচনা করে বলে যে কেবল ষোলো মালাই যথেষ্ট। না, ষোলো মালা কেন? তুমি তিনশো মালা করো। কিন্তু কমপক্ষে কমপক্ষে ষোলো মালা। কারণ আমরা খুব বেশি সময় দিতে পারি না। আমাদের সবসময় ব্যস্ত হওয়া উচিত। কিন্তু এক জায়গায় বসে এক ভাবে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা, এটি কোন বদ্ধ আত্মার পক্ষে এটি সম্ভব নয় - যতক্ষন না সে মুক্ত হচ্ছে। সুতরাং অনুকরণ করার চেষ্টা করবেন না। আমার গুরু মহারাজ কঠোর ভাবে মানা করতেন, যে রূপ গোস্বামী, হরিদাস ঠাকুর ইত্যাদি মহাত্মাদের অনুকরন না করতে। তিনি বলতেন, রূপ গোস্বামী কে মোঘা বাঞ্ছা। কারণ রূপ গোস্বামী কেবল মাত্র একটুকরো কাপড় পড়তেন। ত্যক্তা তুণম অসেষ-মন্ডল পতি শ্রেণীম সদা তুচ্চবৎ ভুত্যা দিন গনেশকৌ করুণয়া কৌপিন কন্ঠ... সুতরাং রূপ গোস্বামী কে এবং তাঁর পোশাক কে নকল করে কোনো লাভ নেই। আর তারপর সুযোগ পেলে বিড়ি পান করবে। (হাসি) এইসব আজেবাজে কথা বন্ধ করো। এটা করে কোনো লাভ হবে না। নকল করে। অনুসরণ করো, অনুকরণ কোরো না। অনুকরণ করা বিপদজনক। অনুসরণ।সাধু-মার্গনুগমনম। এটাই ভক্তি। আমাদের উচিত বড় বড় ভক্ত,সাধুদের পদাঙ্ক অনুসরণ করা। আমরা পারবো না, তবু আমাদের অনুসরণ করা উচিত। অনুকরণ করা উচিত নয়। এটা খুব বিপদজনক।  


ভক্তরাঃ দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত।
আমাদের কিছু ভক্ত, তারা এখান থেকে চলে গেছে, কারণ "এখানে কোনো ভজন নেই। (হাসি) এবং আমার কাছে আশীর্বাদ চাইত যাতে তারা অন্য গুরুর সন্ধান পায়। তো তারা এইরকম আশীর্বাদ আমার কাছে চাইত অন্য গুরুর সন্ধান পাওয়ার জন্য। কিন্তু এইরকম শঠতা ভালো না। তাই সবচেয়ে ভালো হয় যে মহাজন যেন গত স পন্থা ([[Vanisource:CC Madhya 17.186|চৈ.চ. মধ্য ১৭.১৮৬]])। এখানে মহাজন হলেন। প্রহ্লাদ মহারাজ হলেন মহাজনদের মধ্যে একজন। দ্বাদশ মহাজনদের মধ্যে, প্রহ্লাদ মহারাজ হলেন একজন। স্বয়ভু নারদ সম্ভূ কপিল মনু প্রহ্লাদ। ([[Vanisource:SB 6.3.20-21|শ্রী.ভা. ৬.৩.২০)। প্রহ্লাদ মহারাজের নামও আছে। জনক ভীষ্ম বলির বৈয়াসকির বয়ম ([[Vanisource:SB 6.3.20-21|শ্রী.ভা. ৬.৩.১৯])। সুতরাং প্রহ্লাদ মহারাজ একজন মহাজন। তাই চেষ্টা করুন প্রহ্লাদ মহারাজ কে অনুসরণ করার। অনুসরণ। সাধু-মার্গানুগমনম। তাহলে প্রহ্লাদ মহারাজ কী করেছিলেন? তিনি তার বাবার দ্বারা অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন, তারপর তিনি কী করেছিলেন? তিনি কেবল কৃষ্ণের কথা চিন্তা করতেন, "আমি কী করব? আমার পিতা আমার বিরোধিতা করছে। যেটা হচ্ছে মন্মনা ভব মদ্ভক্ত। এবং শেষে, পিতা মারা গেলে, তিনি দন্ডবৎ হয়ে ভগবান কে প্রনাম করলেন। সুতরাং এই চারটি কথা একজন শুদ্ধ ভক্তের প্রতি পদে মেনে চলা উচিত। সর্বপদি-বির্নিমুক্তম ([[Vanisource:CC Madhya 19.170|চৈ. চ. মধ্য ১৯.১৭০]])। প্রহ্লাদ মহারাজ কখনো মনে করেন নি যে, "আমি হিরন্যকশিপুর সন্তান।" কখনো মনে করেন নি। তিনি সর্বদা চিন্তা করতেন, "আমি নারদ মুনির সেবক।" তিনি বলেছেন যে, যখন তিনি তাঁর কাছে আশীর্বাদ চেয়েছিলেন, তখন তিনি নৃসিংহ দেব কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, দয়া করে আমাকে আপনার সেবক নারদ মুনির সেবায় নিযুক্ত রাখুন, যার দ্বারা আমি এই নির্দেশ পেয়েছি। তিনি কখনো  বলতেন না, "আমার বাবার সেবায় আমাকে নিযুক্ত করুন। কখনও না। কারণ তিনি নির্দেশ পেয়েছেন, তিনি সবসময় ... চক্ষুদান দিল যেই জন্মে জন্মে পিতা সেই। তিনিই হলেন সেই পিতা। অন্য কোনো পিতা নয়। চক্ষুদান দিল যেই জন্মে জন্মে পিতা সেই। পরের পঙক্তিটি কী?
 
ভক্তরাঃ দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত।  


প্রভুপাদঃ আহ, দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত। তাহলে তিনি হলেন পিতা। সুতরাং আমাদের সর্বদা মনে রাখা উচিত। উচ্ছৃঙ্খল হবেন না এবং এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন ছেড়ে দেবেন না। অনেক অনেক ধন্যবাদ।  
প্রভুপাদঃ আহ, দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত। তাহলে তিনি হলেন পিতা। সুতরাং আমাদের সর্বদা মনে রাখা উচিত। উচ্ছৃঙ্খল হবেন না এবং এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন ছেড়ে দেবেন না। অনেক অনেক ধন্যবাদ।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 11:56, 13 December 2021



Lecture on SB 7.9.5 -- Mayapur, February 25, 1977

প্রভুপাদঃ এখনি আমরা প্রথম শ্রেণীর ভক্ত হতে পারি না। আমরা হরিদাস ঠাকুরকে অনুকরণ করতে পারি না। এটি সম্ভব নয়। কিন্তু অন্তত সংখ্যাপূর্বক-নাম-গান-নতিভিঃ (ষড়-গোস্বামী অষ্টক)। আমাদের অভ্যাস করতে হবে। কিছু সংখ্যা শক্তি আমাদের বজায় রাখতেই হবে। এবং আমরা এটা করছি।তাই... তথাকথিত কিছু ভক্ত, আমার সমালোচনা করে বলে যে কেবল ষোলো মালাই যথেষ্ট। না, ষোলো মালা কেন? তুমি তিনশো মালা করো। কিন্তু কমপক্ষে কমপক্ষে ষোলো মালা। কারণ আমরা খুব বেশি সময় দিতে পারি না। আমাদের সবসময় ব্যস্ত হওয়া উচিত। কিন্তু এক জায়গায় বসে এক ভাবে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা, এটি কোন বদ্ধ আত্মার পক্ষে এটি সম্ভব নয় - যতক্ষন না সে মুক্ত হচ্ছে। সুতরাং অনুকরণ করার চেষ্টা করবেন না। আমার গুরু মহারাজ কঠোর ভাবে মানা করতেন, যে রূপ গোস্বামী, হরিদাস ঠাকুর ইত্যাদি মহাত্মাদের অনুকরন না করতে। তিনি বলতেন, রূপ গোস্বামী কে মোঘা বাঞ্ছা। কারণ রূপ গোস্বামী কেবল মাত্র একটুকরো কাপড় পড়তেন। ত্যক্তা তুণম অসেষ-মন্ডল পতি শ্রেণীম সদা তুচ্চবৎ ভুত্যা দিন গনেশকৌ করুণয়া কৌপিন কন্ঠ... সুতরাং রূপ গোস্বামী কে এবং তাঁর পোশাক কে নকল করে কোনো লাভ নেই। আর তারপর সুযোগ পেলে বিড়ি পান করবে। (হাসি) এইসব আজেবাজে কথা বন্ধ করো। এটা করে কোনো লাভ হবে না। নকল করে। অনুসরণ করো, অনুকরণ কোরো না। অনুকরণ করা বিপদজনক। অনুসরণ।সাধু-মার্গনুগমনম। এটাই ভক্তি। আমাদের উচিত বড় বড় ভক্ত,সাধুদের পদাঙ্ক অনুসরণ করা। আমরা পারবো না, তবু আমাদের অনুসরণ করা উচিত। অনুকরণ করা উচিত নয়। এটা খুব বিপদজনক।

আমাদের কিছু ভক্ত, তারা এখান থেকে চলে গেছে, কারণ "এখানে কোনো ভজন নেই। (হাসি) এবং আমার কাছে আশীর্বাদ চাইত যাতে তারা অন্য গুরুর সন্ধান পায়। তো তারা এইরকম আশীর্বাদ আমার কাছে চাইত অন্য গুরুর সন্ধান পাওয়ার জন্য। কিন্তু এইরকম শঠতা ভালো না। তাই সবচেয়ে ভালো হয় যে মহাজন যেন গত স পন্থা (চৈ.চ. মধ্য ১৭.১৮৬)। এখানে মহাজন হলেন। প্রহ্লাদ মহারাজ হলেন মহাজনদের মধ্যে একজন। দ্বাদশ মহাজনদের মধ্যে, প্রহ্লাদ মহারাজ হলেন একজন। স্বয়ভু নারদ সম্ভূ কপিল মনু প্রহ্লাদ। ([[Vanisource:SB 6.3.20-21|শ্রী.ভা. ৬.৩.২০)। প্রহ্লাদ মহারাজের নামও আছে। জনক ভীষ্ম বলির বৈয়াসকির বয়ম ([[Vanisource:SB 6.3.20-21|শ্রী.ভা. ৬.৩.১৯])। সুতরাং প্রহ্লাদ মহারাজ একজন মহাজন। তাই চেষ্টা করুন প্রহ্লাদ মহারাজ কে অনুসরণ করার। অনুসরণ। সাধু-মার্গানুগমনম। তাহলে প্রহ্লাদ মহারাজ কী করেছিলেন? তিনি তার বাবার দ্বারা অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন, তারপর তিনি কী করেছিলেন? তিনি কেবল কৃষ্ণের কথা চিন্তা করতেন, "আমি কী করব? আমার পিতা আমার বিরোধিতা করছে। যেটা হচ্ছে মন্মনা ভব মদ্ভক্ত। এবং শেষে, পিতা মারা গেলে, তিনি দন্ডবৎ হয়ে ভগবান কে প্রনাম করলেন। সুতরাং এই চারটি কথা একজন শুদ্ধ ভক্তের প্রতি পদে মেনে চলা উচিত। সর্বপদি-বির্নিমুক্তম (চৈ. চ. মধ্য ১৯.১৭০)। প্রহ্লাদ মহারাজ কখনো মনে করেন নি যে, "আমি হিরন্যকশিপুর সন্তান।" কখনো মনে করেন নি। তিনি সর্বদা চিন্তা করতেন, "আমি নারদ মুনির সেবক।" তিনি বলেছেন যে, যখন তিনি তাঁর কাছে আশীর্বাদ চেয়েছিলেন, তখন তিনি নৃসিংহ দেব কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, দয়া করে আমাকে আপনার সেবক নারদ মুনির সেবায় নিযুক্ত রাখুন, যার দ্বারা আমি এই নির্দেশ পেয়েছি। তিনি কখনো বলতেন না, "আমার বাবার সেবায় আমাকে নিযুক্ত করুন। কখনও না। কারণ তিনি নির্দেশ পেয়েছেন, তিনি সবসময় ... চক্ষুদান দিল যেই জন্মে জন্মে পিতা সেই। তিনিই হলেন সেই পিতা। অন্য কোনো পিতা নয়। চক্ষুদান দিল যেই জন্মে জন্মে পিতা সেই। পরের পঙক্তিটি কী?

ভক্তরাঃ দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত।

প্রভুপাদঃ আহ, দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত। তাহলে তিনি হলেন পিতা। সুতরাং আমাদের সর্বদা মনে রাখা উচিত। উচ্ছৃঙ্খল হবেন না এবং এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন ছেড়ে দেবেন না। অনেক অনেক ধন্যবাদ।