BN/Prabhupada 0440 - মায়াবাদ দর্শন হচ্ছে পরম তত্ত্বকে নির্বিশেষ বলে মনে করা: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0440 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1968 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0439 - My Spiritual Master Found Me A Great Fool|0439|Prabhupada 0441 - Krsna is the Supreme, and We Are Fragmental Parts|0441}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0439 - আমার গুরুদেব বুঝতে পেরেছিলেন যে আমি একটা মূর্খ|0439|BN/Prabhupada 0441 - ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরম এবং আমরা তার অবিচ্ছেদ্য অংশ|0441}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|fibn1Ecw71A|মায়াবাদ দর্শন হচ্ছে পরম তত্ত্বকে নির্বিশেষ বলে মনে করা<br />- Prabhupāda 0440}}
{{youtube_right|JuAffF1aSog|মায়াবাদ দর্শন হচ্ছে পরম তত্ত্বকে নির্বিশেষ বলে মনে করা<br />- Prabhupāda 0440}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->



Latest revision as of 16:50, 29 June 2021



Lecture on BG 2.8-12 -- Los Angeles, November 27, 1968

শ্রীল প্রভুপাদ: এগিয়ে যাও।

ভক্ত: শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে, এটি বলা হয়েছে যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব পরমেশ্বর ভগবান হলেন অসংখ্য জীবসত্তার প্রতিপালক, তাদের বিভিন্ন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক কাজ এবং কাজের প্রতিক্রিয়া অনুসারে। এই সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব পরমেশ্বর ভগবানও, তাঁর পূর্ণাঙ্গ অংশ দ্বারা প্রতিটি জীবসত্তার হৃদয়ে জীবিত আছেন। শুধুমাত্র সাধু প্রকৃতির ব্যক্তিরাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব পরমেশ্বর ভগবানকে ভিতরে এবং বাইরে একই দেখেন, প্রকৃতপক্ষে নিখুঁত শাশ্বত শান্তি অর্জন করতে পারে। এখানে গণনা করে একই বৈদিক সত্যটি অর্জুনকে দেওয়া হয়েছে, এবং বিশ্বের সমস্ত ব্যক্তির সাথে এর সংযোগ রয়েছে, যারা নিজেকে খুব বিদ্বান হিসাবে জাহির করেছেন কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাদের জ্ঞানের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। ভগবান স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তিনি নিজে, অর্জুন এবং এই যুদ্ধক্ষেত্রে একত্রিত সমস্ত রাজারা, হলেন নিত্য স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব এবং ভগবান হলেন এই সকল নিত্য স্বতন্ত্র জীবসত্তার প্রতিপালক।"

শ্রীল প্রভুপাদ: মূল শ্লোকটি কি? তুমি পড়।

ভক্ত: "এমন কোন সময় ছিল না যখন আমি, তুমি এবং এই সমস্ত রাজারা ছিলেন না...(শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২।১২)

শ্রীল প্রভুপাদ: এখন, "এমন কোন সময় ছিল না যখন আমি, তুমি এবং এই সমস্ত ব্যক্তিরা ছিল না।" এখন সে বিশ্লেষণমূলক ভাবে বলে, "আমি, তুমি, এবং..." প্রথম পুরুষ, দ্বিতীয় পুরুষ এবং তৃতীয় পুরুষ। এই হলো সম্পূর্ণ। "আমি, তুমি এবং অন্যরা।" তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "এমন কোন সময় ছিল না যখন আমি, তুমি, এবং এই যুদ্ধক্ষেত্রে একত্রিত সকল ব্যক্তিরা ছিলেন না। তার মানে "অতীতে, আমি, তুমি এবং এরা সকলেই স্বতন্ত্রভাবে ছিল।" স্বতন্ত্র ভাবে। মায়াবাদী ভাষ্য হলো যে এই চূড়ান্ত আত্মাটি হলো ব্যক্তিসত্তাহীন। তাহলে শ্রীকৃষ্ণ কীভাবে বলেছেন যে "এমন কোন সময় ছিল না যখন আমি, তুমি এবং এই সমস্ত ব্যক্তিরা ছিল না?" তার মানে, "আমি স্বতন্ত্র ছিলাম, তুমি স্বতন্ত্র ভাবে ছিলে, এবং আমাদের সামনে যারা আছে, তারাও স্বতন্ত্র ভাবে ছিল। এমন কোন সময় ছিল না।" এখন, তোমার উত্তর কি, দ্বীনদয়াল? শ্রীকৃষ্ণ কখনোই বলেন নি যে আমরা মিশ্রিত। আমরা সকলেই স্বতন্ত্র। এবং তিনি বলেছেন, "আমরা কখনই থাকব না... কখনই এমন সময় আসবে না যখন আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না।" তার মানে অতীতে আমরা স্বতন্ত্র হিসেবে বিদ্যমান ছিলাম, বর্তমানে আমরা স্বতন্ত্র হিসেবে বিদ্যমান আছি এতে কোনও সন্দেহ নেই, এবং ভবিষ্যতেও, আমরা স্বতন্ত্র হিসেবে অবিরত থাকব। তাহলে কখন এই অব্যক্তিক ধারণাটি সকলের নিকট আসে? কাল তিন ধরনের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত। হ্যাঁ? এই সকল সময়েই আমরা স্বতন্ত্র। তাহলে কখন ভগবান অব্যক্তিক হলেন, বা আমি অব্যক্তিক হলাম বা তুমি অব্যক্তিক হলে? সুযোগটি কোথায়? শ্রীকৃষ্ণ স্পষ্ট করে বলেছেন, "এমন কোন সময় ছিল না যখন আমি, তুমি এবং এই সমস্ত রাজা বা যোদ্ধারা... এমনটি নয় যে অতীতে আমাদের অস্তিত্ব ছিল না।" সুতরাং অতীতে আমরা পৃথকভাবে বিদ্যমান ছিলাম, এবং বর্তমানে কোন সন্দেহ নেই। আমরা পৃথক হিসেবে বিদ্যমান আছি। তুমি আমার শিষ্য, আমি তোমার আধ্যাত্মিক গুরু, কিন্তু তুমি তোমার নিজের স্বতন্ত্রতা পেয়েছ, আমি আমার স্বতন্ত্রতা পেয়েছি। তুমি যদি আমার সাথে একমত না হও তবে তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পার। এটিই তোমার স্বতন্ত্রতা। সুতরাং তুমি যদি শ্রীকৃষ্ণকে পছন্দ না কর, তাহলে তুমি কৃষ্ণভাবনাময় হবে না, এটি হলো তোমার স্বতন্ত্রতা। সুতরাং এই স্বতন্ত্রতা অব্যাহত রয়েছে। একইভাবে শ্রীকৃষ্ণ, যদি তোমাকে পছন্দ না করেন, তবে তিনি তোমার কৃষ্ণভাবনামৃত অস্বীকার করতে পারেন। এটি এমন নয় যে তুমি সমস্ত নিয়মকানুন অনুসরণ করছ, তাই শ্রীকৃষ্ণ তোমাকে গ্রহণ করতে বাধ্য। না। যদি তিনি মনে করেন যে "সে নির্বোধ; আমি তাকে গ্রহণ করতে পারি না" তবে তিনি তোমাকে প্রত্যাখ্যান করবেন।

সুতরাং তিনি স্বতন্ত্রতা পেয়েছেন, তুমি স্বতন্ত্রতা পেয়েছ, প্রত্যেকে স্বতন্ত্রতা পেয়েছে। অব্যক্তিকতার প্রশ্নটি আসে কোথা থেকে? কোনও সম্ভাবনা নেই। এবং তুমি যদি শ্রীকৃষ্ণকে বিশ্বাস না কর, তার মানে তুমি বেদকে বিশ্বাস কর না, অন্য কোনও কিছুর বাইরে শ্রীকৃষ্ণ সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব, বা সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব পরমেশ্বর হিসেবে স্বীকৃত। তারপরেও যদি আমরা তাঁকে বিশ্বাস না করি, তবে জ্ঞানের অগ্রগতির সম্ভাবনা কোথায়? এর কোন সম্ভাবনাই নেই। সুতরাং স্বতন্ত্রতার কোন প্রশ্নই আসে না। এটিই কর্তৃপক্ষের বিবৃতি। এখন, কর্তৃপক্ষের বিবৃতি বাদে তোমাকে তোমার কারণ এবং যুক্তি প্রয়োগ করতে হবে। তুমি কি বলতে পার যে কোথাও দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি আছে? না, তুমি যাও, অধ্যয়ন কর। রাজ্যে, পরিবারে, সমাজে, জাতির মধ্যে কোন চুক্তি নেই। এমনকি সমাবেশে বা সংসদে, এমনকি তোমাদের দেশেও। মনে কর এখানে সেনেট আছে, প্রত্যেকে তার দেশের আগ্রহ পেয়েছে, তবে সে তার স্বতন্ত্র উপায়ে ভাবছে। একজন ভাবছেন যে, "আমার দেশের কল্যাণ এই উপায়ে হবে।" অন্যথায়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় প্রতিযোগিতা হয় কেন? প্রত্যেকেই বলছে, "আমেরিকার জন্য নিক্সনের দরকার আছে।" এবং অন্য একজন ব্যক্তি, তিনি আবার বলেছেন, "আমেরিকার জন্য আমার দরকার আছে।" সুতরাং দুইজন কেন? যদি আমেরিকা তুমি এবং তুমি দুজনই....না। এখানে স্বতন্ত্রতা আছে। মিঃ নিক্সনের মতামত অন্যরকম। মিঃ আরেক প্রার্থীর মতামত অন্যরকম। সমাবেশে, সিনেটে, কংগ্রেসে, জাতিসংঘে, প্রত্যেকে তার স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লড়াই করছে। নইলে পৃথিবীতে এত পতাকা কেন? তুমি কোথাও অব্যক্তিকতা বলতে পারবে না। ব্যক্তিত্ব সর্বত্রই প্রাধান্য পাচ্ছে। সর্বত্রই ব্যক্তিত্ব, স্বতন্ত্রতা প্রাধান্য পায়। সুতরাং আমাদের গ্রহণ করতে হবে। আমাদেরকে আমাদের কারণ ও যুক্তি প্রয়োগ করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষকে গ্রহণ করতে হবে। তখন প্রশ্নটি সমাধান হয়ে যায়। অন্যথায় এটি সবচেয়ে কঠিন।