BN/Prabhupada 0446 - লক্ষ্মীকে নারায়ণ থেকে আলাদা করার চেষ্টা কর না

Revision as of 07:02, 22 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture -- Seattle, October 2, 1968

সুতরাং সাক্ষাৎ শ্রী। তিনি সর্বদা যুক্ত। যদি কেউ শ্রীনারায়ণের থেকে শ্রীকে আলাদা করার চেষ্টা করে তবে সে পরাজিত হবে। উদাহরণ হল রাবণ। রাবণ শ্রীরামের থেকে লক্ষ্মীকে আলাদা করতে চেয়েছিল। এই প্রয়াসটি এতটা বিপজ্জনক যে রাবণ সুখী হওয়ার বদলে ... তিনি তথাকথিত সুখী, ভৌতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমৃদ্ধ ছিলেন। কিন্তু শ্রীলক্ষ্মীকে শ্রীনারায়ণের থেকে বিচ্ছিন্ন করার সাথে সাথেই তিনি সে তার সমস্ত বন্ধুর সাথে পরাজিত হন। সুতরাং শ্রীলক্ষ্মীকে শ্রীনারায়ণ থেকে আলাদা করার চেষ্টা করবেন না। তাঁকে আলাদা করা যায় না। তবে কেউ যদি এরকম করার চেষ্টা করে তবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। সে নষ্ট হয়ে যাবে। উদাহরণ হল রাবণ। সুতরাং বর্তমান মুহুর্তে লোকেরা শ্রী, অর্থের প্রতি খুব আসক্ত। শ্রী ঐশ্বর্যা শ্রী ঐশ্বর্যা শ্রী ঐশ্বর্যা প্রজেপসবাঃ । সাধারণ মানুষ, তারা চান শ্রী, অর্থ বা সৌন্দর্য, সুন্দর স্ত্রী । শ্রী ঐশ্বর্যা: অর্থ, ধন। শ্রী ঐশ্বর্যা প্রজেপসবাঃ । প্রজা। প্রজা মানে পরিবার, সমাজ, অর্থ। তারা তাই চান। সুতরাং মানুষের শ্রীর প্রতি সর্বদা লালসা হয়। তবে শ্রীকে একা রাখার চেষ্টা করবেন না। তাহলে আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন। এই নির্দেশ। আপনি শ্রীকে একা রাখার চেষ্টা করবেন না। সর্বদা শ্রীনারায়ণের সাথে রাখুন। তখন আপনি সুখী হবেন। শ্রীনারায়ণকে রাখুন। সুতরাং যারা ধনী,যাদের ধন আছে , ধনী, তাদের উচিত তাদের অর্থ দিয়ে শ্রীনারায়ণের উপাসনা করা। ধন খরচ করা। অর্থ হল শ্রীনারায়ণের সেবার জন্য। সুতরাং যদি আপনার কাছে অর্থ থাকে তবে রাবণের মতো সেটি নষ্ট করবেন না, বরং সেটিকে শ্রীকৃষ্ণের সেবায় নিযুক্ত করুন। যদি আপনার কাছে অর্থ থাকে, তবে সেটি খুব দামী মন্দিরের জন্য ব্যয় করুন, শ্রী শ্রী লক্ষ্মী-নারায়ণ, শ্রী শ্রী রাধা-কৃষ্ণ, শ্রী শ্রী সীতা-রাম স্থাপন করার জন্য। অন্যভাবে আপনার অর্থ নষ্ট করবেন না। তখন আপনি সর্বদা ধনী থাকবেন। আপনি কখনও দরিদ্র হবেন না। কিন্তু আপনি যেইমাত্র শ্রীনারায়ণকে ঠকানোর চেষ্টা করেন যে "আমি আপনার লক্ষীদেবী নিয়ে নিয়েছি", আপনাকে অনাহারে থাকতে হবে সেই নীতিটি খুব খারাপ।

সুতরাং যাইহোক, যেখানে শ্রী আছেন, সেখানেই শ্রীনারায়ণ বিরাজমান, এবং যেখানে শ্রীনারায়ণ আছেন, সেখানেই শ্রী বিরাজমান সুতরাং শ্রীনারায়ণ ও শ্রী। শ্রীনৃসিংহদেব হলেন শ্রীনারায়ণ, এবং লক্ষ্মী, তারা প্রতিনিয়ত... সুতরাং দেবগণ, দেবতারা যখন দেখলেন যে "শ্রীনারায়ণ, শ্রীনৃসিংহদেব খুব খুব রেগে গিয়েছেন । কেউই তাঁকে শান্ত করতে পারবেন না ," সুতরাং তারা ভেবেছিলন যে "লক্ষ্মীজি হলেন ব্যক্তিগত সঙ্গী, তিনি প্রতিনিয়ত শ্রীনারায়ণের সাথে থাকেন, সুতরাং তাঁরই যাওয়া উচিত এবং শান্ত করা উচিত। " সেটি এখানে বর্ণিত করা হয়েছে। সাক্ষাৎ শ্রী প্রেষিত দেবৈর। দেবগণ, ব্রহ্ম দেব, দেবাধিদেব শিব এবং অন্যান্যরা, তারা অনুরোধ করেছিলন , "মা, আপনি আপনার স্বামীকে শান্ত করার চেষ্টা করুন সেটি আমাদের দ্বারা এটি সম্ভব নয়।" তবে তিনিও ভয় পেয়ে ছিলেন। তিনিও ভয় পেয়ে ছিলেন । সাক্ষাৎ শ্রী প্রেষিত দেবৈর দৃষ্ট্বা তম্‌ মহদ্‌ অদ্ভুতম্‌ । তিনি জানেন যে "আমার স্বামী শ্রীনরসিংহদেবরূপে প্রকট হয়েছেন," তবে কারণ ভগবানের সেই বিস্ময়কর বৈশিষ্টটি এতটা ভয়ঙ্কর ছিল, যে তিনি তাঁর সামনে যাওয়ার সাহস করেন নি। কেন? এখন, অদৃষ্টশ্রুতা পূর্বতবাত: যেহেতু তিনি কখনও জানতেন না যে তাঁর স্বামী শ্রীনরসিংহদেব রূপ ধারণ করতে পারেন। এই শ্রীনরসিংহদেবের বৈশিষ্ট্যটি হিরণ্যকশ্যিপুর জন্য বিশেষভাবে গৃহীত হয়েছিল। এটি সর্বশক্তিমান। হিরণ্যকশিপু ব্রহ্মাদেবের কাছ থেকে বর পেয়েছিলেন, কোন দেবতা, তাকে হত্যা করতে পারবেন না; কোন মানুষ তাঁকে হত্যা করতে পারেবে না; কোন পশু তাঁকে হত্যা করতে পারবে না; এবং ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি। পরোক্ষভাবে সে একটি পরিকল্পনা করেছিল যে কেউ তাঁকে হত্যা না করতে পারে। এবং কারণ সে সবার আগে অমর হতে চেয়েছিল, তাই ব্রহ্মা বলেছিলেন যে "আমি অমর নই। আমি কীভাবে তোমাকে বর দিতে পারি যে ...? সেটা সম্ভব নয়। " সুতরাং এই রাক্ষসরা, তারা খুব বুদ্ধিমান, দুষ্কৃতিনো, বুদ্ধিমান - কিন্তু পাপী ক্রিয়াকলাপের জন্য। সেটা রাক্ষসদের বৈশিষ্ট্য। সুতরাং সে পরিকল্পনা করেছিল যে, "পরোক্ষভাবে আমি ব্রহ্মা থেকে বর গ্রহণ করব, এমনভাবে যে আমি অমর থাকব।

সুতরাং ব্রহ্মদেবের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য, শ্রীনারায়ণ শ্রীনৃসিংহদেব রূপে প্রকট হয়েছিলেন: অর্ধ সিংহ এবং অর্ধ পুরুষ। সুতরাং অদৃষ্টশ্রুতাপুর্ব। এমনকি শ্রীলক্ষ্মী ভগবানের এমন বৈশিষ্ট্য দেখেন নি, অর্ধ পুরুষ, অর্ধ সিংহ। এটাই শ্রীনারায়ণ বা শ্রীকৃষ্ণ সর্বশক্তিমান। তিনি যে কোনও রূপ ধারণ করতে পারেন। তা হল ... অদৃষ্টশ্রুতাপুর্ব। কখনও দেখেন নি। যদিও তিনি শ্রীনারায়ণের সাথে জড়িত, কিন্তু শ্রীনারায়ণের এমন বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য তিনি আগে কখনও দেখেন নি। সুতরাং বলা হয়েছে, অদৃষ্ট অশ্রুতা পূর্বৎবাৎ সা ন উপেয়ায় শঙ্কিত। লক্ষ্মীজী পবিত্র। তাই শঙ্কিত: তিনি ভীত ছিলেন, "সম্ভবত তিনি ভিন্ন ব্যক্তি।" এবং তিনি পবিত্র, সবচেয়ে পবিত্র। তিনি কীভাবে ভিন্ন ব্যক্তির সাথে মিশতে পারেন? অতএব শঙ্কিত। এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, শঙ্কিত। যদিও তাঁর সমস্ত কিছু জানার কথা, তবুও তিনি ভাবছিলেন, "আমার স্বামী নাও হতে পারেন।" এটি আদর্শ পবিত্র, পবিত্রতা, এমনকি লক্ষ্মীজীও, শ্রীবিষ্ণু সম্পর্কে সন্দেহ হওয়ায়, তিনি কথা বলেননি, তাঁর কাছে যান নি। শঙ্কিত। এটি লক্ষ্মীজীর আরেকটি গুণ। তিনি ভয় পেয়ে ছিলেন, "তিনি শ্রীনারায়ণ নাও হতে পারেন," কারণ তিনি তার স্বামীর এইরকম বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য অর্ধ সিংহ এবং অর্ধ পুরুষ কখনও দেখেন নি। সুতরাং অদৃষ্ট অশ্রুতা পূর্বৎবাৎ সা ন উপেয়ায় শঙ্কিত।