BN/Prabhupada 0720 - কৃষ্ণভাবনামৃতের দ্বারা তোমার কামবাসনাকে নিয়ন্ত্রণ কর

Revision as of 17:42, 29 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 16.10 -- Hawaii, February 6, 1975

কুকুর ঘেউ ঘেউ করে খুব অহঙ্কার করে, 'ঘেউ! ঘেউ! ঘেউ!' সে জানে না যে 'আমাকে শিকল পরানো আছে'। (হাসি) এতোটাই মূর্খ। যখনই ওর মনিব ডাকবে 'এই এইদিকে আয়'। মায়া হচ্ছে সেই মনিব। "বদমাশ, এইদিকে আয়"। "হ্যাঁ" আর আমরা দেখি সেই মানুষটিই গর্ব করছে, "আমি একটা কিছু হয়ে গেছি"। কুকুরের সভ্যতা। নষ্ট বুদ্ধয়। বুদ্ধি শেষ হয়ে গেছে ... ওদের বলা হয় অল্পবুদ্ধিসম্পন্ন। কামম্‌ দুষ্পুরম্‌ কাম মানে ইন্দ্রিয়তৃপ্তি বাসনা। এই জড় দেহের কারণে ইন্দ্রিয় ভোগ বাসনা এটি আমরা একেবারে প্রত্যাখ্যান করতে পারি না। কিন্তু একে দুষ্পুরম্‌ অর্থাৎ অপূরণীয় বানিয়ে ফেল না। তাহলে সব শেষ। একে নিয়ন্ত্রণ কর। সংযত কর। বৈদিক সভ্যতা অনুযায়ী কাম বাসনা থাকবে কিন্তু কৃষ্ণভাবনাময় সন্তান উৎপাদন ছাড়া তুমি এটি ব্যবহার করতে পার না একে বলা হয় পুরম্‌ , মানে সংযত।

ব্রহ্মচারীকে সেই ভাবে শিক্ষা দেয়া হয় ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত সে স্ত্রীলোক দেখবে না দেখতে পর্যন্ত পারবে না। এই হচ্ছে ব্রহ্মচর্য । দেখতেও পারবে না তাকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় যে সে চাইলে এর পরও ব্রহ্মচর্য জীবন চালিয়ে যেতে পারে নৈষ্ঠিক ব্রহ্মচারী। কিন্তু যদি তা না পারে, তাহলে সে বিয়ে করতে পারে তখন সেটি হবে গৃহস্থ জীবন, পারিবারিক জীবন কারণ পঁচিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স পর্যন্ত এই যৌবন কালে কামবাসনা অত্যন্ত প্রবল থাকে যে সেই বাসনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না ... সবার জন্য তা নয় বহু নৈষ্ঠিক ব্রহ্মচারী আছেন, সারাজীবন ধরে ব্রহ্মচর্য পালন করেছেন কিন্তু সেটি এই যুগে সম্ভব নয়, ব্রহ্মচারী হওয়াও সম্ভব নয় সময় বদলে গেছে, যুগ পাল্টেছে। সুতরাং তুমি কৃষ্ণভাবনামৃত অভ্যাস করার মাধ্যমে কাম বাসনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হতে পার অন্যথায় তা সম্ভব নয়।

যদবধি মম চেত কৃষ্ণপদারবিন্দে। একজন সম্রাট বা রাজা ছিলেন, স্বাভাবিকতই তিনি কামুক ছিলেন তিনি সেই জীবন ত্যাগ করে ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন যখন তিনি কৃষ্ণভাবনামৃতে সিদ্ধিলাভ করেছেন, তিনি অর্থাৎ যামুনাচার্য বলেছিলেন তিনি রামানুজাচার্যের গুরু ছিলেন তিনি বলেছেন, যদবধি মম চেত কৃষ্ণপদারবিন্দেঃ "যখন থেকে আমি আমরা মনকে শিক্ষা দিয়েছি কীভাবে সর্বদা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণ সেবা করতে হয় যদবধি মম চেত কৃষ্ণপদারবিন্দে নব নব রসধামন্যুদ্যতম্‌ রস "প্রতিদিন কৃষ্ণসেবা করে আমি নতুন নতুন রস বা আনন্দ আস্বাদন করছি" পারমার্থিক জীবন মানে ... যদি কেউ প্রকৃতই চিন্ময় জীবনে স্থিত হবে তিনি আরও আরও সেবা করে দিব্য আনন্দ, চিন্ময় আনন্দ পাবেন, নতুন নতুন। সেটি হচ্ছে চিন্ময় জীবন, তাই যামুনাচার্য বলেছেন যদবধি মম চেত কৃষ্ণপদারবিন্দে নব নব রসধামন্যুদ্যতম্‌ রন্তুম্‌ আসীৎঃ "এখন যখন আমি প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে কৃষ্ণসেবা করে নব নব চিন্ময় আনন্দ পাচ্ছি তদবধি - সেই সময় থেকে , বত নারীসঙ্গমে... কখনও কখনও আমরা মৈথুন জীবনের কথা চিন্তা করে সূক্ষ্মভাবে আনন্দ পাই তাকে বলা হয় নারীসঙ্গমে। নারী মানে স্ত্রীলোক এবং সঙ্গ মানে মিলন যখন কেউ অভ্যাস করেছে, হয়তো বাস্তবে সঙ্গ করছে না, সঙ্গম কথা চিন্তা করছে তাই যামুনাচার্য বলছেন, "বাস্তবে নারী সঙ্গ নয় , এমন কি সেই চিন্তা আসলেও তদবধি বত নারী সঙ্গমে স্মর্যমানে, স্মর্যমানে "কেবল চিন্তা করার দ্বারাই" ভবতি মুখ বিকার, 'ওহ্‌ সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘৃণায় ভরে যাই,। ওহ্‌ কি একটা বাজে ব্যাপার ভারছি আমি সুষ্ঠু নিষ্ঠি... (থুতু ফেলার আওয়াজ করে) এর নাম সিদ্ধি। প্রকৃত সফলতা। হ্যাঁ যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা মৈথুন বিষয় চিন্তাও করব, সূক্ষ্ম যৌন জীবন ওরা যৌন উদ্দীপক সাহিত্য পড়ছে, সেটাও সূক্ষ্ম মৈথুন স্থুল এবং সূক্ষ্ম মৈথুন এই কাম বাসনা থেকে একজনকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হতে হবে এমন কিছুতে জড়িয়ে যাওয়া উচিৎ নয় যা কখনি নিভবে না, অতৃপ্ত থাকবে। দুষ্পূরম্‌