BN/Prabhupada 0726 - খুব ভোরে ওঠ, এবং হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ কর

Revision as of 17:44, 29 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


750304 - Lecture CC Adi 01.15 - Dallas

শ্রীমদ্ভাগবতে নারদ মুনি উপদেশ দিয়েছেন যে, " তুমি মানব জীবন পেয়েছ। এখন কোথায় তোমার খাদ্য , কোথায় তোমার বাসস্থান এগুলো খুঁজে বেড়ানোর কোন দরকার নেই, কোথায় তোমার যৌন তৃপ্তি, কোথায় তোমার নিরাপত্তা। এগুলো তোমার সমস্যা নয়। তোমার এমন জিনিসের জন্য চেষ্টা করা উচিত, মানে সেই জিনিস যা তোমাকে জড় জাগতিক জীবনের এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।" এটি হচ্ছে উপদেশ। আমরা বিভ্রান্ত। আমরা...... আজকে সকাল বেলার প্রাতঃ ভ্রমনে আমি দেখলাম যে, এমন একটি বিশাল জাতি, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে খাদ্য সংকট। ভোর ৬ টার সময় তারা কাজে যাচ্ছে। তারা কাজে যাচ্ছে । কেন? জীবনের প্রয়োজন গুলো খোঁজার জন্য।

তো এটি কেমন সভ্যতা? খুব ভোরে, ৬ টার সময়...... বৈদিক সভ্যতা অনুযায়ী, একজনের খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা উচিত এবং হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা উচিত, মঙ্গল আরতি করা, বিগ্রহ অর্চন করা। এগুলো হচ্ছে সকাল বেলার কাজ। কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী জাতিটি, তারা ৬.৩০টায় কাজে বের হচ্ছে তাদের রুজি রোজগারের জন্য। এটি কি জীবনের খুব ভালো উন্নতি? আর সারাদিন তাদেরকে কাজ করতে হবে। শুধু এখানেই নয়, সব জায়গায়ই, প্রতিদিনের আহার্য রোজগারের জন্য তাদেরকে বাড়ি থেকে ৫০ মাইল, ১০০ মাইল দূরে যেতে হয়। প্রতিটি শহরেই ...... ভারতেও একই অবস্থা- বোম্বাইয়ে, তারা ১০০ মাইল দূর থেকে আসছে, লোকাল ট্রেন গুলোর দৈনন্দিন যাত্রী হয়ে ঝুলছে, খুবই খারাপ অবস্থা। শ্রীমদ্ভাগবতমে বলা হয়েছে কলি যুগের শেষে মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে...... তারা ইতোমধ্যেই গাধার মতন খাটছে। আর প্রকৃতপক্ষে তাদেরকে একটি গাধার মতই কাজ করতে হবে শুধু তাদের খাদ্য সংগ্রহের জন্য। এটি হবে উন্নয়ন। শুধু এটি নয়, এই যে খাদ্যদ্রব্য, বিশেষ করে সাত্ত্বিক খাদ্যদ্রব্য যেমন ফল, সব্জি, দুধ, চাউল, গম, চিনি, এই জিনিস গুলোও সহজে পাওয়া যাবে না- সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং ধীরে ধীরে আমরা এই ধরণের উন্নতিই করবো। আমি বাস্তবে দেখেছি। আমি মস্কো গিয়েছিলাম, আমাদের জন্য সেখানে অন্ততপক্ষে বেঁচে থাকাটাও খুব কষ্টকর ছিল। সেখানে কোন চাউল, গম এগুলোর সরবরাহ ছিল না। খুবই দুর্লভ...... না কোন সব্জি, না কোন ফল, কিছু পচা ফল যেমন রাস্পবেরি আর ...... অন্তত আমাদের জন্যও তা খুব কঠিন ছিল। অবশ্য সেখানে দুধ পাওয়া যেতো আর মাংস। এগুলো তোমার যত খুশি পেতে পার।

কিন্তু এটি মনুষ্য জীবন নয়। মনুষ্য জীবন হচ্ছে...... কবিরাজ গোস্বামী বর্ণনা করেছেন, মৎসর্বস্ব-পাদাম্ভোজৌ রাধামদনমোহনৌ। (CC Adi 1.15) আমাদের একমাত্র সম্পদ হওয়া উচিত রাধা কৃষ্ণের পাদপদ্ম। মদনমোহন। কৃষ্ণ এত সুন্দর যে, তিনি কামদেবের থেকেও বেশী আকর্ষণীয়। মদনমোহন। মদন মানে কামদেব। কামদেবকে ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশী সুন্দর ব্যক্তি বলে মনে করা হয়। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ আরও বেশী সুন্দর। কন্দর্পকোটিকমনীয়বিশেষশোভং ( ব্রহ্মসংহিতা ৫।৩০)। এটি শাস্ত্রে বর্ণনা করা হয়েছে। শাস্ত্র বা বিভিন্ন প্রমাণ থেকে আমরা জানতে পারি যে, শ্রীকৃষ্ণ যখন পৃথিবীতে উপস্থিত ছিলেন, শ্রীকৃষ্ণ অস্যংখ্য গোপীদের কাছে আকর্ষণীয় ছিলেন। গোপীরা ছিলেন সবচেয়ে সুন্দরী রমণী, আর শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন তাঁদের কাছে আকর্ষণীয়। তাহলে শুধু কল্পনা কর যে শ্রীকৃষ্ণ কতোটা সুন্দর ছিলেন। শুধু গোপীরাই নয়, শ্রীকৃষ্ণের ১৬,১০৮ জন রানী ছিলেন। তাই তাঁর নাম হচ্ছে কৃষ্ণ। তিনি সকলের কাছে আকর্ষণীয়। জয়তাং সুরতৌ পঙ্গোর্মম। (CC Adi 1.15) তাহলে আমাদের মত পতিত আত্মাদের কাছে কেন তিনি আকর্ষণীয় হবেন না? সুতরাং এটিই হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের অবস্থান।