BN/Prabhupada 0779 - দুঃখপূর্ণ জায়গায় থেকে তুমি সুখী হতে পার না: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0779 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0778 - Greatest Contribution to the Human Society is Knowledge|0778|Prabhupada 0780 - We Can Get a Glimpse of Knowledge of the Absolute Truth|0780}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0778 - মানব সভ্যতার প্রতি সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে জ্ঞান|0778|BN/Prabhupada 0780 - আমরা পরম সত্যের জ্ঞানের এক ঝলক পেতে পারি|0780}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->

Latest revision as of 07:10, 10 June 2021



Lecture on SB 6.1.19 -- Denver, July 2, 1975

এটি হচ্ছে কৃষ্ণভাবনাময় ব্যক্তির লাভ শ্রীকৃষ্ণ এতোই আকর্ষক যে যদি কেউ একবার মাত্রও কৃষ্ণে মন দেয় এবং তাঁর শরণাগত হয় তিনি সঙ্গে সঙ্গে সব ধরণের জাগতিক দুর্দশাময় জীবন থেকে মুক্ত হন সেটি আমাদের জীবনের সিদ্ধি । যে কোন ভাবেই হোক আমাদেরকে শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণে শরণাগত হতে হবে এই কথা এখানে জোর দেয়া হচ্ছে যে সকৃৎ , মানে কেবল একবার যদি কেবল একবার কৃষ্ণস্মরণেরই এতো ফল থাকে তাহলে আমরা তাদের কথা কল্পনা করতে পারি যারা সর্বদা তাঁর চিন্তায় মগ্ন থাকে এবং হরে কৃষ্ণমহামন্ত্র উচ্চারণ করে তাঁদের অবস্থান কি।

তাঁরা এতোই নিরাপদ যে বলা হয়েছে ন তে যমম্‌ পাশভৃতশ্চ তদ্‌ ভটান্‌ স্বপ্নেহপি পশ্যন্তি (ভাগবত ৬.১.১৯) স্বপ্ন মানে মিথ্যা। যমদূতদের স্বপ্ন দেখা ... মুখোমুখী দেখা... যারা অত্যন্ত পাপী মৃত্যুর সময় তারা যমরাজ বা তাঁর অনুচরদের দেখে তারা দেখতে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। কখনও কখনও মানুষ মৃত্যশয্যায় খুব ভয় পেয়ে যায়, কান্না করতে থাকে, "আমাকে বাঁচাও, বাঁচাও"। অজামিলেরও তা হয়েছিল এই কথা আমরা পড়ে আলোচনা করব কিন্তু সে রক্ষা পেয়েছিল যেহেতু সে পূর্বে কিছু কৃষ্ণভাবনাময় কাজ করেছিল সে রক্ষা পেয়েছিল সেই কাহিনী আমরা পড়ে শুনবো।

সুতরাং এইটি হচ্ছে সর্বোত্তম অবস্থা অন্যথা এই জড় জগত বিপদসঙ্কুল। খুব ভয়ানক জায়গা এটি ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে, দুঃখালয়ম্‌ - এটি দুঃখ পাবার স্থান যেই জায়গা দুঃখের জন্য বানানো সেখানে তুমি সুখী হতে পারবে না আমাদের সেই কথা বুঝতে হবে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন - দুঃখালয়ম্‌ অশাশ্বতম্‌ (গীতা ৮/১৫) এই জড় জগত হচ্ছে দুর্দশাপূর্ণ জায়গা তার ওপর তা অশাশ্বতম্‌ , অনিত্য। তুমি এখানে থাকতে পারবে না এমন কি যদি তুমি এটাও ভাব যে, ঠিক আছে, এখানেই দুঃখের মধ্যেই মানিয়ে নেব। মেনে নিয়ে এখানে থেকে যাব...

মানুষ এই জড় জগতের প্রতি এতোই আসক্ত আমি বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি ... ১৯৫৮ বা ৫৭ সালের কথা যখন আমি প্রথম এই গ্রন্থ - অন্যলোকে সুগম যাত্রা - বের করলাম একজন ভদ্রলোকের সাথে সাক্ষাৎ হল। খুবই উৎসাহী "তো আপনি বলছেন আমরা অন্য গ্রহে যেতে পারি, সেই তথ্য দিচ্ছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। "এবং যদি আপনি ওখানে যান, আপনাকে আর ফিরে আসতে হবে না" না, না তাহলে আমি যেতে চাই না। (হাসি) তিনি বলছিলেন অন্য গ্রহে যাবার তার যে ইচ্ছে তা হচ্ছে মজা করার জন্য। যেমন ওরা চাঁদে যাচ্ছে বলে বলছে কিন্তু ওরা ওখানে থাকতে পারবে না। ওদের ফিরে আসতে হচ্ছে। সেটি হচ্ছে বৈজ্ঞানিক প্রগতি যদি তুমি ওখানে যাচ্ছো তাহলে ওখানেই থাকছো না কেন? আমি সংবাদপত্রে পড়েছি যে যখন রাশিয়ান নভোচারীরা ওখানে গিয়েছিল ওরা নীচে তাকিয়ে দেখছিল, "মস্কো কোথায়?" (হাসি)