BN/Prabhupada 0802 - কৃষ্ণভাবনামৃত এতোই চমৎকার যে এর দ্বারা অধীর ব্যক্তি ধীর হতে পারেন

Revision as of 07:02, 28 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 1.7.18 -- Vrndavana, September 15, 1976

তাই আমাদের ধীর হতে হবে তাহলে আমরা মৃত্যুর ভয়ে ভীত হব না। আমরা যদি ধীর না হই... দুই ধরণের মানুষ আছে। ধীর এবং অধীর ধীর মানে সেই ব্যক্তি যিনি বিচলিত হবার কারণ থাকা সত্ত্বেও বিচলিত হন না। যখন বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই, তখন হয়ত কেউ বিচলিত নাও হতে পারেন। যেমন এখন আমরা মৃত্যুর ভয়ে ভীত নই। কিন্তু যেই মাত্র কোন ভূমিকম্প হবে, আমরা ভয় পেয়ে যাব এই বিল্ডিংটি ধ্বসে পড়তে পারে, এটা বিচলিত হবার কারণ এবং তাতে আমরা খুব বিচলিত হয়ে পড়ি - কখনও আবার চিৎকার করছি সুতরাং এইভাবে বিচলিত হবার কারণ থাকা সত্ত্বেও যিনি বিচলিত হন না, তাঁকে বলা হয় ধীর। ধীরস্তত্র ন মুহ্যতি (গীতা ২/১৩)। এটি ভগবদগীতার কথা। আমাদের অধীর থেকে ধীর হতে হবে। কিন্তু এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন এতোই চমৎকার যে এখানে অধীর ব্যক্তিও ধীর হয়ে যাবেন। এটাই হচ্ছে এই আন্দোলনের উপকার কৃষ্ণোৎকীর্তন গাননর্তনপরৌ প্রেমামৃতম্ভোনিধি ধীরাধীর। কৃষ্ণোৎকীর্তন গাননর্তনপরৌ প্রেমামৃতম্ভোনিধি ধীরাধীরজন প্রিয়ৌ এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন উভয় ধরণের মানুষের কাছেই প্রিয় ধীর এবং অধীর। তা এতোই চমৎকার। ধীরাধীরজন প্রিয়ৌকরৌ নির্মৎসরৌ পূজিতৌ এই আন্দোলন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর দ্বারা প্রবর্তিত এবং তা ছয় গোস্বামীগণ তা অনুসরণ করেছেন বন্দে রূপসনাতন রঘুযুগৌ শ্রীজীব গোপালকৌ

তাই এই আন্দোলন হচ্ছে কীভাবে একজন অধীরকে ধীর বানানো যায় সকলেই অধীর। কে তা নয়... কে মৃত্যুভয়ে ভীত নয়? কে ভীত নয়...? অবশ্য, তারা এতোটাই অজ্ঞেয়বাদী যে তারা ভুলে যায় কিন্তু দুর্ভোগ আছে। আমরা দেখি যে মৃত্যুর সময় কতোই না ভোগান্তি হয় কিছু কিছু লোক মারা যাচ্ছে... আজকালকার দিনে এটা খুব স্বাভাবিক ... কোমা (অচেতন অবস্থা) একজন ব্যক্তি সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে বিছানায় পড়ে আছে, কান্না করছে কিন্তু প্রান বেরোচ্ছে না, যারা খুব পাপী তাদের। তাই মৃত্যুর সময় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়। জন্মের সময় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয় আবার যখন তোমার রোগশোক হচ্ছে তখন অনেক যন্ত্রণা হচ্ছে এবং বার্ধক্যে অনেক যন্ত্রণা হচ্ছে এই দেহটি শক্তিশালী নয়। আমরা বিভিন্নভাবে যন্ত্রণা পোহাচ্ছি। বিশেষ করে বাতের ব্যাথা এবং বদহজমে। \ এছাড়া রক্তচাপ, মাথাব্যাথা ইত্যাদি কতো কিছু তাই একজন ব্যক্তিকে ধীর হবার প্রশিক্ষণ নিতে হবে এইসব যন্ত্রণা আমাদের অধীর করে দেবে এবং আমাদের ধীর হবার শিক্ষা পেতে হবে এরই নাম পারমার্থিক শিক্ষা। মানুধকে তা জানতে হবে মাত্রাস্পর্শাস্তু কৌন্তেয় শীতোষ্ণসম সুখ দুঃখদাঃ (গীতা ২/১৪) এইসব জ্বালা যন্ত্রণা, মাত্রা স্পর্শাস্তু , তন্মাত্র। ইন্দ্রিয়ের কারণে, ইন্দ্রিয়ানুভূতির কারণে কারণে ভুগছি আর এই ইন্দ্রিয়গুলি জড় বস্তুর দ্বারা তৈরি তাই মানুষকে জড়া প্রকৃতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে, তবেই সে ধীর হতে পারবে নয়তো তাকে অধীর হয়েই থাকতে হবে। ধীরাধীরজনপ্রিয়ৌ প্রিয়করৌ