BN/Prabhupada 0881 - যদিও পরমেশ্বর ভগবান অদৃশ্য, কিন্তু তিনি এখন কৃষ্ণরূপে আবির্ভূত হয়েছেন

Revision as of 07:02, 10 July 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730413 - Lecture SB 01.08.21 - New York

অনুবাদঃ আমি সেই পরমেশ্বর ভগবানকে সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি যিনি বসুদেবের পুত্র রূপে আবির্ভূত হয়েছেন, দেবকীর আনন্দ বিধানের জন্য, নন্দ মহারাজের পুত্র, এবং বৃন্দাবনের গোপরাজরূপে এবং গাভী ও ইন্দ্রিয়ের আনন্দ দানের জন্য।"

প্রভুপাদঃ তাই শুরুতেই কুন্তীদেবী বলেছেন যে নমস্য পুরুষম্‌ তদ্বয়ম্‌ ঈশ্বরম্‌ প্রকৃতে পরম্‌ (ভাগবত ১/৮/১৮) "আমি পরম পুরুষকে আমার প্রণাম নিবেদন করি, যিনি প্রকৃতেঃ পরম, যিনি সমস্ত জাগতিক সৃষ্টির অতীত"। কৃষ্ণ হচ্ছেন সম্পূর্ণ চিন্ময় আত্মা, তিনি পরমাত্মা। তাঁর কোন জড় দেহ নেই তাই শুরুতেই কুন্তীদেবী আমাদের সেই ধারণাটি দিয়েছেন যে ভগবান হচ্ছেন পরম পুরুষ ... পুরুষ মানে ব্যক্তি। তিনি নিরাকার নন। পুরুষ। কিন্তু তিনি এই জগতের পুরুষ নন, জাগতিক পুরুষ নন। সেই কথা আমাদেরকে বুঝতে হবে নির্বিশেষবাদীরা তাদের জ্ঞানের অভাববশত বুঝতে পারে না যে কীভাবে পরম পুরুষ একজন ব্যক্তি হতে পারেন কারণ তারা যখনই কোন ব্যক্তির কথা ভাবে, তখনই তারা এই জগতের কোন মানুষের কথা মনে করে। সেটি তাদের ত্রুটি। তাই তাদের জ্ঞানের পরিধি খুবই কম। ভগবান এই জগতের কোন মানুষ কেন হবেন? সেই কথা শুরুতেই বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে প্রকৃতেঃ পরম্‌। এই জড়া প্রকৃতির অতীত। কিন্তু তিনি একজন ব্যক্তি।

এখন সেই ব্যক্তিত্ব, যদিও তিনি অলক্ষ্যম্‌, অদৃশ্য কিন্তু কুন্তীদেবীর কৃপায় আমরা বুঝতে পারছি যে যদিও সেই পরমপুরুষ অদৃশ্য, কিন্তু বর্তমানে তিনি কৃষ্ণরূপে দৃশ্যমান হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন তাই তিনি বলছেন, কৃষ্ণায় বাসুদেবায় (ভাগবত ১/৮/২১)। বাসুদেব জ্ঞান। কখনও কখনও নির্বিশেষবাদীদের বাসুদেব ধারণা থাকে, তাঁদের বাসুদেব ধারণা হচ্ছে যে তিনি সর্বব্যাপী তাই কুন্তীদেবী বলছেন, "সেই সর্বব্যাপী বাসুদেব কৃষ্ণ তাঁর বাসুদেব রূপের দ্বারা, তিনি সর্বব্যাপ্ত। ঈশ্বর সর্বভূতানাম্‌ হৃদদেশেহর্জুন তিষ্ঠতি (গীতা ১৮/৬১)। শ্রীকৃষ্ণের এই রূপ... পরমেশ্বর ভগবান কৃষ্ণের তিনটি প্রকাশ আছে, ভগবান রূপে, সর্বগত পরমাত্মা রূপে এবং নিরাকার ব্রহ্মজ্যোতি রূপে। যাঁদের মতি ভক্তিযোগে আকৃষ্ট, নির্বিশেষ ব্রহ্মের প্রতি তাঁদের করণীয় কিছুই নেই। সেটি সাধারণ মানুষদের জন্য। সাধারণ মানুষ। ঠিক যেমন বুঝতে চেষ্টা কর যারা সূর্যগ্রহের আধিবাসী সূর্যালোক দিয়ে তাঁদের কি কাজ? সেটি তাঁদের জন্য সবচেয়ে নগন্য বিষয়, সূর্যের আলো। তেমনই, যারা পারমার্থিক মার্গে উন্নত, তাঁরা সবিশেষ পুরুষ, বাসুদেবের প্রতি আগ্রহী। পুরুষম্‌ যেমনটা ভগবদগীতায় বলা হয়েছে যে সেই উপলব্ধি আসে বহু বহু জন্মের পর, বহুনাম্‌ জন্মনামন্তে (গীতা ৭/১৯) অনেক অনেক জন্মের পর এইসব নিরাকারবাদীরা যারা ব্রহ্মজ্যোতির প্রতি অত্যন্ত আসক্ত তাঁদের বলা হয় জ্ঞানী। তাঁরা পরম সত্যকে তাঁদের জ্ঞানের দ্বারা জানতে চেষ্টা করছেন কিন্তু তাঁরা জানে না যে তাঁদের জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত এবং ত্রুটিযুক্ত এবং পরম সত্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হলেন অসীম।