BN/Prabhupada 0886 - বেদ মানে জ্ঞান। অন্ত মানে শেষ স্তর বা শেষ

Revision as of 07:02, 10 July 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730413 - Lecture SB 01.08.21 - New York

ব্যক্তি ভাগবত অথবা গ্রন্থ ভাগবত। সর্বদা তাঁদের সেবা কর। তবেই তুমি দৃঢ় হবে। প্রভুপাদঃ তাই শাস্ত্র অনুযায়ী আমাদের এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত গ্রহণ করা উচিৎ শ্রী... আমি খুবই খুশি যে তুমি খুব ভালভাবে সেবা করছ। বিগ্রহকে সুন্দর পোশাক পরাচ্ছ। এইভাবে আরও করতে থাকো, শ্রীকৃষ্ণকে ভাল ভোগ লাগাও, ভাল ভাল নৈবেদ্য, ভাল পোশাক মন্দির খুব পরিচ্ছন্ন রাখ। শ্রীমন্দিরমার্জনাদিষু, মার্জন মানে পরিষ্কার করা হয় তুমি কৃষ্ণকে পোশাক পরাও, নয়ত মন্দির মার্জন কর। ফলাফল একই এরকম ভাববে না যে "আমি ঝাড়ুদার আর ও পোশাক পরাচ্ছে" , না। ঝাড়ুদার বা পোশাক পরানো পূজারি দুইই সমান। কৃষ্ণ হচ্ছেন পরম। যে কোন ভাবেই হোক, কৃষ্ণের সেবা কর তোমার জীবন সার্থক হবে। সেটাই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন।

তাই আমরা কুন্তীদেবীর আশীর্বাদে জানতে পারি পরমেশ্বর ভগবান বাসুদেব কে। বাসুদেব ... বাসুদেব শব্দের আরেকটি অর্থ হচ্ছে যখন তুমি বাসুদেব স্তরে আসতে পার সত্ত্বম্‌ বিশুদ্ধম্‌ বাসুদেব শব্দিতম্‌। সত্ত্বম্‌ সত্ত্বগুণ। প্রথমে আমাদের এই সত্ত্বগুণের স্তরে আসতে হবে কিন্তু এই জড় জগতে সত্ত্বগুণও রজ ও তমো গুণের দ্বারা কলুষিত তাই কৃষ্ণের সম্পর্কে শ্রবণের মাধ্যমে শৃণ্বতাম্‌ স্বকথা কৃষ্ণ পুণ্যশ্রবণ কীর্তনঃ (ভাগবত ১/২/১৭) ঠিক যেমন তোমরা কৃষ্ণের সম্পর্কে শ্রবণ করছ তেমনই ভাবে সবসময় কৃষ্ণকথা শুনতে চেষ্টা কর, ২৪ ঘণ্টা কৃষ্ণনাম জপ কীর্তন কর। এইভাবে সব আবর্জনা দূর হবে নষ্টপ্রায়েষ্ব অভদ্রেষু নিত্যম্‌ ভাগবত সেবয়া (ভাগবত ১/২/১৮) নিত্যম্‌ মানে সর্বদা। এমন নয় আনুষ্ঠানিকভাবে ভাগবত সপ্তাহ না, সেরকম নয়। সেটি আরেক ধরণের নষ্ট করে দেয়ার কাজ ভাগবতে বলা হয়েছে, নিত্যম্‌ ভাগবত সেবয়া নিত্যম্‌ মানে রোজ। ২৪ ঘণ্টা। হয় তুমি ভাগবত অধ্যয়ন কর অথবা গুরুদেবের নির্দেশ পালন কর এটিও নির্দেশ। ভাগবতও গুরুদেব বৈষ্ণব, তিনিও ভাগবত। আচার্য, ভাগবত গ্রন্থ ভাগবত, এবং ব্যক্তি ভাগবত তাই হয় গ্রন্থ অথবা ব্যক্তি ভাগবতের সর্বদা সেবা কর নিত্যম্‌ ভাগবত সেবয়া (ভাগবত ১/২/১৮) ভগবতি উত্তম শ্লোকে ভক্তির্ভবতি নৈষ্ঠিকী তখন তুমি নিষ্ঠা পরায়ণ হবে। তোমাকে আর কেউই বিচলিত করতে পারবে না ভগবতি উত্তম শ্লোকে, ভগবানের প্রতি

এইভাবে তোমাকে কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলনটি বুঝতে হবে প্রদত্ত পন্থার মাধ্যমে এবং অন্যদেরকে দিতে চেষ্টা করতে হবে এটাই এই জগতের সবচেয়ে বড় কল্যাণ কর্ম জীবের হৃদয়ে সুপ্ত কৃষ্ণপ্রেমকে জাগরিত করা । ব্যবহারিকভাবেই তোমরা দেখতে পার যে চার পাঁচ বছর আগে তোমরা কেউই কৃষ্ণভাবনাময় ছিলে না কিন্তু তা জাগ্রত হয়েছে। এখন তোমরা কৃষ্ণ ভাবনাময়। এখন অন্যদের এইভাবে জাগ্রত করা যায় কোন সমস্যা নেই , পন্থা একই তাই কুন্তীদেবীর মতো ভক্তদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার দ্বারা আমরা এটি অনুধাবন করতে সক্ষম হব যেমনটা তিনি বলছেন কৃষ্ণায় বাসুদেবায় দেবকীনন্দনায় চ, নন্দগোপকুমারায় (ভাগবত ১/৮/২১) । এটি হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের পরিচয় ঠিক যেমন আমরা একজন লোকের পরিচয় নিই। "আপনার বাবার নাম কি?" এখানে আমরা ভগবানের পিতামাতার নামসহ , তাঁর ঠিকানাসহ পরিচয় দিচ্ছি আমরা নির্বিশেষবাদী নই, অস্পষ্ট ধারণার নয়। না। সবকিছুই পূর্ণ। পরিচয় সম্পর্কে। যদি তুমি এই কৃষ্ণভাবনামৃতের সুযোগ নাও, তাহলে তুমি নিশ্চিত ভাবে লাভবান হবে

অনেক ধন্যবাদ।

ভক্তবৃন্দঃ জয় শ্রীল প্রভুপাদ।