BN/Prabhupada 0888 - হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ কর এবং ভগবানকে উপলব্ধি কর: Difference between revisions

 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0887 - Veda Means Knowledge, and Anta Means Last Stage, or End|0887|Prabhupada 0889 - If you Deposit One Cent Daily, One Day it May Become a Hundred Dollars|0889}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0887 - ব্যক্তি ভাগবত অথবা গ্রন্থ ভাগবত। সর্বদা তাঁদের সেবা কর। তবেই তুমি দৃঢ় হবে|0887|BN/Prabhupada 0889 - যদি রোজ এক পয়সা করে জমাও, তাহলে একদিন তোমার কাছে একশ ডলার হতে পারে|0889}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->

Latest revision as of 07:03, 10 July 2021



750522 - Lecture SB 06.01.01-2 - Melbourne

লোকেরা পরোয়া করে না যে কীভাবে এই প্রকৃতি কাজ করছে প্রকৃতির নিয়ম মানে ভগবানের আইন। প্রকৃতি স্বাধীন নন। সেই কথা ভগবদগীতায় বলা হয়েছে, ময়াধ্যক্ষেণ প্রকৃতি সূয়তে স চরাচরম্‌ (গীতা ৯/১০) প্রকৃতি একটি যন্ত্র তুমি কি মনে কর একটি যন্ত্র চালক ছাড়া চলতে পারে? তাই মনে কর? এরকম কোন প্রমাণ আছে কি? এই যে সুন্দর একটা ছবি তোলার যন্ত্র এটি ছবি নিচ্ছে, আর এটা চলমান চিত্র হবে। কিন্তু এর পেছনে একজন চালক আছে। এরকম কোন যন্ত্র আছে যার চালক নেই? এমন একটা উদাহরণ দিতে পারবে? "এই যে একটা মেশিন যেটা চালক ছাড়াই চলছে?" তাহলে কীভাবে এটা ভাব যে প্রকৃতি মেশিনটি কোন পরম চালক বা ভগবানের নির্দেশ ছাড়াই চলছে? তুমি কীভাবে তা মনে কর? সেটি খুব একটা যৌক্তিক নয়। আমাদের বিচার করতে হবে অনেক ধরণের প্রমাণ আছে। একটা হচ্ছে অনুমান এই অনুমান যে, "যেহেতু আমরা এমন কোন মেশিন দেখি না যা চালক ছাড়াই চলে, তাই আমাদের এই সিদ্ধান্ত করতে পারি যে যদিও আমরা জানি না ভগবান কে, প্রকৃতি কি তাই আমাদের এই সিদ্ধান্ত যে প্রকৃতি কোন পরম চালকের অধ্যক্ষতায় চলছে। সেটাই ভগবান।" চালককে দেখাটা খুব জরুরী নয়। কিন্তু আমরা আন্দাজ করতে পারি যে চালক অবশ্যই আছে

তাই এই মনুষ্য জীবন হচ্ছে এটা খুঁজে বের করা যে কে সেই চালক সেটাই মানুষ জীবন। নয়ত তা কুকুর বেড়ালের জীবন ওরা খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে, মৈথুন করছে আর প্রতিরক্ষা করছে, ব্যাস্‌ সেটি মানব জন্ম নয়। তোমাকে অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে কে প্রকৃত চালক অথাতো ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা। সংস্কৃতে বলা হচ্ছে "এই মানব জন্ম হচ্ছে পরম চালক সম্পর্কে জানার জন্য" সেই পরম চালক কৃষ্ণ এতোই কৃপাময় যে তিনি সেই প্রমাণ ভগবদগীতায় দিচ্ছেন, "ময়াধ্যক্ষেণ প্রকৃতি সুয়তে স চরাচরম্‌ (গীতা ৯/১০) "আমি, আমার নির্দেশনায় স্থাবর ও জঙ্গম, সমস্ত প্রকৃতি চলছে" তাই এটা গ্রহণ কর। তাহলেই তোমার কাজ শেষ এবং কৃষ্ণ প্রমাণ দিচ্ছেন তিনি কীভাবে এই প্রকৃতি চালাচ্ছেন যখন তিনি সাত বছর বয়স্ক বালক, তিনি বিশাল গোবর্ধন পর্বত তাঁর আঙ্গুলে তুলে ধরেছেন মানে, আমরা... আমাদের মহাকর্ষ বলের ধারণা আছে সেই বলের নীতি অনুযায়ী এত বড় পর্বত একজন মানুষের আঙ্গুলে থাকতে পারে না সেটাই আমাদের গণনা। কিন্তু তিনি তা করেছেন অর্থাৎ তিনি মহাকর্ষ বলকে খণ্ডন করেছেন। তিনি হচ্ছেন ভগবান যদি তুমি এটা বিশ্বাস কর, তাহলে তুমি তৎক্ষণাৎ ভগবানকে জানতে পারবে। কোন সমস্যা হবে না ঠিক যেমন বাচ্চকা সতর্ক করে দেয়া হয়, "প্রিয় পুত্র, এই আগুনকে স্পর্শ কর না, এটা তোমাকে পুড়িয়ে দেবে" সে যদি তা গ্রহণ করে, তাহলে সে পূর্ণ জ্ঞান পেয়ে গেল। তৎক্ষণাৎ সে যদি তা না গ্রহণ করে, সে পরীক্ষা করতে চায়। তাহলে সে আঙ্গুল পুড়ে ফেলবে

তাই আমাদের জ্ঞানের পন্থা হচ্ছে - তোমাকে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে তাহলে আমাদের গবেষণার সময় বাঁচবে। সেটাই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন আমরা শ্রীকৃষ্ণের থেকে পূর্ণ জ্ঞান পাচ্ছি আমি হয়ত ভুল হতে পারি, ঠিক যেমন বাচ্চাটি ভুল থাকতে পারে তেমনই আমি ত্রুটিযুক্ত হতে পারি, তুমি ত্রুটিযুক্ত হতে পার কিন্তু তুমি যদি পরম পূর্ণের কাছ থেকে জ্ঞান গ্রহণ কর, তাহলে তুমিও পূর্ণ। নিখুঁত। সেটাই পন্থা। একে বলা হয় অবরোহ পন্থা। জ্ঞান নীচে নেমে আসা।

তাই সবকিছুই দেয়া আছে এবং তুমি যদি এই আন্দোলনের সুযোগ গ্রহণ কর, এবং তোমার জীবন সার্থক কর নিজ আলয়ে, ভগবদ্ধামে ফিরে যাও, এইভাবে আমাদের এই কেন্দ্রের, মেলবোর্ন কেন্দ্রের সুবিধা গ্রহণ কর এখানে আস, আমাদের বইগুলো পড়ো এবং বিচার কর পূর্ণ জ্ঞান সহকারে এটি বোঝার চেষ্টা কর। কোন অন্ধ অনুকরণ নয় যুক্তি আছে। দর্শন আছে। বিজ্ঞান আছে। সবকিছুই আছে আর যদি তুমি মনে কর, আমি কেবল জপ কীর্তনের মাধ্যমেই উপলব্ধি করব," সেটাও অনুমোদিত উভয় ভাবেইঃ যদি তুমি এই সরল পন্থা গ্রহণ কর, "হরে কৃষ্ণ জপ কর, এবং ভগবানকে উপলব্ধি কর।" সেটাই বাস্তব সত্য। আর যদি মনে কর, "এসব আজেবাজে হরে কৃষ্ণ জপ আবার কি?" তাহলে বই পর। দুই ভাবেই আমরা প্রস্তুত। আস এবং এই আন্দোলনের সুবিধা গ্রহণ কর

অনেক ধন্যবাদ।

ভক্তবৃন্দঃ জয় ! জয়!