BN/Prabhupada 0917 - সারা জগত ইন্দ্রিয়ের সেবা করছে, ইন্দ্রিয়ের দাস: Difference between revisions

 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 9: Line 9:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0916 - Krsna Does Not Require Your Nice Dress or Nice Flower or Nice Food|0916|Prabhupada 0918 - Becoming Enemy of Krsna is Not Very Profitable. Better Become Friend|0918}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0916 - শ্রীকৃষ্ণের তোমার সুন্দর সুন্দর পোশাক, ফুল বা আহারের প্রয়োজন নেই|0916|BN/Prabhupada 0918 - শ্রীকৃষ্ণের শত্রু হওয়াতে লাভের কিছু নেই, বরং তাঁর বন্ধু হও|0918}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 31: Line 31:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT (from DotSub) -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT (from DotSub) -->
সারা জগত ইন্দ্রিয়ের সেবা করছে, ইন্দ্রিয়ের দাস যদি তুমি কৃষ্ণকে সজ্জিত কর, তাহলে তোমাকে সজ্জিত দেখাবে যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট কর, তাহলে তুমিও সন্তুষ্ট হবে। তুমি যদি কৃষ্ণকে ভাল ভাল আহার্য দ্রব্য অর্পণ কর, তুমি পরে তা প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে যারা মন্দিরের বাইরে থাকে, তাঁরা এই ধরণের খাবার হয়তো কখনও খাই-ই নি। কারণ যেহেতু তা শ্রীকৃষ্ণকে অর্পণ করা হয়েছে, তাই আমরাও সেই প্রসাদ গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। এটিই আমাদের দর্শন। তাই তুমি কৃষ্ণকে সবদিক থেকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা কর। তাহলে তুমিও সর্বপ্রকারে সন্তুষ্ট হবে। তোমার সেবার কোন দরকার কৃষ্ণের নেই। কিন্তু তিনি দয়া করে তা গ্রহণ করেন। সর্বধর্মান্‌ পরিত্যজ্য মামেকম্‌ শরণম্‌ ব্রজ ([[Vanisource:BG 18.66 (1972)|গীতা ১৮/৬৬]]) শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "তুমি আমার শরণাগত হও।" এর মানে এই নয় যে শ্রীকৃষ্ণের কোন দাসের অভাব নেই, এবং যদি তুমি শরণাগত হও, তাহলে তিনি লাভবান হবেন। (হাসি) কৃষ্ণ কেবল তাঁর বাসনার দ্বারাই লক্ষ লক্ষ দাস সৃষ্টি করতে পারেন। তাই সেটি কোন বিষয়ই নয়। কিন্তু তুমি যদি কৃষ্ণের শরণাগত হও, তুমি সুরক্ষা পাবে। তুমি রক্ষা পাবে। সেটিই তোমার কাজ।  
যদি তুমি কৃষ্ণকে সজ্জিত কর, তাহলে তোমাকে সজ্জিত দেখাবে যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট কর, তাহলে তুমিও সন্তুষ্ট হবে। তুমি যদি কৃষ্ণকে ভাল ভাল আহার্য দ্রব্য অর্পণ কর, তুমি পরে তা প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে যারা মন্দিরের বাইরে থাকে, তাঁরা এই ধরণের খাবার হয়তো কখনও খাই-ই নি। কারণ যেহেতু তা শ্রীকৃষ্ণকে অর্পণ করা হয়েছে, তাই আমরাও সেই প্রসাদ গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। এটিই আমাদের দর্শন। তাই তুমি কৃষ্ণকে সবদিক থেকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা কর। তাহলে তুমিও সর্বপ্রকারে সন্তুষ্ট হবে। তোমার সেবার কোন দরকার কৃষ্ণের নেই। কিন্তু তিনি দয়া করে তা গ্রহণ করেন। সর্বধর্মান্‌ পরিত্যজ্য মামেকম্‌ শরণম্‌ ব্রজ ([[Vanisource:BG 18.66 (1972)|গীতা ১৮/৬৬]]) শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "তুমি আমার শরণাগত হও।" এর মানে এই নয় যে শ্রীকৃষ্ণের কোন দাসের অভাব নেই, এবং যদি তুমি শরণাগত হও, তাহলে তিনি লাভবান হবেন। (হাসি) কৃষ্ণ কেবল তাঁর বাসনার দ্বারাই লক্ষ লক্ষ দাস সৃষ্টি করতে পারেন। তাই সেটি কোন বিষয়ই নয়। কিন্তু তুমি যদি কৃষ্ণের শরণাগত হও, তুমি সুরক্ষা পাবে। তুমি রক্ষা পাবে। সেটিই তোমার কাজ।  


ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, অহম্‌ ত্বাম্‌ সর্বপাপেভ্য মোক্ষ্যয়স্যামি মা শুচঃ ([[Vanisource:BG 18.66 (1972)|গীতা ১৮/৬৬]]) তুমি এখানে কেবল দুর্ভোগ পাচ্ছ। নিরাশ্রয়ের মতো। রাস্তায় দেখবে অনেক লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে , জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই। আমরা সমুদ্রসৈকতে গেলে অনেক ছেলে মেয়েদের দেখছি, কোন লক্ষ্য নেই, ঘুরে বেড়াচ্ছে, জানেনা কি করতে হবে, দ্বিধাগ্রস্ত। কিন্তু যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত হও, তাহলে তুমি জানবে যে "ওহ্‌ আমি এখন আশ্রয় পেলাম।" আর কোন সংশয় নেই। আর কোন নিরাশা নেই। এটা সহজেই বুঝতে পারবে আমি রোজদিন অনেক চিঠি পাচ্ছি যেখানে মানুষেরা লিখছে যে তাঁরা কীভাবে কৃষ্ণভাবনামৃতের মধ্যে আশা খুঁজে পাচ্ছে।  
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, অহম্‌ ত্বাম্‌ সর্বপাপেভ্য মোক্ষ্যয়স্যামি মা শুচঃ ([[Vanisource:BG 18.66 (1972)|গীতা ১৮/৬৬]]) তুমি এখানে কেবল দুর্ভোগ পাচ্ছ। নিরাশ্রয়ের মতো। রাস্তায় দেখবে অনেক লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে , জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই। আমরা সমুদ্রসৈকতে গেলে অনেক ছেলে মেয়েদের দেখছি, কোন লক্ষ্য নেই, ঘুরে বেড়াচ্ছে, জানেনা কি করতে হবে, দ্বিধাগ্রস্ত। কিন্তু যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত হও, তাহলে তুমি জানবে যে "ওহ্‌ আমি এখন আশ্রয় পেলাম।" আর কোন সংশয় নেই। আর কোন নিরাশা নেই। এটা সহজেই বুঝতে পারবে আমি রোজদিন অনেক চিঠি পাচ্ছি যেখানে মানুষেরা লিখছে যে তাঁরা কীভাবে কৃষ্ণভাবনামৃতের মধ্যে আশা খুঁজে পাচ্ছে।  

Latest revision as of 07:06, 10 July 2021



730421 - Lecture SB 01.08.29 - Los Angeles

যদি তুমি কৃষ্ণকে সজ্জিত কর, তাহলে তোমাকে সজ্জিত দেখাবে যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট কর, তাহলে তুমিও সন্তুষ্ট হবে। তুমি যদি কৃষ্ণকে ভাল ভাল আহার্য দ্রব্য অর্পণ কর, তুমি পরে তা প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে যারা মন্দিরের বাইরে থাকে, তাঁরা এই ধরণের খাবার হয়তো কখনও খাই-ই নি। কারণ যেহেতু তা শ্রীকৃষ্ণকে অর্পণ করা হয়েছে, তাই আমরাও সেই প্রসাদ গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। এটিই আমাদের দর্শন। তাই তুমি কৃষ্ণকে সবদিক থেকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা কর। তাহলে তুমিও সর্বপ্রকারে সন্তুষ্ট হবে। তোমার সেবার কোন দরকার কৃষ্ণের নেই। কিন্তু তিনি দয়া করে তা গ্রহণ করেন। সর্বধর্মান্‌ পরিত্যজ্য মামেকম্‌ শরণম্‌ ব্রজ (গীতা ১৮/৬৬) শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "তুমি আমার শরণাগত হও।" এর মানে এই নয় যে শ্রীকৃষ্ণের কোন দাসের অভাব নেই, এবং যদি তুমি শরণাগত হও, তাহলে তিনি লাভবান হবেন। (হাসি) কৃষ্ণ কেবল তাঁর বাসনার দ্বারাই লক্ষ লক্ষ দাস সৃষ্টি করতে পারেন। তাই সেটি কোন বিষয়ই নয়। কিন্তু তুমি যদি কৃষ্ণের শরণাগত হও, তুমি সুরক্ষা পাবে। তুমি রক্ষা পাবে। সেটিই তোমার কাজ।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, অহম্‌ ত্বাম্‌ সর্বপাপেভ্য মোক্ষ্যয়স্যামি মা শুচঃ (গীতা ১৮/৬৬) তুমি এখানে কেবল দুর্ভোগ পাচ্ছ। নিরাশ্রয়ের মতো। রাস্তায় দেখবে অনেক লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে , জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই। আমরা সমুদ্রসৈকতে গেলে অনেক ছেলে মেয়েদের দেখছি, কোন লক্ষ্য নেই, ঘুরে বেড়াচ্ছে, জানেনা কি করতে হবে, দ্বিধাগ্রস্ত। কিন্তু যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত হও, তাহলে তুমি জানবে যে "ওহ্‌ আমি এখন আশ্রয় পেলাম।" আর কোন সংশয় নেই। আর কোন নিরাশা নেই। এটা সহজেই বুঝতে পারবে আমি রোজদিন অনেক চিঠি পাচ্ছি যেখানে মানুষেরা লিখছে যে তাঁরা কীভাবে কৃষ্ণভাবনামৃতের মধ্যে আশা খুঁজে পাচ্ছে।

তাই কৃষ্ণ এই জগতে অবতীর্ণ হয়েছেন কিছু সেবক জোগাড় করতে, এই কথাটা সত্য নয়। যদি আমরা রাজি হই... বরং শ্রীকৃষ্ণের দাস না হয়ে আমরা অন্য বহু কিছুর দাসত্ব করছি। আমরা আমাদের ইন্দ্রিয়ের দাস এবং ইন্দ্রিয় তৃপ্তিমূলক কাজ যেমন কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ইত্যাদির দাস। আসলে সারা পৃথিবীই কেবল ইন্দ্রিয়ের সেবা করে চলেছে, ইন্দ্রিয়ের দাস, গোদাস। কিন্তু আমরা যদি কৃষ্ণের সেবায় ইন্দ্রিয়গুলি নিযুক্ত করি তাহলে আমাদের আর কখনও ইন্দ্রিয়ের দাস হয়ে থাকতে হবে না। আমরা ইন্দ্রিয়ের প্রভু হতে পারব। কারণ তখন আমরা আমাদের ইন্দ্রিয়কে অন্য ভাবে নিযুক্ত হতে দেব না। আমরা সেই শক্তি পাব, এবং তখন আমরা শক্তিশালী হব।

তাই এখানে কুন্তীদেবী ব্যাখ্যা করছেন যে, "এই জগতে তোমার আবির্ভাব ... বিভ্রান্তিজনক। আমরা ভাছি, "কৃষ্ণের কোন উদ্দেশ্য আছে, তাই তিনি আবির্ভূত হন"। না। এটা কেবল লীলা মাত্র লীলা। ঠিক যেমন, কখনও কখনও গভর্নর জেলখানা পরিদর্শনে যান। জেলখানায় তাঁর কোন কাজ নেই। তিনি কারাধ্যক্ষের কাছ থেকেই সব খবর পাচ্ছেন। তবুও তিনি কখনও কখনও নিজেই আসেন, "ঠিক আছে, গিয়ে দেখি ওরা কেমন আছে" একে বলা লীলা। এটি তাঁর স্বাধীন ইচ্ছা। এমন নয় যে তিনি জেলখানার নিয়মের অধীন, তাই তাঁকে জেলখানায় আসতেই হবে। না, তা নয়। কিন্তু যদি কারাগারের কয়েদী ভাবে, "ওহ্‌ এই দেখ গভর্নরও কারাগারে এসেছেন, তাহলে আমরা দুজনেই সমান। আমিও গভর্নর"। (হাসি) মূর্খ লোকেরা এইভাবে ভাবে যে, "যেহেতু কৃষ্ণ অবতীর্ণ হয়েছেন, তিনি অবতার, তাই আমিও অবতার।" এই ধরণের মূর্খামিই চলছে আজকাল।