"বৈদিক অনুশাসনের সমগ্র নির্দেশনা সমূহকে এইভাবে বুঝতে হবে যে,'আমি এই জড় দেহ নই; আমি চিন্ময় আত্মা'। আর আমাদের এই প্রকৃত অবস্থানটাকে বোঝানোর জন্যই ধর্মশাস্ত্রাদিতে এতসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তোমরা সেখানে দেখতে পাবে যমদূত অথবা যমরাজ বলছেন, ধর্মং তু সাক্ষাৎ ভগবৎ-প্রণীতম (Vanisource:SB 6.3.19। শ্রীমদ্ভাগবতম ৬.৩.১৯)। প্রকৃতপক্ষেই তা, আমি বোঝাতে চাচ্ছি, মুলতঃ পরমেশ্বর ভগবানই ধর্মীয় নীতি সমূহের নিয়ন্ত্রক। তাই শ্রীকৃষ্ণকে অনেক সময় ধর্মসেতু নামে অভিহিত করা হয়। সেতু মানে হচ্ছে ব্রিজ। আমাদেরকে তা পার হতে হবে। সমগ্র পরিকল্পনাটি হচ্ছে যে, আমাদেরকে এই অজ্ঞানতার সমুদ্রটি পার হতে হবে, যার মধ্যে এখন আমরা পতিত অবস্থায় আছি। জড় অস্তিত্ব মানে হচ্ছে অজ্ঞানতার সমুদ্র, আর এটা একজনকে অতিক্রম করতে হয়, তখনই কেবল সে তার প্রকৃত জীবন খুঁজে পায়।
|