BN/Prabhupada 0014 - ভক্তরা অত্যন্ত মহিমান্বিত



The Nectar of Devotion -- Calcutta, January 30, 1973

একজন ভক্তের জন্যে, শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ভক্তের হাতের মুঠোয় থাকেন। অজিতজিতোপ্যস্যৌ। যদিও শ্রীকৃষ্ণকে অজিত, কিন্তু তবুও তিনি ভক্ত দ্বারা পরাজিত হতে ভালবাসেন। এই হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের অবস্থান। ঠিক যেমন তিনি স্বেচ্ছায় মা যশোদার দ্বারা পরাজিত হয়েছিলেন, শ্রীমতি রাধারাণীর দ্বারা, বনধুদের দ্বারা পরাজিত হয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ পরাজিত হয়েছিলেন এবং নিজের বনধুকে কাঁধে চাপিয়েছিলেন। বাস্তবেও কখনও কখনও আমরা দেখি যে রাজা নিজের মন্ত্রীদের মধ্যে একজন ভাঁড়-কে রাখেন, এবং কখনও ভাঁড় রাজাকেও অপমান করে, আর রাজা তা উপভোগ করেন। ভাঁড় কখনও কখনও... যেমন বাংলাতে এক প্রসিদ্ধ ভাঁড় আছে, গোপাল ভাঁড়। একদিন রাজা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, "গোপাল, তোমার আর একটা গাধার মধ্যে পার্থক্য কি?" সে তৎক্ষণাৎ রাজা আর তার নিজের মধ্যকার দূরত্বটা মেপে নিলেন। তিনি বললেন, "শুধু তিন ফুট রাজামশাই।" "মাত্র তিন ফুটের তফাৎ।" সবাই হাসতে লাগল এবং রাজা সেই অপমানটিও উপভোগ করলেন। কেননা কখনও কখনও এটি দরকার। সুতরাং শ্রীকৃষ্ণও... সকলেই তাঁকে সর্বশ্রেষ্ঠ অবস্থান দিয়ে স্তব করেন। প্রত্যেকেই। এটিই শ্রীকৃষ্ণের স্থিতি- তিনি পরমেশ্বর ভগবান, বৈকুন্ঠে শুধু গুণগানই হয়। অন্য কিছু না। কিন্তু বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ভক্তদের দ্বারা অপমানিত হতে প্রস্তুত। লোকেরা জানে না যে বৃন্দাবনের জীবনধারা কেমন হয়। সুতরাং ভক্তরা অত্যন্ত মহিমান্বিত। যখন শ্রীমতি রাধারানীর নির্দেশ করেন

"কৃষ্ণকে আমার কাছে আসতে দিও না"

শ্রীকৃষ্ণ ভেতরে আসতে পারেন না। শ্রীকৃষ্ণ অন্য গোপীদের তোষামোদ করে বলেন,

"দয়া করে আমাকে ভেতরে যেতে দাও।"

"না, না, তোমার আদেশ নেই, তুমি যেতে পারবে না।"

শ্রীকৃষ্ণ সেটিই পছন্দ করেন।