BN/Prabhupada 0082 - কৃষ্ণ সর্বত্র আছেন



Lecture on BG 4.24 -- August 4, 1976, New Mayapur (French farm)

ভক্তঃ আমরা বলে থাকি যে কৃষ্ণ চিন্ময় বস্তুর ভেতরে উপস্থিত, জীবের হৃদয়ে অবস্থান করেন।

প্রভুপাদঃ শ্রীকৃষ্ণ সর্বত্রই রয়েছেন।

ভক্তঃ ব্যক্তি হিসেবে না শক্তিরূপে?

প্রভুপাদঃ তাঁর শক্তিরূপে। ব্যক্তিরূপেও। আমাদের বর্তমান চোখে আমরা ব্যক্তি রূপ দেখতে পারব না কিন্তু আমরা তাঁর শক্তিকে অনুভব করতে পারি। এই বিষয়টি বারংবার বুঝে নিতে হবে যখন কেউ পূর্ণরূপে উপলব্ধ হন, তখন এই শ্লোক, সবকিছুই তখন ব্রহ্ম, সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম...

উন্নত ভক্ত, তিনি কৃষ্ণ ছাড়া কিছুই দেখেন না

ভক্তঃ শ্রীল প্রভুপাদ, জড় শক্তি এবং চিন্ময় শক্তির মধ্যে কি আসলেই কোন পার্থক্য আছে?

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। অনেক পার্থক্য আছে। একই উদাহরণ, বিদ্যুৎ। অনেক কিছু কাজ করছে, বিভিন্ন শক্তির দ্বারা এমনকি এই ডিক্টাফোনটিও কাজ করছে। সেই একই বিদ্যুৎ শক্তিতে। তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, অহম্‌ সর্বস্য প্রভবঃ (গীতা ১০/৮) তিনিই সবকিছুর উৎস

ভক্তঃ ভগবদগীতায় প্রতিপন্ন হয়েছে যে, জীবিত অবস্থাতেও লোকেরা দেহ পরিবর্তন করে কিন্তু আমরা দেখি যে একজন কালো মানুষ সাদা হয় না, নাকি তা স্থির এমন কিছু যা একই থাকছে দেহের পরিবর্তন হলেও। সেটি কি? এটি কিভাবে সম্ভব যে, কেউ তার দেহ পরিবর্তন করছে, কিন্তু আমরা তাকে যুবক অবস্থা থেকে বৃদ্ধাবস্থাতেও চিনতে পারছি?

প্রভুপাদঃ যখন তুমি আরও উন্নত হবে তুমি বুঝতে পারবে যে আসলে শ্বেতাঙ্গ আর কৃষ্ণাঙ্গের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ঠিক যেমন ফুল আছে, বিভিন্ন রঙের ফুল একই উৎস থেকে তা আসছে আসলে কোন পার্থক্য নেই, কিন্তু একে সুন্দর করার জন্য বিভিন্ন রং - এ তা উপস্থাপিত হয় সূর্যের আলোতে সাতটি রং আছে, সেই সাতটি রং থেকে আরও অনেক রং হয়, মূল রং সাদা, এবং তার থেকে বহু বহু রং বোঝা যাচ্ছে কি?

ভক্তঃ শ্রীল প্রভুপাদ, যদি শ্রীকৃষ্ণই সবকিছুই সৃষ্টি করেছেন এবং সমস্ত কিছু কৃষ্ণের ইচ্ছার কাছেই সমর্পিত তাহলে আমরা কি আসলেই বলতে পারি কোনটি ভাল, কোনটি খারাপ?

প্রভুপাদঃ ভাল - মন্দ বলে কিছুই নেই, এটি মনের কল্পনা মাত্র কিন্তু সার্বিক বিচারে, এই জড় জগতে সবকিছুই খারাপ।