BN/Prabhupada 0399 - সেই নাম গায় গোরা মধুরস্বরে - তাৎপর্য



Purport to Sri Nama, Gay Gaura Madhur Sware -- Los Angeles, June 20, 1972

গায় গোরাচাঁদ মধুর স্বরে। এই গানটি ভক্তিবিনোদ ঠাকুর গেয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, ভগবান চৈতন্য, গোরা, গোরা মানে ভগবান চৈতন্য, গৌরসুন্দর, গৌর বর্ন, গায় গোরাচাঁদ মধুর স্বরে। তিনি মিষ্টি কণ্ঠে মহামন্ত্র গাইছেন, হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ, হরে হরে, হরে রাম, হরে রাম, রাম রাম, হরে হরে।

তিনি খুব মিষ্টি গান গাইছেন এবং এটা আমাদের কর্তব্য যে আমরা তার অনুসরন মহামন্ত্র গেয়ে করব। তাই ভক্তিবিনোদ ঠাকুর পরামর্শ দিচ্ছেন, গৃহে থাক, বনে থাক, সদা হরি বলে ডাক। গৃহে থাক মানে আপনি একজন গৃহকর্তা হিসাবে আপনার বাড়িতে বাস করেন, অথবা আপনি একজন সন্ন্যাসী হিসাবে জঙ্গলে বাস করেন, কোন ব্যাপার না, কিন্তু আপনাকে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করতেই হবে। গৃহে বা বনেতে থাকো, সদা হরি বলে ডাক। সর্বদা এই মহামন্ত্র জপ করো। সুখে দুঃখে ভুলো নাকো, "সংকটে অথবা সুখে জপ করতে ভূলো না।" বদনে হরি নাম করো রে। যতদূর জপের প্রশ্ন, কোন বাধার প্রশ্ন নেই, যেকোনও অবস্থায় আমি থাকি না কেনো, আমি এই মহামন্ত্র জপ করতে পারি, হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ, হরে হরে, হরে রাম, হরে রাম, রাম রাম, হরে হরে।

তাই ভক্তিবিনোদ ঠাকুর উপদেশ দিচ্ছেন, "কোন ব্যাপার না তুমি সংকটে থাক বা সুখে থাক, তুমি সর্বদা এই মহামন্ত্র জপ করো। মায়া জালে বদ্ধ হয়ে, আছো মিছে কাজ লয়ে। আপনি মায়া শক্তির ফাঁদে আটকে পড়েছেন। মায়া-জালে বদ্ধ হয়ে, যেমন একটি জেলে ধরে, সমুদ্র থেকে, আপনার ফাঁদে সব ধরণের প্রাণীদের। একইভাবে আমরা মায়ার শক্তির ফাঁদে রয়েছি, এবং কারণ আমাদের কোন স্বাধীনতা নেই, তাই আমাদের সব কার্যক্রম নিরর্থক। স্বাধীনভাবে কর্ম করার কিছু অর্থ আছে, কিন্তু যখন আমরা স্বাধীন নই, মায়ার ফাঁদে, মায়ার মায়াজালে, তাহলে আমাদের তথাকথিত স্বাধীনতার কোন মানে নেই। অতএব, যাই আমরা করছি, এটি একটি পরাজয় মাত্র। আমাদের প্রকৃত অবস্থা জানা ছাড়া, যদি আপনাকে কিছু করতে বাধ্য করা হয়, মায়াশক্তির শক্তির চাপে, এটি শুধুমাত্র সময়ের অপচয়। সেইজন্য ভক্তিবিনোদ ঠাকুর বলছেন, "এখন আপনা্রা মানুষ্য জীবনে পূর্ন চেতনা পেয়েছেন। তাই এখন শুধুমাত্র হরে কৃষ্ণ, রাধা মাধব এই মন্ত্রের জপ করুন। কোন লোকসান নেই, কিন্তু মহান লাভ আছে।" জীবন হইল শেষ, না ভজিলে হৃষিকেশ। এখন ধীরে ধীরে সবাই মৃত্যুর কাছে আছে, কেউ বলতে পারে না যে, "আমি বেঁচে আছি, আমি শত বছর ধরে বেঁচে থাকব।" না, আমরা যে কোন মুহূর্তে মরতে পারি। অতএব, তিনি উপদেশ দিচ্ছেন জীবন হইল শেষ। আমাদের জীবন যে কোনও মুহূর্ত শেষ হতে পারে, আর আমরা হৃষিকেশ কৃষ্ণকে সেবা করতে পারি নি। ভক্তিবিনোদপদেশ। সেইজন্য ভক্তিবিনোদ ঠাকুর উপদেশ দিচ্ছেন, একবার নাম রসে মাতো রে। "দয়া করে মত্ত হয়ে যান, নাম রসে, দিব্য নামের রসে, এই সমুদ্রের মধ্যে ডুব লাগাও। এটা আমার অনুরোধ।"