BN/Prabhupada 0924 - কেবল নেতিবাচকের কোন মানে হয় না। ইতিবাচক কিছু থাকা চাই



730422 - Lecture SB 01.08.30 - Los Angeles

যে ব্যক্তি পাপ থেকে মুক্ত যেষাম্‌ তু অন্ত্বগতং পাপম্‌ জনানাম্‌ পুণ্যকর্মাণম্‌ (গীতা ৭/২৮) কে পাপ জীবন শেষ করতে পারে? যারা পুণ্যকর্মে রত আছেন কারণ কাজ করতেই হবে যদি কেউ পুণ্যকর্মে যুক্ত থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর পাপকর্ম শেষ হয়ে যাবে একদিক থেকে, তিনি পাপময় জীবনের স্তম্ভ ভেঙ্গে দিতে চেষ্টা করবেন অন্য দিকে, তাঁকে অবশ্যই পুণ্য কর্ম করতে হবে কেবল তাত্ত্বিকভাবে কেউ পারবে না, কারণ একজন ব্যক্তিকে কিছু একটায় যুক্ত থাকতে হবে যদি তার কোন পুণ্যকর্ম না থাকে, তাহলে কেবল তাত্ত্বিকভাবে তা সম্ভব না

যেমন একটি বাস্তব উদাহরণ, তোমাদের সরকার বলতে গেলে কোটি কোটি টাকা খরচা করছে নেশাসক্তি কমাতে সবাই তা জানে। কিন্তু সরকার ব্যর্থ কেবল বক্তৃতা দিয়ে বা আইন দিয়েই তুমি কীভাবে তাঁদের এলএসডি বা নেশা কমাতে পার? তা সম্ভব না। তাদেরকে অবশ্যই ভাল একটা কাজে নিযুক্ত হতে হবে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ... আর বাস্তবে আপনারা দেখুন যারা আমাদের কাছে আসছে শিক্ষা নিতে, তারা কোন নেশা করে না সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তা বর্জন করেছে। এবং সরকার ব্যর্থ হচ্ছে এটাই ব্যবহারিক। পরম্‌ দৃষ্টা নিবর্ততে (গীতা ২/৫৯) যদি তুমি কাউকে কোন ভাল কাজ না দাও, তা হলে তাঁর বাজে কাজ করা সে কমাতে পারবে না। তা সম্ভব নয় তাই জন্য আমরা দুটি জিনিস দিচ্ছি, - ভাল কাজে নিযুক্তি, এবং একই সাথে নিষেধও দেয়া আছে আমরা কেবল এম্নিএম্নি এই কথা বলি না, "কোন অবৈধ সম্পর্ক নয়, না না না..." শুধু না করাটা কোন মানে হল না। কোন একটা ইতিবাচক দিক অবশ্যই থাকবে। কারণ সবাই কাজে যুক্ত থাকতে চায়। এর কারণ আমরা জীব। আমরা মৃত পাথর নই।

অন্যান্য দার্শনিকেরা ধ্যানের মাধ্যমে মৃত পাথর হতে চেষ্টা করছে "ভগবানের নির্বিশেষ নৈর্ব্যক্তিক রূপ চিন্তা করি" কৃত্রিমভাবে তুমি কীভাবে কোন কিছুকে শুন্য বানাতে পার? তোমার হৃদয় বা মন কাজে পূর্ণ এসব হচ্ছে কৃত্রিম বস্তু। এটা মানব সমাজের কোন কাজে লাগবে না ঐ সব তথাকথিত যোগ, তথাকথিত ধ্যান সবকিছু বদমায়েশি কারণ ওখানে কোন কিছুতে নিযুক্তি নেই। এখানে নিযুক্তি আছে এখানে সবাই ভগবানের আরাধনা করার জন্য খুব ভোরে উঠে তাঁরা ভাল ভাল নৈবেদ্য তৈরি করছে। তাঁরা ভগবানকে সাজাচ্ছে, মালা বানাচ্ছে, আরও কতকিছুতে যুক্ত আছে সংকীর্তন প্রচারে যাচ্ছে। গ্রন্থ বিতরণের জন্য লোককে বোঝাচ্ছে চব্বিশ ঘণ্টা যুক্ত থাকছে । তাই তাঁরা পাপময় জীবন ত্যাগ করতে পেরেছে পরম দৃষ্টা নিবর্ততে (গীতা ২/৫৯)

যেমন... এই সবকিছুই ভগবদ্গীতায় বর্ণিত হয়েছে, ঠিক যেমন হাসপাতালের মতো। হাসপাতালে অনেক রোগী থাকে, তারা হয়তো একাদশীর দিন খায় না। তার মানে কি তারা একাদশী করছে? (হাসি) সে কেবল একটাই কথা ভাবছে, "আমি কখন খাব, আমি কখন খাব, আমি কখন খাব?" কিন্তু এই ভক্তেরা নিজের ইচ্ছাতেই কিছু খায় না। আমরা বলি না যে তুমি কিছুই খাবে না, কিছু ফলমূল বা ফুল, এই। তাই পরম দৃষ্টা নিবর্ততে (গীতা ২/৫৯) ঠিক একটি শিশুর মতো সে তার হাতে কিছু একটা পেয়েছে, সে খাচ্ছে তুমি যদি তাকে আরও ভাল একটা কিছু দাও, সে হাতের কম মানের জিনিসটা ফেলে দেবে এবং অপেক্ষাকৃত ভাল জিনিসটি নেবে এখানে কৃষ্ণভাবনামৃত দেয়া হচ্ছে, সেই অপেক্ষাকৃত ভাল কর্মনিযুক্তি উন্নততর জীবন, উন্নততর দর্শন, উন্নত চেতনা, সবকিছুই উন্নততর সেই কারণে তাঁরা পাপময় জীবন পরিত্যাগ করতে পারে এবং সেটি তাঁদের কৃষ্ণভাবনামৃতে উন্নীত করে

এইসব কর্মকান্ড কেবল মানব সমাজেই নয় তা পশুসমাজেও আছে প্রাণী সমাজে, জলচর, কারণ সবাই কৃষ্ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সন্তান তারা এই জগতে পচে মরছে শ্রীকৃষ্ণের এক বিশাল পরিকল্পনা আছে তাদের উদ্ধার করার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে অবতীর্ণ হন। কখনও বা তিনি তাঁর খুব অন্তরঙ্গ ভক্তকে পাঠান কখনও তিনি স্বয়ং আসেন, কখনও বা তিনি ভগবদগীতার মতো তাঁর উপদেশ দিয়ে যান