BN/Prabhupada 0148 - আমরা ভগবানের অংশাতি অংশ

Revision as of 15:45, 15 January 2018 by Iswaraj (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0148 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1976 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 7.6.1 -- Madras, January 2, 1976

এই হচ্ছে ধর্ম। সন্মন্ধ, অভিধেয়, প্রয়োজন, এই তিনটে জিনিস। পুরো বেদকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সন্মন্ধ, ভগবানের সঙ্গে আমাদের সংযোগ, একেই বলে সন্মন্ধ। এবং তারপর অভিধেয়। যে সম্পর্ক অনুযায়ী আমদের কাজ করতে হবে। সেটাকে অভিধেয় বলে। এবং কেন আমরা কাজ করব? কারন আমরা জীবনের লক্ষ্য পেয়েছি, জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য। তাহলে জীবনের লক্ষ্য কী? জীবনের লক্ষ্য হল, বাড়িতে ফিরে যাওয়া, ভগবদ্ধাম ফিরে যাওয়া। এটা জীবনের লক্ষ্য। আমরা ভগবানের অংশ। ভগবান সনাতন এবং তাঁর নিজের সনতান আবাস আছে। পরস্তস্মাতু ভাবোহন্যোহব্যক্তোহব্যক্তাৎ সনাতনঃ (ভ.গী. ৮.২০) সদা বিদ্যমান একটি স্থান আছে। এই জড় জগত, এটি চিরকালের জন্য অস্তিত্ব থাকবে না। ভুত্বা ভুত্বা প্রলীয়তে (ভ.গী.৮.১৯) এটি একটি নির্দিষ্ট তারিখে উদ্ভাসিত হয়। আপনার শরীর এবং আমার শরীরের মত, এটি একটি নির্দিষ্ট তারিখে প্রকাশিত হয়। এটি কিছু সময়ের জন্য থাকবে। এটা বৃদ্ধি হবে। এটি কিছু জন্ম দেবে। তারপর আমরা পুরানো হয়ে, কমে, এবং তারপর সমাপ্ত হবে। এটিকে বলা হয় ষড়বিকার । যা কিছু জড়। কিন্তু সেখানে আরেকটি প্রকৃতি আছে যেখানে কোন ষড়বিকার নেই। এটা শাশ্বত। সুতরাং একে সনাতন ধর্ম বলে। এবং জীবরা, আমরা জীবরা, আমদের শাশ্বত হিসাবে বর্ণনা করা হয়। ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে (ভ.গী.২.২০) এবং ভগবানকে সনাতন বলা হয়। তাই আমাদের প্রকৃত অবস্থান হচ্ছে আমরা সনাতন, কৃষ্ণ সনাতন, এবং কৃষ্ণের সনাতন ধাম আছে। যখন আমরা সনাতন ধামে যাব এবং বাস করব পরম সনাতন কৃষ্ণের সাথে... এবং আমরাও সনাতন হব। যে প্রক্রিয়ায় আমরা জীবনের এই সর্বোচ্চ লক্ষ্য অর্জন করতে পারি, তাকে সনাতন-ধর্ম বলা হয়। আমরা এখানে সনাতন-ধর্ম পালন করছি। সুতরাং সনাতন ধর্ম এবং ভাগবত ধর্ম একই জিনিস। ভাগবত, ভগবান। ভগবান শব্দ থেকেই ভাগবত এসেছে। তাই চৈতন্য মহাপ্রভু ভাগবত ধর্মের কথা বর্ননা করেছেন। তিনি বলেছেন জীবের স্বরূপ হয় নিত্য কৃষ্ণ দাস (চৈ.চ.মধ্য ২০.১০৮-১০৯) আমরা কৃষ্ণের নিত্য দাস। কিন্তু বর্তমানে, জড় সংযোগের সাথে, ভগবান কৃষ্ণের দাস হবার পরিবর্তে, আমরা অন্যকিছুর, মায়ার দাস হয়ে যাচ্ছি, এবং এইভাবে আমরা কষ্ট পাচ্ছি। আমরা সন্তুষ্ট নই। সেখানে হতে পারে না এটা মাপসই করা যাবে না। যেমন আপনি মেশিন থেকে একটি স্ক্র নেন। যদি স্ক্রটি কোনভাবে পড়ে যায় এর কোন দাম নেই। কিন্তু একই স্ক্র, যখন মেশিনের সাথে যুক্ত থাকে অথবা মেশিনটা একটা স্ক্রর জন্য কাজ করে না, এটা সমস্যাময় অবস্থা, সুতরাং আপনি একটি একই স্ক্র নিন এবং জুড়ে দিন, এবং মেশিনটি কাজ করবে এবং স্ক্রটির তখন খুব দাম হবে। তাই আমরা কৃষ্ণের অংশাতি অং শ। মামৈবাংশ জীব-ভুতা (ভ.গী. ১৫.৭) তিনি বলেছেন কৃষ্ণ। তাই আমরা আলাদা নই। আমরা পতিত হয়েছি। আরেকটি উদাহরন ঠিক যেমন বড় আগুন এবং ছোট স্পার্ক। ক্ষুদ্র স্পার্কটিও আগুনের মতো জ্বলছে যেমন আগুন জ্বলে। এবং যদি অন্য কোনোভাবে এই স্পার্ক অগ্নি থেকে নিচে পড়ে , এটি নিভে যাবে। আর কোনও জ্বলন্ত গুণ থাকবে না। কিন্তু যদি এটা আবার নিয়ে আগুনে রাখা হয় এটা আবার জ্বলে উঠবে। তাই আমাদের অবস্থান এইরকম, যেকোনভবেই হোক, আমরা এই জড় জগতে এসেছি। যদিও আমরা একটি ছোট কণা , সুপ্রিম পালনকর্তা এর টুকরো অংশ, কিন্তু আমরা এই জড় জগতের মধ্যে আমরা ভগবানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভুলে গেছি, এবং আমাদের ... মনঃষষ্টানি ইন্দ্রিয়ানি প্রকৃতিস্থানি কর্ষতি (ভ.গী. ১৫.৭) আমরা জড় জগতের আইনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছি, তাই অনেক অন্যান্য জিনিস। এখানে আমরা সেবা করছি কারণ আমরা অনন্তকাল ধরে দাস। কিন্তু যেহেতু আমরা সর্বশক্তিমান ভগবানের সেবা ছেড়ে দিয়েছি, আমরা অনেক কিছু জিনিসের চাকর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছি। কিন্তু কেউই সন্তুষ্ট নয়, যেমনটি মাননীয় বিচারপতি বলেন, কেউ সন্তুষ্ট নয়। এটা একটা সত্য। এটি সন্তুষ্ট হতে পারে না। এটা সন্তুষ্ট করা যাবে না কারণ আমরা ভগবানের সাংবিধানিক দাস, কিন্তু আমদের এই জড় জগতে স্থাপন করা হয়েছে যাতে অনেক অন্যান্য জিনিসের সেবা করা যায়, যেটি উপযুক্ত নয়। অতএব আমরা সেবা পরিকল্পনা তৈরি করি। যাকে মানসিক অভিসন্ধি বলা হয়। মনঃষষ্টানি ইন্দ্রিয়ানি প্রকৃতিস্থানি কর্ষতি (ভ.গী. ১৫.৭)। একটি সংগ্রাম, এটি একটি সংগ্রাম।