BN/Prabhupada 1058 - ভগবদ্গীতার বক্তা হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 1058 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1966 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 10: Line 10:
[[Category:Bengali Language]]
[[Category:Bengali Language]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 1057 - ভগবদ্গীতার আর এক নাম গীতোপনিষদ্‌, এটি বৈদিক দর্শনের সারমর্ম|1057|BN/Prabhupada 1059 - পরমেশ্বর ভগবানের সহিত সকলের একটি সুনিদিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে|1059}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<div class="center">
<div class="center">
Line 18: Line 21:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|pVcDfltwftQ|The Speaker of the Bhagavad-gita is Lord Sri Krishna - Prabhupāda 1058}}
{{youtube_right|pVcDfltwftQ|ভগবদ্গীতার বক্তা হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ<br/>- Prabhupāda 1058}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


<!-- BEGIN AUDIO LINK -->
<!-- BEGIN AUDIO LINK -->
<mp3player>File:660219BG-NEW_YORK_clip02.mp3</mp3player>
<mp3player>https://s3.amazonaws.com/vanipedia/clip/660219BG-NEW_YORK_clip02.mp3</mp3player>
<!-- END AUDIO LINK -->
<!-- END AUDIO LINK -->


Line 30: Line 33:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
'''Yoruba'''
ভগবদ্গীতার বক্তা হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতার বক্তা হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতার প্রতিটি পাতায় বলা হয়েছে যে, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান ভগবান শব্দটি কখনও কখনও কোন শক্তিমান পুরুষ অথবা কোন দেব-দেবীর ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয়। এখানে ভগবান্ শব্দটির দ্বারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মহাপুরুষ রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু সেইসঙ্গে আমাদের জ্ঞাত হওয়া উচিত যে, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান। ভগবান শ্রীকৃ্ষ্ণই যে পরমেশ্বর তা স্বীকার করেছেন সমস্ত সত্যদ্রষ্টা ও ভগবৎ-তত্ত্ববেত্তা আচার্যেরা- যেমন, শঙ্করাচার্য, রামানুজাচার্য, মধ্বাচার্য, নিম্বাকাচার্য, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং আরও অনেকে । ভারতে অনেক প্রমানিক বিদ্বান এবং আচার্য ছিল। আমি বলতে চাচ্ছি, বৈদিক জ্ঞানের কর্তৃপক্ষ। শঙ্করাচার্য সহ তাঁদের সকলেই শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবান বলে গ্রহণ করেছেন। শ্রীকৃ্ষ্ণ নিজেই ভগবদ্গীতাতে বলে গেছেন যে, - -তিনিই হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান। ব্রহ্মসংহিতা ও সব কয়টি পুরাণে, বিশেষ করে ভাগবত-পুরাণ শ্রীমদ্ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবানরূপে বর্ণনা করা হয়েছে (কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম্) ([[Vanisource:SB 1.3.28|শ্রীমদ্ভাগবত ১.৩.২৮]])। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যেমনভাবে নির্দেশ দিয়ে গেছেন, ঠিক তেমনভাবে ভগবদ্গীতাকে আমাদের গ্রহণ করতে হবে


Oluwa ni agbọrọsọ iwe mimo Bhagavad-gita Oluwa ni agbọrọsọ iwe mimo Bhagavad-gita. Wan daruko re lori gbogbo oju iwe Bhagavad-gita, bi Eledumare, Bhagavan. Looto, oruko "bhagavan" lon pe awon orisa tabi enikeni toba lagbara gan, sugbon nibi Oluwa lon pe ni bhagava, eda pataki, sugbon leese kanna oye ka mo wipe Olorun, bi gbogbo awon acarya se jerisi... awon eyan pataki bi Śaṅkarācārya, Rāmānujācārya, Madhvācārya, Nimbārka Svāmī ati Śrī Caitanya Mahāprabhu ati opolopo bayi. Ni Orilede India, awon alakowe bayi ati acarya po gan, awon olori lori imoye Veda. Gbogbo won, ati Sankaracarya, lon gba pe Olorun ni Sri Krsna je. Olorun fun ara re ti jeerisi ara re bi Olorun ninu Bhagavad-gita. Wanti gba bee ninu Brahma-samhita ati awon Purana, nipataki ninuj Bhagavat Purana: kṛṣṇas tu bhagavān svayam ([[Vanisource:SB 1.3.28|SB 1.3.28]]). Beena oye ka gba Bhagavad-gita gege bi Olorun fun ara re se juwe.
ভগবদ্গীতার চতুর্থ অধ্যায়ে(৪/১-৩) ভগবান বলেছেন:  


Beena ninu Apa Kerin Bhagavad-gita Oluwa sowipe:  
:ইমং বিবস্বতে যোগং


:imaṁ vivasvate yogaṁ
:প্রোক্তবানহমব্যয়ম্।
:proktavān aham avyayam
:vivasvān manave prāha
:manur ikṣvākave 'bravīt
:([[Vanisource:BG 4.1|BG 4.1]])


:evaṁ paramparā-prāptam
:বিবস্বান্মনবে প্রাহ
:imaṁ rājarṣayo viduḥ
:sa kāleneha mahatā
:yogo naṣṭaḥ parantapa
:([[Vanisource:BG 4.2|BG 4.2]])


:sa evāyaṁ mayā te 'dya
:মনুরিক্ষ্বাকবেহব্রবীৎ।।
:yogaḥ proktaḥ purātanaḥ
:bhakto 'si me sakhā ceti
:rahasyaṁ hy etad uttamam
:([[Vanisource:BG 4.3|BG 4.3]])


Oye to wa niwipe... Oluwa si sofun Arjuna pe " yoga yi, ilana yoga yi, Bhagavad-gita, emi ni mo koko salaye ere si orisa-orun orisa-orun si salaaye fun Manu. Manu si salaaye fun Iksvaku, bayi ni imoye yi se sokale wa lat'eni kan si keji, sugbon leyin igba die, imoye yi ti sonu. nitorina, ni mo sen tun ilana yoga yi so, ilana yoga atijo yi ti Bhagavad-gita tabi Gitopanisad. Nitoripe olufokansi mi loje ati ore mi, nitorina lose le ye e."
:([[Vanisource:BG 4.1 (1972)|ভ: গী: ৪/১]])


Nisin koko oro towa niwipe iwe iwaadi fun awon olufokansi Olorun ni Bhagavad-gita je. Apa meta awon eyan pataki lo wa, awon jnani, awon yogi ati bhakta. Tabi awon alainigbago tani awon ton sasaro, tabi awon olufokansi. Beena wan ti juwe dada nibi. Oluwa ti salaaye fun Arjuna pe " Motin soro tabi mofe ko di okurin talakoko ninu parampara. Nitoripe parampara towa tele ti sonu nitorina ni mose da parampara imi sile pelu oye kanna bose wa lati orisa-orun si awon iyoku. Beena, gba bayi kosi pin kaa kiri. Tabi nisin o le pin imoye Bhagavad-gita yi kosi di olori ninu eto imoye Bhagavad-gita." Nisin, ijuwe imi towa pe Arjuna lon fun leeko Bhagavad-gita, olufokansi Olorun, akeeko ti Krsna. Iyen nikan ko, osi je ore taya taya si Krsna. Nitorina awon eyan ton ni iru amuye bi ti Krsna lon le ni oye nipa Bhagavad-gita. Itumo re niwipe ogbodo je olufokansi, ogbodo ni asepo pel'Olorun.
:এবং পরম্পরাপ্রাপ্ত


'''Bengali'''
:মিমং রাজর্ষয়ো বিদুঃ।


ভগবদ্গীতার বক্তা হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতার বক্তা হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতার প্রতিটি পাতায় বলা হয়েছে যে, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান ভগবান শব্দটি কখনও কখনও কোন শক্তিমান পুরুষ অথবা কোন দেব-দেবীর ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয়। এখানে ভগবান্ শব্দটির দ্বারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মহাপুরুষ রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু সেইসঙ্গে আমাদের জ্ঞাত হওয়া উচিত যে, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান। ভগবান শ্রীকৃ্ষ্ণই যে পরমেশ্বর তা স্বীকার করেছেন সমস্ত সত্যদ্রষ্টা ও ভগবৎ-তত্ত্ববেত্তা আচার্যেরা- যেমন, শঙ্করাচার্য, রামানুজাচার্য, মধ্বাচার্য, নিম্বাকাচার্য, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং আরও অনেকে । আদি ভারতের প্রতিটি মহাপুরুষ। আমি বলতে চাচ্ছি, বৈদিক জ্ঞানের কর্তৃপক্ষ। শঙ্করাচার্য সহ তাঁদের সকলেই শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবান বলে গ্রহণ করেছেন। শ্রীকৃ্ষ্ণ নিজেই ভগবদ্গীতাতে বলে গেছেন যে, - -তিনিই হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান। ব্রহ্মসংহিতা ও সব কয়টি পুরাণে, বিশেষ করে ভাগবত-পুরাণ শ্রীমদ্ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবানরূপে বর্ণনা করা হয়েছে (কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম্)(শ্রীমদ্ভাগবত ১.৩.২৮)। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যেমনভাবে নির্দেশ দিয়ে গেছেন, ঠিক তেমনভাবে ভগবদ্গীতাকে আমাদের গ্রহণ করতে হবে ভগবদ্গীতার চতুর্থ অধ্যায়ে(৪/১-৩) ভগবান বলেছেন: ইমং বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবানহমব্যয়ম্। বিবস্বান্মনবে প্রাহ মনুরিক্ষ্বাকবেহব্রবীৎ।।(ভ: গী: ৪/১) এবং পরম্পরাপ্রাপ্তমিমং রাজর্ষয়ো বিদুঃ। স কলেনেহ মহতা যোগো নষ্টঃ পরন্তপ।।(ভ: গী: ৪/২) স এবায়ং ময়া তেহদ্য যোগঃ প্রোক্তঃ পুরাতনঃ। ভক্তোহসি মে সখা চেতি রহস্যং হ্যেতদুত্তমম্।।(ভ: গী: ৪/৩) এখানে ভগবান অর্জুনকে বলেছেন যে, এই যোগপন্থা, ভগবদ্গীতা, সর্ব প্রথম আমি সূর্যদেবকে দান করি, সূর্যদেব মনুকে, মনু ইক্ষ্বাকুকে এবং এভাবে গুরু-পরম্পরাক্রমে গুরুদেব থেকে শিষ্যতে এই জ্ঞান ধারাবাহিকভাবে প্রবাহিত হয়ে আসছিল। এবং কালক্রমে এখন পরম্পরা ছিন্ন হয়ে যায়। তাই এই যোগ প্রণালীর পরম জ্ঞান পুনরায় তোমাকে দান করছি সেই ভগবদ্গীতার একই যোগ পন্থা বা গীতোপনিষদ্। কারন তুমি আমার ভক্ত এবং সখা, তাই শুধুমাত্র তোমার পক্ষেই অনুধাবন করা সম্ভব।” এই কথার তাৎপর্য হচ্ছে যে, ভগবদ্গীতার জ্ঞান কেবল ভগবানের ভক্তই আহরণ করতে পারে। অধ্যাত্মবাদীদের সাধারণত তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যথা- জ্ঞানী, যোগী ও ভক্ত । অথবা নির্বিশেষবাদী, ধ্যানী ও ভক্ত। এখানে ভগবান স্পষ্টভাবে অর্জুনকে বলেছেন যে আমি তোমাকে বলছি অথবা তোমাকে পরম্পরার প্রথম ব্যাক্তি হিসাবে নির্বাচিত করছি। কারন পুরাতন পরম্পরা এখন ছ্ন্নি হয়ে গেছে, তাই আমি আবার আরেকটি পরম্পরা স্থাপন করছি একই ধারার জ্ঞান সূর্যদেব থেকে অন্যদের কাছে নেমে এসেছিল সুতরাং তুমি, তুমি গ্রহণ কর এবং বিতরণ কর। বা পন্থাটি, ভগবদ্গীতার যোগ পন্থাটি তোমার মাধ্যমে বিতরিত হবে। তুমি ভগবদ্গীতা উপলব্ধির কর্তৃপক্ষ হও এখানে বিশেষ করে অর্জুন মহাশয়কে ভগবদ্গীতার দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরমেশ্বর ভগবানের ভক্ত, সরাসরি ভগবান কৃষ্ণের শিষ্য শুধু তাই নয়, তিনি কৃষ্ণের অন্তরঙ্গ সখা সুতরাং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মতো সম গুণ সম্পন্নরাই ভগবদ্গীতা হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে। তার অর্থ, অবশ্যই তিনি হবেন একজন ভক্ত, অবশ্যই তিনি হবেন পরমেশ্বর ভগবানের সহিত সরাসরি সম্পর্কিত
:স কলেনেহ মহতা  
 
:যোগো নষ্টঃ পরন্তপ।।
 
:([[Vanisource:BG 4.2 (1972)|ভ: গী: ৪/২]])  
 
:স এবায়ং ময়া তেহদ্য  
 
:যোগঃ প্রোক্তঃ পুরাতনঃ।  
 
:ভক্তোহসি মে সখা চেতি  
 
:রহস্যং হ্যেতদুত্তমম্।।
 
:([[Vanisource:BG 4.3 (1972)|ভ: গী: ৪/৩]])  
 
এখানে ভগবান অর্জুনকে বলেছেন যে, এই যোগপন্থা, ভগবদ্গীতা, সর্ব প্রথম আমি সূর্যদেবকে দান করি, সূর্যদেব মনুকে বলেছিলেন, মনু ইক্ষ্বাকুকে বলেছিলেন, এবং এভাবে গুরু-পরম্পরাক্রমে গুরুদেব থেকে শিষ্যতে এই জ্ঞান ধারাবাহিকভাবে প্রবাহিত হয়ে আসছিল। এবং কালক্রমে এখন পরম্পরা ছিন্ন হয়ে যায়। তাই এই যোগ প্রণালীর পরম জ্ঞান পুনরায় তোমাকে দান করছি, সেই ভগবদ্গীতার একই যোগ পন্থা বা গীতোপনিষদ্। কারন তুমি আমার ভক্ত এবং সখা, তাই শুধুমাত্র তোমার পক্ষেই অনুধাবন করা সম্ভব।”  
 
এই কথার তাৎপর্য হচ্ছে যে, ভগবদ্গীতার জ্ঞান কেবল ভগবানের ভক্তদের জন্য। অধ্যাত্মবাদীদের সাধারণত তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যথা- জ্ঞানী, যোগী ও ভক্ত । অথবা নির্বিশেষবাদী, ধ্যানী ও ভক্ত। এখানে ভগবান স্পষ্টভাবে অর্জুনকে বলেছেন যে আমি তোমাকে বলছি অথবা তোমাকে পরম্পরার প্রথম ব্যাক্তি হিসাবে নির্বাচিত করছি। কারন পুরাতন পরম্পরা এখন ছিন্ন হয়ে গেছে, তাই আমি আবার আরেকটি পরম্পরা স্থাপন করছি একই ধারার জ্ঞান সূর্যদেব থেকে অন্যদের কাছে নেমে এসেছিল সুতরাং তুমি, তুমি গ্রহণ কর এবং বিতরণ কর। বা পন্থাটি, ভগবদ্গীতার যোগ পন্থাটি তোমার মাধ্যমে বিতরিত হবে। তুমি ভগবদ্গীতার প্রামানিক বিদ্বান হও।" এখানে বিশেষ করে অর্জুন মহাশয়কে ভগবদ্গীতার দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, পরমেশ্বর ভগবানের ভক্ত, সরাসরি ভগবান কৃষ্ণের শিষ্য। শুধু তাই নয়, তিনি কৃষ্ণের অন্তরঙ্গ সখা। সুতরাং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মতো সমগুণ সম্পন্নরাই ভগবদ্গীতা হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে। তার অর্থ, অবশ্যই তিনি হবেন একজন ভক্ত, অবশ্যই তিনি পরমেশ্বর ভগবানের সহিত সরাসরি সম্পর্কিত হবেন।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 13:13, 4 December 2021



660219-20 - Lecture BG Introduction - New York

ভগবদ্গীতার বক্তা হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতার বক্তা হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতার প্রতিটি পাতায় বলা হয়েছে যে, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান ভগবান শব্দটি কখনও কখনও কোন শক্তিমান পুরুষ অথবা কোন দেব-দেবীর ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয়। এখানে ভগবান্ শব্দটির দ্বারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মহাপুরুষ রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু সেইসঙ্গে আমাদের জ্ঞাত হওয়া উচিত যে, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান। ভগবান শ্রীকৃ্ষ্ণই যে পরমেশ্বর তা স্বীকার করেছেন সমস্ত সত্যদ্রষ্টা ও ভগবৎ-তত্ত্ববেত্তা আচার্যেরা- যেমন, শঙ্করাচার্য, রামানুজাচার্য, মধ্বাচার্য, নিম্বাকাচার্য, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং আরও অনেকে । ভারতে অনেক প্রমানিক বিদ্বান এবং আচার্য ছিল। আমি বলতে চাচ্ছি, বৈদিক জ্ঞানের কর্তৃপক্ষ। শঙ্করাচার্য সহ তাঁদের সকলেই শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবান বলে গ্রহণ করেছেন। শ্রীকৃ্ষ্ণ নিজেই ভগবদ্গীতাতে বলে গেছেন যে, - -তিনিই হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান। ব্রহ্মসংহিতা ও সব কয়টি পুরাণে, বিশেষ করে ভাগবত-পুরাণ শ্রীমদ্ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবানরূপে বর্ণনা করা হয়েছে (কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম্) (শ্রীমদ্ভাগবত ১.৩.২৮)। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যেমনভাবে নির্দেশ দিয়ে গেছেন, ঠিক তেমনভাবে ভগবদ্গীতাকে আমাদের গ্রহণ করতে হবে

ভগবদ্গীতার চতুর্থ অধ্যায়ে(৪/১-৩) ভগবান বলেছেন:

ইমং বিবস্বতে যোগং
প্রোক্তবানহমব্যয়ম্।
বিবস্বান্মনবে প্রাহ
মনুরিক্ষ্বাকবেহব্রবীৎ।।
(ভ: গী: ৪/১)
এবং পরম্পরাপ্রাপ্ত
মিমং রাজর্ষয়ো বিদুঃ।
স কলেনেহ মহতা
যোগো নষ্টঃ পরন্তপ।।
(ভ: গী: ৪/২)
স এবায়ং ময়া তেহদ্য
যোগঃ প্রোক্তঃ পুরাতনঃ।
ভক্তোহসি মে সখা চেতি
রহস্যং হ্যেতদুত্তমম্।।
(ভ: গী: ৪/৩)

এখানে ভগবান অর্জুনকে বলেছেন যে, এই যোগপন্থা, ভগবদ্গীতা, সর্ব প্রথম আমি সূর্যদেবকে দান করি, সূর্যদেব মনুকে বলেছিলেন, মনু ইক্ষ্বাকুকে বলেছিলেন, এবং এভাবে গুরু-পরম্পরাক্রমে গুরুদেব থেকে শিষ্যতে এই জ্ঞান ধারাবাহিকভাবে প্রবাহিত হয়ে আসছিল। এবং কালক্রমে এখন পরম্পরা ছিন্ন হয়ে যায়। তাই এই যোগ প্রণালীর পরম জ্ঞান পুনরায় তোমাকে দান করছি, সেই ভগবদ্গীতার একই যোগ পন্থা বা গীতোপনিষদ্। কারন তুমি আমার ভক্ত এবং সখা, তাই শুধুমাত্র তোমার পক্ষেই অনুধাবন করা সম্ভব।”

এই কথার তাৎপর্য হচ্ছে যে, ভগবদ্গীতার জ্ঞান কেবল ভগবানের ভক্তদের জন্য। অধ্যাত্মবাদীদের সাধারণত তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যথা- জ্ঞানী, যোগী ও ভক্ত । অথবা নির্বিশেষবাদী, ধ্যানী ও ভক্ত। এখানে ভগবান স্পষ্টভাবে অর্জুনকে বলেছেন যে আমি তোমাকে বলছি অথবা তোমাকে পরম্পরার প্রথম ব্যাক্তি হিসাবে নির্বাচিত করছি। কারন পুরাতন পরম্পরা এখন ছিন্ন হয়ে গেছে, তাই আমি আবার আরেকটি পরম্পরা স্থাপন করছি একই ধারার জ্ঞান সূর্যদেব থেকে অন্যদের কাছে নেমে এসেছিল সুতরাং তুমি, তুমি গ্রহণ কর এবং বিতরণ কর। বা পন্থাটি, ভগবদ্গীতার যোগ পন্থাটি তোমার মাধ্যমে বিতরিত হবে। তুমি ভগবদ্গীতার প্রামানিক বিদ্বান হও।" এখানে বিশেষ করে অর্জুন মহাশয়কে ভগবদ্গীতার দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, পরমেশ্বর ভগবানের ভক্ত, সরাসরি ভগবান কৃষ্ণের শিষ্য। শুধু তাই নয়, তিনি কৃষ্ণের অন্তরঙ্গ সখা। সুতরাং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মতো সমগুণ সম্পন্নরাই ভগবদ্গীতা হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে। তার অর্থ, অবশ্যই তিনি হবেন একজন ভক্ত, অবশ্যই তিনি পরমেশ্বর ভগবানের সহিত সরাসরি সম্পর্কিত হবেন।